ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দর্শক বাড়াতে আরও বেশি মঞ্চ দরকার ॥ হৃদি হক

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ৭ নভেম্বর ২০১৬

দর্শক বাড়াতে আরও বেশি মঞ্চ দরকার ॥ হৃদি হক

অভিনেত্রী, নাট্যকার ও পরিচালক হৃদি হক। বাবা নাট্য ব্যক্তিত্ব ড. ইনামুল হক ও মা লাকি ইনামের হাত ধরে অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন। নাগরিক নাট্যাঙ্গনের ১৯তম প্রযোজনা ‘গহর বাদশা ও বানেছা পরী’ নাটকের পুনর্কথন ও নির্দেশনার পাশাপাশি এর বিশেষ একটি চরিত্রে অভিনয়ও করেন তিনি। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে আজ সন্ধ্যা ৭টায় নাটকটির ১৯তম মঞ্চায়ন। এ বিষয়ে তার সঙ্গে কথা হয়। ‘গহর বাদশা ও বানেছা পরী’ নাটকের এ পর্যন্ত দর্শকসাড়া কেমন? হৃদি হক: গত বছর নবেম্বরের ১৭ তারিখ নাটকটির উব্দোধনী মঞ্চায়ন হয়। এ পর্যন্ত ১৮ টি প্রদর্শনী হয়েছে। সবকটিতেই দর্শকসাড়া প্রচুর। এ কারনেই আমরা নাটকটির একের পর এক মঞ্চায়ন করে যাচ্ছি। আশা করছি ১৯তম মঞ্চায়নেও প্রচুর দর্শক হবে। নাগরিক নাট্যাঙ্গনের প্রথম নির্দেশনার অনুভূতি কেমন? হৃদি হক: অবশ্যই ভাল। দলের হয়ে বেশ কিছু মৌলিক নাটকে অভিনয় করেছি, সেগুলো দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও সুনাম বয়ে এনেছে। কিন্তু লোকগাথা নিয়ে এর আগে দলের কোন নাটক মঞ্চে আসেনি। এই প্রথম লোকগাথা নিয়ে নাটক করছি। এটা আমার জন্য গর্বের। নাটকটি সম্পর্কে বলুন হৃদি হক: এতে দেখা যায় বিশ্বিং বাদশা গিলামাইট বনে শিকার না পেয়ে নিজের ভাগ্যকে দোসে। ঠিক তখনই অদূর জলাশয়ে হরিণশাবকের আগমনে তীঁর ছোড়ে বাদশা। পরক্ষণেই মানবসন্তানের কান্নায় তিনি বুঝতে পারেন কী ভীষণ নিষ্ঠুরতায় তার হাত রাঙালো। অন্ধমুণি সন্তান হারানোর বেদনায় অভিশাপে জর্জরিত করলো সন্তানহীন বাদশা বিশ্বিংকে। সেই অভিশাপের পর দুই পুত্রের চন্দ্রমুখ দেখার সৌভাগ্য হলো বাদশার। বার বছর বয়সে বিশ্বিং যখন বড় ছেলে গহরকে রাজ্যের অধিপতি করে, তখন উজিরের চক্রান্তে গহর আবদার করে গিলামাইট বনে শিকার করতে যাবে। শিকারে গিয়ে বন্দি হয় বিশ্বিং দানবের হাতে। বাবার মিতা বলে মৃত্যু থেকে রেহাই পেলেও বানেছা পরীর প্রেমতীরে বিদ্ধ হয় গহর। অবশেষে তার বুদ্ধি ও মেধা দিয়ে জয় করে তার রাজ্য। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনী। আমাদের দেশের থিয়েটারের বর্তমান অবস্থা কেমন? হৃদি হক: আমার মনেহয় দেশ স্বাধীনের পর থিয়েটারই একমাত্র মাধ্যম যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বিশেষভাবে তুলেধরা সম্ভব হয়েছে। এখন শুধু বাংলা ভাষাভাসি নয়, অন্যদের মধ্যেও এই শিল্পকে ছড়িয়ে দিতে পারছি। আমার উপলব্দি হয়েছে আমাদের থিয়েটার এখন সব দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারে। থিয়েটারকে এগিয়ে নিতে করনীয় কি? হৃদি হক: শিল্পকলা একাডেমি আর মহিলা সমিতি ছাড়া থিয়েটারের জন্য আর তেমন কোন মঞ্চ নেই। দর্শক সংকট আছে আমি এটা মেনে নিতে পারি না। দর্শক বাড়াতে মঞ্চ দরকার। আপনার বর্তমান ব্যস্ততা সম্পর্কে বলুন হৃদি হক: এরইমধ্যে দুটি টিভি ধারাবাহিক নাটক লেখা শুরু করেছি। আগামী বছরের প্রথম দিকে শুটিংয়ের কাজ শুরু করব। এছাড়া আমিতো ডিরেক্টর গিল্ডের জয়েন্ট সেক্রেটারী, এটা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটতে হয়। -গৌতম পা-ে
×