ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

হিন্দুদের মালাউন বলেছি- প্রমাণ করতে পারলে পদত্যাগ করব ॥ ছায়েদুল হক

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ৭ নভেম্বর ২০১৬

হিন্দুদের মালাউন বলেছি- প্রমাণ করতে পারলে পদত্যাগ করব ॥ ছায়েদুল হক

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ হিন্দুদের ‘মালাউন’ বলেছি এটা প্রমাণ করতে পারলে এখনই পদত্যাগ করব। জীবনে কখনও হিন্দুদের মালাউন বলিনি। দাঙ্গা বাঁধিয়ে আমি নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারব কেন? আমার সুনাম ক্ষুণœ করতেই একটি মহল আমার বিরুদ্ধে কিছুদিন আগেও কুৎসা রটনা করেছিল, এখনও করছে। রবিবার দুপুরে নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক। প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, মিডিয়ার উচিত এমন ভুল খবর প্রচার না করে সঠিক খবর প্রচারের মাধ্যমে নাসিরনগরে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কোন গাফিলতি ছিল না। অনেক আগে থেকেই নাসিরনগর আওয়ামী লীগে ষড়যন্ত্র চলছে। কিছু লোককে দলে না ঢোকানোয় তারা ষড়যন্ত্র করে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এ ষড়যন্ত্র অনেক গভীরে এবং অনেক আগে থেকেই চলছে। গোয়েন্দা বিভাগের লোকজনের উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, রসরাজ দাস এ কাজ করেনি। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ যে তিন কর্মীকে বহিষ্কার করেছে, তা সম্পূর্ণ না বুঝে করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এ তিনজন দাঙ্গা-হাঙ্গামা সামাল দিচ্ছিল। তারা দাঙ্গা সামাল দিতে গিয়ে আহতও হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগ আমার সঙ্গে কথা না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরেক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। তারাও ঘটনা সঠিকভাবে না জেনে এ বিষয়ে মন্তব্য করছেন। নাসিরনগর আমার বাড়ি, আমি মাঠে আছি, তাই আমি ভাল বুঝি প্রকৃত ঘটনা কী। নাসিরনগর ডাকবাংলোতে সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মন্ত্রী বলেন, আমার সুনাম ক্ষুণœ করতেই একটি মহল আমার বিরুদ্ধে কিছুদিন আগেও কুৎসা রটনা করেছিল। সেটা ব্যর্থ হয়েই আবারও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমি সকল মিডিয়াকে বলব, সঠিক সংবাদ তুলে ধরতে। আপনারা এমন কোন সংবাদ তুলে ধরবেন না, যাতে হিন্দু ধর্মের লোক ভীত হয়। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা সারা নাসিরনগর ঘুরে দেখেন। একটি লোক যদি বলে আমি হিন্দুদের ‘মালাউন’ বলেছি, তাহলে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেব। নাসিরনগরে আওয়ামী লীগের কোন চিহ্ন ছিল না। আমি এখানে আওয়ামী লীগের বীজ বপন করেছি। ইউএনও প্রত্যাহার ॥ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রত্যাহারের পর এবার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) প্রত্যাহার করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষাপটে ইউএনও চৌধুরী মোয়াজ্জাম আহমদকে নাসিরনগর থেকে সরিয়ে দিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় রবিবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২৪তম ব্যাচের এই কর্মকর্তাকে পরবর্তী পদায়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে। এর আগে নাসিরনগর থানার ওসি আব্দুল কাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তাদের পাশাপাশি স্থানীয় সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হকের পদত্যাগের দাবিও উঠেছে। এক হিন্দু যুবকের ফেসবুক পাতায় ইসলাম অবমাননার অভিযোগ তুলে গত ৩০ অক্টোবর নাসিরনগরে ১৫টি মন্দির এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের দেড় শতাধিক ঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। ওই যুবককে পুলিশ আগের দিন গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠালেও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ব্যানারে ৩০ অক্টোবর প্রতিবাদ সমাবেশ ডাকা হয়। ওই সমাবেশ চলার মধ্যেই হিন্দুপাড়ায় হামলা হয়। আহলে সুন্নাতের ওই সমাবেশে ইউএনও ও ওসি দুজনই উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে বক্তারা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন বলে স্থানীয়রা জানান। তবে আহলে সুন্নাতের নেতারা তাদের দায় অস্বীকার করে পুরো ঘটনার জন্য প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন। হামলা না ঠেকিয়ে তাদের সমাবেশে ইউএনও মোয়াজ্জাম ও ওসি কাদেরের উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা। ৩০ অক্টোবর ওই হামলার পর কড়া পুলিশ পাহারার মধ্যেও পাঁচ দিন পর গত শুক্রবার আবারও নাসিরনগরে হিন্দুদের ঘরে অগ্নিসংযোগ হলে প্রশাসনের গাফিলতি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তার দুই দিনের মধ্যে ইউএনও মোয়াজ্জামকে সরিয়ে দেয়া হলো। গ্রেফতার আরও ৯ ॥ নাসিরনগরে মৌলবাদী তা-বের সঙ্গে জড়িতেদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ বলছে, যারাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৫৩ জনকে গ্রেফতার করা হলো। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাফর জানান, পুলিশের অভিযান চলছে। এদিকে হরিপুর গ্রামের রসরাজ দাসের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়েরকৃত মামলাটি গোয়েন্দা শাখায় ন্যস্ত করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন জানান, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে মামলাটি গোয়েন্দা শাখায় ন্যস্ত করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশ মামলার ফাইলপত্র নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে বলে সূত্র জানিয়েছে। সরকার ও প্রশাসন ব্যর্থ -কাদের সিদ্দিকী ॥ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় সরকার ও প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা রয়েছে। আমরা চাই সব ধর্মের মানুষ নিরাপদে বাংলাদেশে থাকুক। রবিবার বেলা ১১টার হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাংচুরকৃত মন্দির ও ঘরবাড়ি পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নাসিরনগরে হামলার ঘটনায় আমার কাছে সবচেয়ে বেশি মনে হয়েছে প্রশাসনিক দুর্বলতা। দেশে রাজনীতি না থাকলে, মানুষের সম্মান না থাকলে, প্রতিবাদের ক্ষমতা না থাকলে প্রশাসন অথর্ব হয়ে যায়। আমরা এর প্রতিকার চাই। ভারতের সঙ্গে এত বন্ধুত্ব থাকলে একটি সম্প্রদায় এত নির্যাতিত হবে কেন? হাজার বছর আগেও আমাদের এমন সাম্প্রদায়িক রেষারেষি ছিল না। নাসিরনগরের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বি চৌধুরী ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে নিয়ে একটি বেসরকারী তদন্ত কমিটি গঠনের পরামর্শ দেন। তিনি আরও বলেন, হামলায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে তিন আওয়ামী লীগ নেতা বহিষ্কার হওয়ায় বিএনপি নেতা মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন বলেছেন, এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ জড়িত। এর আগে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি নাসিরনগর গৌর মন্দির, দত্তবাড়িসহ ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর পরিদর্শন করেন। প্রতিনিধি দলে হাবিবুর রহমান বীরপ্রতীক, ইকবাল সিদ্দিকী, শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, এ্যাডভাকেট মনমোহন দেবনাথ, এ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান ও এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম ছিলেন। বাড়িঘর মন্দিরে হামলা ও ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ॥ হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দিরে হামলা ও ভাংচুরের প্রতিবাদে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের সামনে রবিবার সকালে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণসচেতন হিন্দু নাগরিক সমাজ ও পূজা উদযাপন কমিটির ব্যানারে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন মানববন্ধনে অংশ নেন। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। হিন্দু পরিবারের ওপর হামলা ও বাড়িঘর, মন্দির ভাংচুরের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অঞ্জন কুমার দেব, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার রায়, পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি কাজল জ্যোতি দত্ত, অরুণ জ্যোতি ভট্টাচার্য্য প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। হিন্দু সম্প্রদায়ের সংবাদ সম্মেলন ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুরে নাসিরনগর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, মন্ত্রী কখনই হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে কটূক্তি করেননি। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ নেতাদের কথা শুনে এ কটূক্তির কথা বলেছেন। আসলে তা সত্য নয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অঞ্জন দেব। এ সময় পূজা উদযাপন পরিষদের উপজেলা সভাপতি কাজল জ্যেতি দত্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অঞ্জন দেব লিখিত বক্তব্যে বলেন, মন্ত্রী ছায়েদুল হক ছাত্রজীবন থেকেই অসাম্প্রদায়িক চেতনার সর্বস্তরের জনগণকে ভালবেসে আসছেন। তার নেতৃত্বেই ১৯৬৮ সালে দত্তবাড়িতে তিনি প্রথম আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। ফলে তিনি এমন বক্তব্য দিতে পারেন বলে তারা বিশ্বাস করেন না। দুই হামলা ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাঁচটি বাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনায় রবিবার পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে। এতে অজ্ঞাত শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাফর। হবিগঞ্জে মানববন্ধন ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, হবিগঞ্জের মাধবপুর এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সংখ্যালঘু সনাতন ধর্মের উপাসনালয়ে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে রবিবার দুপুরে হবিগঞ্জ শহরে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। জেলা কালেক্টরেট ক্যাম্পাস সংলগ্ন প্রধান সড়কে আয়োজিত এ মানববন্ধন কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ও প্রাক্তন পৌর চেয়ারম্যান শহীদ উদ্দিন চৌধুরী। সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন খানের সঞ্চালনায় এ প্রতিবাদ কর্মসূচী চলাকালে বক্তব্য রাখেনÑ বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী আলাউদ্দিন আহমেদ, বিজন বিহারী দাশ, ডাঃ অসিত রায়, নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু, পার্থ প্রতিম রায়, দিপুল রায়, হারুন সিদ্দিকী, তোফাজ্জল সোহেল, বুলবুল চৌধুরী প্রমুখ। বক্তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপাসনালয় ও তাদের ওপর একের পর এক আঘাতকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিত হিসেবে উল্লেখ করে তার জন্য মৌলবাদী গোষ্ঠীকেই দায়ী করেন এবং সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত এসব কর্মকা- বন্ধে সরকারকে কঠোর থেকে কঠোরতর হওয়ার আহ্বান জানান। শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা ॥ শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা চলছে নাসিরনগরে। গত এক সপ্তাহ ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হিন্দুদের মন্দির, বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ঘটনা। পুলিশ প্রশাসন ব্যর্থতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার অবহেলাসহ নানা বিষয় নিয়ে সরব আলোচনা চলছে। অমানবিক এ হামলা ভাংচুর ঘটনায় সেখানকার জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। ভয়ভীতি যেন এখানকার বাসিন্দাদের প্রতিনিয়তই তাড়া করছে। এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মানুষ এখনও আশ্বস্ত হতে পারছে না। বাজারের দোকানপাটগুলোতে বেচাকেনা কমে গেছে। মানুষ গ্রাম থেকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাজারে আসছে না। তার ওপর পুলিশের ব্যাপক ধরপাকড়। এসব কারণে শঙ্কা আর উদ্বিগ্নে দিন কাটছে সংখ্যালঘু লোকজনের। নাসিরনগর বাজারের মিষ্টির দোকানি খোকন গোপ বলেন, বাজারে লোকজন আসা-যাওয়া কমে গেছে। এ কারণে বেচা-বিক্রি নাই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের গোবিন্দ হোটেলের ম্যানেজার রানা দত্ত বলেন, আগে প্রতিদিন ৪০-৫০ কেজি চাউলের ভাত বিক্রি করতাম। এখন কমে তা ১০-১৫ কেজিতে চলে এসেছে। অনুরূপ কথা বলেন, সরোজনী হোটেলের মালিক খোকন সাহা। নাসিরনগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হরিপদ পোদ্দার বলেন, এখনও আশ্বস্ত হতে পারছি না।
×