ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল ॥ শেখ রাসেল ২-০ রহমতগঞ্জ

রহমতগঞ্জকে হারিয়ে রাসেলের বদলা

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ৬ নভেম্বর ২০১৬

রহমতগঞ্জকে হারিয়ে রাসেলের বদলা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ’ ফুটবলে শনিবারের খেলায় অপ্রত্যাশিত জয় কুড়িয়ে নিয়েছে পয়েন্ট টেবিলের তলানির দল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেড। তারা ২-০ গোলে হারিয়েছে লীগের প্রথমপর্বে চমক জাগানিয়া দল রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে। প্রথম লেগে ঠিক একই ব্যবধানে রহমতগঞ্জ পরাভূত করেছিল শেখ রাসেলকে। সেক্ষেত্রে শনিবার জিতে প্রতিশোধটা কড়ায়-গ-ায় নিয়ে নিল ২০১২-১৩ মৌসুমের লীগ শিরোপাধারী রাসেল। নিজেদের ত্রয়োদশ ম্যাচে এটা রাসেলের তৃতীয় জয়। ১১ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান দ্বাদশ থেকে দশমে। পেছনে ফেললো উত্তর বারিধারা এবং সকার ক্লাব ফেনীকে। পক্ষান্তরে সমান ম্যাচে এটা পুরনো ঢাকার ক্লাব রহমতগঞ্জের তৃতীয় হার এবং তিনটি হারই টানা। এর আগে তারা হেরেছিল ঢাকা আবাহনী ও মোহামেডানের কাছে। ২২ পয়েন্ট নিয়ে তারা আপাতত আছে আগের তৃতীয় স্থানেই (এ পরিসংখ্যান পরের ম্যাচ শেখ জামাল-উত্তর বারিধারা ম্যাচের আগ পর্যন্ত)। উপকূলীয় অঞ্চলে নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টিতে বিপিএল ক্রিকেটের খেলা বন্ধ থাকলেও বিপিএল ফুটবলের খেলা বন্ধ থাকেনি। বৃষ্টিভেজা মাঠে খেলেছে রাসেল-রহমতগঞ্জ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম এই ম্যাচের প্রথমার্ধে কোন দলই গোল করতে পারেনি। বরং দু’দলের খেলাই ছিল বিরক্তিকর এবং ছন্নছাড়া। মনেই হয়নি কোন দল এ খেলায় জিততে পারে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র তিন মিনিটের রাসেল-ঝড়ে ল-ভ- হয়ে যায় রহমতগঞ্জ রক্ষণশিবির। দু’দুটি গোল আদায় করে নেয় তারা। খেলা দেখতে আসা একজন ফুটবল সমর্থক মজা করে বলেন- ‘মনে হচ্ছে কোমা থেকে ধীরে ধীরে চেতনায় ফিরে আসছে শেখ রাসেল। আর রহমতগঞ্জ যেন উল্টো ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে কোমায়!’ আগের ম্যাচে নাইজিরিয়ান ডিফেন্ডার এলেটা বেঞ্জামিন জুনিয়রের খেলার ধরন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন রহমতগঞ্জের কোচ কামাল বাবু। বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে- শনিবারের ম্যাচে সেই এলেটাকেই কি না ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করলেন বাবু। সদ্য সমাপ্ত দলবদলে রাসেল তাদের শক্তি বাড়াতে দলভুক্ত করেছে তিন বিদেশীসহ ছয় ফুটবলারকে। এরা হলেন মিশরের ডিফেন্ডার আহমেদ সাইদ হাসান, জাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড মুসুকুমা চিপুনগু, হাইতিয়ান মিডফিল্ডার সেবাস্তিয়ান থুরেইরে, ডিফেন্ডার আমিনুল ইসলাম, গোলরক্ষক মঞ্জুরুল হক শুভ এবং ডিফেন্ডার রজনীকান্ত বর্মণ। পক্ষান্তরে রহমতগঞ্জ কোন ফুটবলারকেই নিবন্ধন করায়নি। ৫২ মিনিটে কাউন্টার এ্যাটাক করে রহমতগঞ্জ। ফরোয়ার্ড রুম্মন হোসেনের পাসে চলন্ত বলে বাঁ পায়ের গড়ানো শটে আগুয়ান গোলরক্ষকের দু’পায়ের ফাঁক গলিয়ে বল জালে পাঠান রাসেলের ফরোয়ার্ড শাখাওয়াত হোসেন রনি (১-০)। ৫৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আবারও সেই রনিই। বল নিয়ে বক্সে ঢুকে তিনি পোস্ট লক্ষ্য করে শট নিতে গেলে দৌড়ে এসে বল হাতে নেন রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক মাহফুজ হাসান প্রিতম। কিন্তু বল নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি তিনি। হাত থেকে ফস্কে যায়। সুযোগটা ভালমতোই কাজে লাগান রনি। বল নিয়ে জালে ঠেলে দিয়ে ফেটে পড়েন উল্লাসে। বাকি সময়টায় আর কোন গোল না হলে তিন পয়েন্ট পাওয়ার চিত্তসুখানুভূতি নিয়ে মাঠ ছাড়ে শফিকুল ইসলাম মানিকের শিষ্যরা।
×