ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সিলেটে নির্মিত হচ্ছে ৭০ বীর নিবাস

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ৬ নভেম্বর ২০১৬

সিলেটে নির্মিত হচ্ছে ৭০ বীর নিবাস

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার হিসাবে ‘ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থান নির্মাণ প্রকল্পে’র আওতায় সিলেটে ৬২টি বীর নিবাস নির্মিত হচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর এ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে। প্রকল্পের আওতায় সিলেট জেলায় ৭০টি বাসস্থান নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই পর্যায়ে ৬২টি বাসস্থান নির্মাণের অনুমোদন পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ৩০টি বাসস্থান নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। ৩১টি বাসস্থান নির্মাণ কাজ চলছে। অন্য একটির পুনঃদরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। প্রতিটি বাসস্থানে থাকছে- দুটি শয়ন কক্ষ, একটি বসার কক্ষ, একটি রান্না ঘর এবং একটি বারান্দা। সব মিলিয়ে ফ্লোর এরিয়ার আয়তন ৫০০ বর্গফুট। এছাড়া, বাসস্থানের বাইরের দিকে রান্নাঘর সংলগ্ন একটি পাকা উঠান, টিউবওয়েল, টয়লেট, লাইভস্টক-শেড এবং পোল্ট্রি শেডেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এলজিইডি সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় সিলেট সদর ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় তিনটি, বালাগঞ্জ ও বিশ্বনাথ উপজেলায় দুটি করে, দক্ষিণ সুরমায় একটি, কোম্পানীগঞ্জে ৯টি, জৈন্তাপুরে ৮টি, গোয়াইনঘাটে ১১টি, কানাইঘাটে চারটি, জকিগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জে ৫টি করে এবং বিয়ানীবাজারে ৯টি ‘নিবাসে’র অনুমোদন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সিলেট সদর, বালাগঞ্জ, বিশ্বনাথ, দক্ষিণ সুরমা, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাটে সব কটি বীর নিবাসের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডাঃ আব্দুন নূর জানান, সরকারীভাবে প্রতি ৬০ জন মুক্তিযোদ্ধা অনুপাতে একটি করে বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। এ হিসেবে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় মোট ৯টি ‘বীর নিবাস’ নির্মাণের অনুমোদন পাওয়া গেছে। আরো দুটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে । কোম্পানীগঞ্জের চাটিবহর গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজমান আলী বীর নিবাস পেয়ে মহাখুশি, মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না। থাকার জায়গা ছিল না। সরকার তাকে এ ঘর নির্মাণ করে দেয়ায় তিনি আনন্দিত। আজমান আলী ৪ নং সেক্টরের সমশেরনগর এলাকায় তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। এলজিইডি সিলেট-এর নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন কান্তি পাল জানান, প্রতিটি নিবাসের প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয়েছে ৯ লাখ ২৫ হাজার ৫৬ টাকা। এটা ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার। তিনি জানান, ২০১৩ সালের জুলাই মাসে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের জুন মাসে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
×