ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

যৌতুকলোভী স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

চার লাখ টাকায় হয়নি ॥ আরও দুই লাখ চাই

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ৬ নভেম্বর ২০১৬

চার লাখ টাকায় হয়নি ॥ আরও দুই লাখ চাই

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ রৌমারীতে যৌতুকলোভী স্বামীর অত্যাচার আর নির্যাতনের শিকার রুবিনা মোস্তারী রুম্পা। যৌতুকের দুই লাখ টাকা না পেয়ে নির্যাতনের পর শিশুসন্তানসহ রুম্পাকে অন্ধকারে ঠেলে দেয় স্বামী। এ অবস্থায় এক বছর ধরে বাবার বাড়িতে অমানবিক জীবনযাপন করছে রুম্পা। এ ব্যাপারে আদালতে মামলা করায় স্ত্রীসহ সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে সুলতান মাহমুদ। অভিযোগে জানা গেছে, চার বছর আগে রৌমারী উপজেলার যাদুরচর তেলিপাড়া গ্রামের সুলতান মাহমুদ বিয়ে করে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চেংটিমারী গ্রামের রাশেদুল ইসলামের মেয়ে রুবিনা মোস্তারী রুম্পাকে। বিয়ের এক বছর পর থেকে দফায় দাফায় যৌতুকের জন্য স্ত্রীর ওপর নির্যাতন করে। এ অবস্থায় মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে অসহায় বাবা-মা জমি বিক্রি করে কয়েক দফায় চার লাখ টাকা জামাইয়ের হাতে তুলে দেয়। এর কিছুদিন পর নতুন করে আরও দুই লাখ টাকা দাবি করে। কিন্তু ওই টাকা দিতে না পারার কারণে এক বছরের শিশুসন্তানসহ স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। কোন উপায় না পেয়ে রুবিনা মোস্তারী রুম্পা জামালপুর আদালতে সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে যৌতুক ও নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। এতে আর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে মাহমুদ। রুবিনা মোস্তারী রুম্পা অভিযোগ করেন, ‘বড় বিশ্বাস নিয়ে সম্পর্ক করে ওকে বিয়ে করি। বিয়ের এক বছরের মাথায় যৌতুকের টাকার জন্য ভযঙ্কর হয়ে ওঠে ও। তখন বুঝতে পারি ও মানুষরূপী শয়তান। কারণে অকারণে উঠতে বসতে আমার ওপর নির্যাতন করে। এমন ঘটনাও ঘটেছে যে, আমাকে খাবার না দিয়ে কষ্ট দিয়েছে। আমার সুখের কথা ভেবে বাবা-মা জমি বিক্রি করে চার লাখ টাকা দেয় ব্যবসা করার জন্য। এতেও মন ভরে না ওর। আরও টাকা চাই। আরও দুই লাখ টাকা দাবি করে। এ টাকা না পেয়ে আমাকে মেরে রাতের অন্ধকারে ঘর থেকে বের করে দেয়। আমার একটা সন্তান রয়েছে, তার বয়স দেড় বছর। বাচ্চাটাকে দেখে ওর ভেতরে কোন মায়া জন্মেনি। মামলা করছি দেইখা ও মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে কয়, মামলা না তুললে তোকে আর সন্তানকে খুন করে সীমান্তের ওপারে ফেলে দিয়ে আসব।’ অভিযুক্ত সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘আমি কোন যৌতুকের টাকা চাইনি। আমার বউ ভাল না। ওকে নিয়ে আমার সংসার হবে না। এ কারণে রাতের অন্ধকারে তাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছি।’
×