ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘ট্রাম্পকে জিততে দেয়া হবে না’

আইএস ও ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে অর্থদাতারা একই ॥ এ্যাসাঞ্জ

প্রকাশিত: ০৩:৩৯, ৬ নভেম্বর ২০১৬

আইএস ও ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে অর্থদাতারা একই ॥ এ্যাসাঞ্জ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ও তার স্বামী সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের দাতব্য প্রতিষ্ঠানে তহবিল জোগানো কাতার ও সৌদি আরবের ধনকুবেররা জঙ্গী সংগঠন ইসলামিক স্টেটকেও (আইএস) দিচ্ছে বলে দাবি করেছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান এ্যাসাঞ্জ। লন্ডনের একুয়েডর দূতাবাসে থেকে রুশ সংবাদ মাধ্যম রাশিয়ান টুডেকে (আরটি) দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন। খবর ইনডিপেনডেন্টের। নির্বাচনে ভোট গ্রহণের মাত্র কয়েকদিন আগে এই দাবি করলেন এ্যাসাঞ্জ। সাক্ষাতকারে তিনি আরও বলেছেন, এই নির্বাচনে হিলারির পক্ষে নেমেছে সব প্রতিষ্ঠান। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জিততে দেয়া হবে না বলে তিনি মনে করছেন। তিনি বলেন, ব্যাংক, গোয়েন্দা সংস্থা, অস্ত্র কোম্পানি, বিদেশী সংস্থা সবাই হিলারি ক্লিনটনের পক্ষে। এমনকি সংবাদ মাধ্যমও, মিডিয়া মালিক ও সাংবাদিকরাও। আমার বিশ্লেষণ হলো যে, ট্রাম্পকে জিততে দেয়া হবে না। কেন আমি এমন বলছি? কারণ প্রত্যেক এস্টাবলিশমেন্টই তার বিরুদ্ধে। ট্রাম্পের কোন এস্টাবলিশমেন্ট নেই। ইভাঞ্জেলিকরা ব্যতিক্রম হতে পারে, যদি তাদের এস্টাবলিশমেন্ট বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ গোপন নথি ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে হইচই ফেলে দেয়া ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা এ্যাসাঞ্জ সুইডেনে হস্তান্তর এড়াতে ২০১২ সাল থেকেই লন্ডনের একুয়েডর দূতাবাসে আছেন। আরটির জন্য তথ্যচিত্র নির্মাতা জন পিলগার সেখানেই এ্যাসাঞ্জের সাক্ষাতকার নেন। সম্প্রতি হিলারির নির্বাচনী প্রচার শিবিরের চেয়ারম্যান জন পডেস্টারের কয়েক হাজার ইমেইল ফাঁস হয়। তাতে গোল্ডম্যান সাকসকে অর্থের বিনিময়ে দেয়া হিলারির বেশ কয়েকটি বক্তব্য এবং মধ্যপ্রাচ্য ও চীন-রাশিয়াকে নিয়ে তার আগ্রাসী মনোভাব প্রকাশিত হয়। গত মাসে ওই সিরিজের প্রকাশিত একটি ইমেলের দিকে ইঙ্গিত করে এ্যাসাঞ্জ বলেন, ফাঁস হওয়া ইমেলগুলোর মধ্যে এটিই ‘সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ’। ২০১৪ সালের ১৭ আগস্ট লেখা ওই ইমেলে দেখা যায়, হিলারি বারাক ওবামার প্রশাসনে কাজ করা পডেস্টাকে সৌদি ও কাতার প্রশাসনকে ‘চাপ’ দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন। ওই ইমেলে বলা হয়, কূটনৈতিক ও চিরাচরিত গোয়েন্দা সম্পদ ব্যবহার করে সৌদি ও কাতার সরকারকে চাপ দেয়া উচিত, যারা আইএস ও ওই অঞ্চলের অন্যান্য জঙ্গী সুন্নি ইসলামিক গোষ্ঠীকে চোরাগোপ্তা অর্থ ও রসদ সরবরাহ করে আসছে। মার্কিন সরকার কখনই মধ্যপ্রাচ্যে তাদের মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে আইএসের সখ্যের কথা স্বীকার করেনি বলেও জানান এ্যাসাঞ্জ। তিনি বলেন, এর বদলে তারা দেখানোর চেষ্টা করছে- দুর্বৃত্ত কয়েক প্রিন্স তাদের তেলের খনি থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে জঙ্গীদের সাহায্য করাসহ যা ইচ্ছা তাই করে আসছে। যেখানে দেশগুলোর সরকারের কোন সমর্থন নেই। সেক্ষেত্রে কি মনে করেন যে যাদের অর্থে আইএস গঠিত হয়েছে, তারাই ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে অর্থ জোগাচ্ছে- পিলগারের এই প্রশ্নে এ্যাসাঞ্জ বলেন, ‘হ্যা।’ সৌদি সরকার ১৯৯৭ সাল থেকে ক্লিনটন দম্পতির এ দাতব্য ফাউন্ডেশনে এক কোটি থেকে আড়াই কোটি ডলারের সাহায্য দিয়েছে।
×