ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘জিয়া সংবিধানের মূল কাঠামো ক্ষতবিক্ষত করেছেন’

প্রকাশিত: ০৮:১৮, ৫ নভেম্বর ২০১৬

‘জিয়া সংবিধানের মূল কাঠামো ক্ষতবিক্ষত করেছেন’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বাহাত্তরের সংবিধানের মূল কাঠামোকে ক্ষতবিক্ষত করেছেন। তিনি বলেন, যার পরিণতিতে রাজনীতিতে ফিরে আসে সেই সাম্প্রদায়িকতা, ঘৃণা আর প্রতিক্রিয়াশীলতা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হয় পদদলিত। শুক্রবার বিকেলে ধানম-ির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে ‘৪৫তম সংবিধান দিবস’ উপলক্ষে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের উপদেষ্টা ও সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেনÑ সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার আমির-উল-ইসলাম, লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, বিচারপতি শামসুদ্দিন হায়দার চৌধুরী মানিক, এ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত প্রমুখ। রাশেদ খান মেনন বলেন, আজ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকলেও রাষ্ট্র পরিচালনা ও রাজনীতির প্রয়োজনে বাহাত্তরের সংবিধানে পুরোপুরি ফিরে যাওয়া যাচ্ছে না। রাজনীতির অবক্ষয় এমন জায়গায় চলে গেছে, যাকে বাণিজ্য ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। একটি গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদের আবহ সৃষ্টি করে দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে। বর্তমান সঙ্কট আমাদের উপলব্ধি করতে হবে। বাহাত্তরের সংবিধানে পুরোপুরি ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত এ সঙ্কট কাটবে না। পর্যটনমন্ত্রী আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষা অনুযায়ী বাহাত্তরের সংবিধান পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান। এ সংবিধানেই প্রথম ধর্মনিরপেক্ষতা সংযোজন করা হয়, ভারতের মতো দেশেও তা সংযোজন করা হয় ১৯৭৬ সালে। এ সংবিধানেই একটি শোষণহীন সমাজ সৃষ্টির প্রত্যয়ে সমাজতন্ত্রের কথা বলা হয়। বাহাত্তরের সংবিধানেই ধর্মকে রাজনীতি থেকে পৃথক রাখার কথা ব্যক্ত করা হয়।
×