ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ডিজিটাল সৃজনশীলতায় প্রেরণা যোগাবে

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ৫ নভেম্বর ২০১৬

ডিজিটাল সৃজনশীলতায় প্রেরণা যোগাবে

প্রায় দু’বছর আগে বিবিসির ‘মেক ইট ডিজিটাল’ কার্যক্রম চালু হওয়ার পর থেকে সব ধরনের ডিজিটাল সৃজনশীলতার প্রসারে বেশ কয়েক ডজন অংশীদার একত্রিত হয়েছেন। তাছাড়া আমাদের চারপাশের প্রযুক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য লাখ লাখ মানুষ অনুপ্রাণিত হয়েছে। ডিজিটাল সৃজনশীলতা আমাদের বহির্জগতকে নিজেদের পছন্দমতো রূপ দেয়ার কাজে সকলের অংশগ্রহণের সুযোগের দ্বার উন্মোচিত করে দিয়েছে। ডিজিটাল হচ্ছে আগামী শতাব্দীর উৎপাদনের উপায় যা আমরা প্রত্যেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। তবে ডিজিটাল সুযোগের প্রশ্ন এলে সকলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা একান্তই প্রয়োজন। কারণ আমরা প্রতিদিন যা কিছু করছি তার বেশিরভাগই ডিজিটালের দ্বারা নির্ধারিত হয়। সম্প্রতি বিবিসি নিউজ আউটলেটগুলোতে ‘টেক ট্যালেন্ট’ ব্যাপারে দর্শক-শ্রোতাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে যুক্তরাজ্য বিশ্বপ্রযুক্তি শিল্পে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে পারে কিনা। আরও জানতে চাওয়া হয়েছিল যে যুক্তরাজ্য গুগল বা এ্যাপল পর্যায়ের টেক জায়েন্ট তৈরি করতে পারেনি কেন। মেক ইট ডিজিটাল অনুষ্ঠানে জড়িত প্রত্যেকের কাছেই এই বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে। কারণ প্রত্যেকের ডিজিটাল সৃজনশীলতা মুক্ত করে দেয়া এবং উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করা আমাদের চিন্তার ক্ষেত্রে অপরিসীম তাৎপর্য বহন করে। নতুন নতুন কোম্পানি গড়ে তোলা, দুনিয়াটা বদলে দিতে পাওয়ার মতো ধ্যান-ধারণা নিয়ে হাজির করা এবং নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করাÑ এগুলো সবই হলো সৃজনশীলতার বিভিন্ন দিক যা উন্মোচন করা দরকার। সেই উন্মোচনের কাজটাই নানাভাবে করা হচ্ছে। গোটা যুক্তরাজ্যের লাইব্রেরিগুলোর সহযোগিতায় মানুষকে বিবিসি আবহাওয়া পর্যবেক্ষক হিসেবে সাইনআপ করতে, ফটোগ্রাফ এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণগুলোর ‘মেক ইট ডিজিটাল’ ওয়েবসাইটে পোস্ট করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে, সেখানে ওদের দেখা যেতে পারে এবং টিভি ও অনলাইনে বিবিসির আবহাওয়া পূর্বাভাসে নিয়মিত ব্যবহার করা যেতে পারে। স্মার্টফোন ও ডিজিটাল ক্যামেরার মতো আধুনিক সাজ-সরঞ্জামের সঙ্গে এ জাতীয় সহজ সম্পৃক্ততার তেমন একটি সমাজ গঠনে একান্তই প্রয়োজন যা ইন্টারনেট ও কম্পিউটারের ক্ষমতার সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে। ইতোমধ্যে গোটা যুক্তরাজ্যে ১১ থেকে ১২ বছরের ছেলেমেয়েদের মধ্যে ১০ লাখ বিবিসি মাইক্রোবাইট বিতরণ করা হয়েছে। আট বছর পর দেখতে পাওয়া যাবে তারা তাদের মেধা ও সৃজনশীলতাকে কিভাবে কাজে লাগায়। এরপর আসছে ওয়েলকাম ফাউন্ডেশনের ‘দি ক্রাঞ্চ’-এর সহযোগিতায় দি বিগ ফুড সার্ভে। এটা হবে ১২ থেকে ১২ বছর, বয়সীদের জন্য যুক্তরাজ্যে বৃহত্তম খাদ্য ও স্বাস্থ্য জরিপ। এই জরিপে ছাত্রছাত্রীদের তাদের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহে বিবিসি মাইক্রোবাইট ব্যবহার করতে বলা হবে। এ ছাড়া আছে বিল্ড ইট স্কটল্যান্ড কার্যক্রম। এর মধ্য থেকে ৭ থেকে ১৪ বছরের মুকুলিত স্থপতিদের মাইনক্র্যাফট, টিঙ্কার ক্যাডের মতো থ্রিডি ডিজাইন সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে স্কটল্যান্ডের শীর্ষ বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরতে কিংবা পিসি, ল্যাপটপ ও র‌্যাসপবেরি পি কাজে লাগিয়ে স্কেচ তৈরিতে অনুপ্রাণিত করা হবে। ‘মেক ইট ডিজিটাল’-এর প্রকল্পগুলোর মধ্যে প্রযুক্তি হচ্ছে গুটিকয়েক প্রকল্প মাত্র, যা সকল বয়সের ও সকল দক্ষতা স্তরের মানুষকে ডিজিটাল সরঞ্জামের সাহায্যে সৃজনশীল হতে অনুপ্রেরণা যোগাবে। আর যুক্তরাজ্য তার নিজস্ব গুগল বা এ্যাপল তৈরি করতে পারবে কিনা সে প্রশ্নের জবাবে বলতে হয় সেটা সম্ভব এবং মেক ইট ডিজিটালের সঙ্গে যে কয়েক ডজন পার্টনার কাজ করছে তারা এ কাজে সাহায্য করতে পারে। বিবিসি
×