ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জেলা পরিষদ নির্বাচন বিএনপির আগ্রহ নেই মাঠে আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ৫ নভেম্বর ২০১৬

জেলা পরিষদ নির্বাচন বিএনপির আগ্রহ নেই মাঠে আওয়ামী লীগ

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ আগামী ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে যশোরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অন্য দলগুলোর মাঝে এ নিয়ে কোন উত্তাপ নেই। তবে ‘কে হচ্ছেন ঐতিহ্যবাহী যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান’- তা নিয়ে বিভিন্ন স্থানে আলাপ-আলোচনা ও জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। এ আলোচনায় আওয়ামী লীগের চার নেতার নাম রয়েছে। সংগঠনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এরই মধ্যে দলের অভ্যন্তরে নির্বাচন সংক্রান্ত তৎপরতা শুরু করেছেন। যশোর জেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক এরই মধ্যে যশোর জেলা পরিষদের নির্বাচনী ওয়ার্ড নির্ধারণ শেষ হয়েছে। ইসির পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী অন্যান্য কার্যক্রম শুরু করা হবে। সূত্র আরও জানায়, সংসদে পাস হওয়া জেলা পরিষদ আইনানুযায়ী যশোর জেলা পরিষদে একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সাধারণ ও পাঁচজন সংরক্ষিত নারী সদস্য নির্বাচিত হবেন। জেলা পরিষদের এ প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করতে ভোট দেবেন উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার জনপ্রতিনিধিরা। এদিকে, জেলা পরিষদ আইন সংসদে পাস হওয়ার পর এ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল থেকে কে হচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী তা নিয়ে কর্মীদের মধ্যে চলছে গুঞ্জন। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা আবদুল মজিদের নাম জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে। এর বাইরে সাবেক এমপি খান টিপু সুলতান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের নামও উচ্চারিত হচ্ছে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। তবে বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক শাহ হাদীউজ্জামান বয়সের ভারে ন্যুব্জ হওয়ায় তার নির্বাচন করার আগ্রহ নেই বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, হাইকমান্ডের নির্দেশে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা যশোর জেলা পরিষদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামের একটি তালিকা কেন্দ্রে পাঠিয়েছে। ওই তালিকায় যশোরের চার সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম রয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের এক তরুণ নেতা জানিয়েছেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে প্রার্থীদের নাম নির্ধারণ করে দেয়া হতে পারে। যদি তাই হয়, সেক্ষেত্রে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আবদুল মজিদ ও পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্যের নাম পাঠানো হতে পারে। নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন জানান, কেন্দ্র থেকে প্রার্থী নির্ধারণ করে দেয়া হবে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী বলেও উল্লেখ করেন। তবে আলোচনায় নাম থাকা অন্য নেতারা এখনই এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হচ্ছেন না। এদিকে জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে জোর আলোচনা থাকলেও অন্য দলের মধ্যে এ নিয়ে কোন উত্তাপ নেই। যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু জানিয়েছেন, জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে তারা ভাবছেন না। কারণ এ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনই সুষ্ঠু হবে না। আর কেন্দ্র থেকেও এ নিয়ে কোন নির্দেশনা নেই। অপরদিকে এ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় পার্টি এখনও আলোচনা না করলেও তারা চেয়ে আছে কেন্দ্রের দিকে। যশোর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী জানিয়েছেন, জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে তারা এখনও কোন আলোচনা করেননি। আর কেন্দ্র থেকেও কোন নির্দেশনা নেই। তবে জোটগতভাবে নির্বাচন হলে তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ চাইবেন।
×