ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শিল্পকলায় প্রাঙ্গণেমোরের দুই নাটক

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ৫ নভেম্বর ২০১৬

শিল্পকলায় প্রাঙ্গণেমোরের দুই নাটক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের অন্যতম নন্দিত নাট্য সংগঠন প্রাঙ্গণেমোর। দলটির বিভিন্ন প্রযোজনা দেশে এবং বিদেশেও প্রশংসিত। বাংলাদেশে নিয়মিতভাবে রবীন্দ্র নাট্যচর্চার ক্ষেত্রে নতুন প্রাণ সঞ্চার করেছে দলটি। দলসূত্রে জানা গেছে, নিয়মিত নাটকমঞ্চায়নের ধারাবাহিকতায় এবার শিল্পকলায় প্রাঙ্গণেমোরের ‘বিবাদী সারগাম’ এবং ‘আমি ও রবীন্দ্রনাথ’ নাটকের মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে আগামীকাল রবিবার জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে সন্ধ্যা ৭টায় ‘বিবাদী সারগাম’ এবং পরদিন সোমবার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে একই সময়ে ‘আমি ও রবীন্দ্রনাথ’ মঞ্চায়িত হবে। ‘বিবাদী সারগাম’ নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন শিশির রহমান এবং ‘আমি ও রবীন্দ্রনাথ’ রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নূনা আফরোজ। নাটক দুটি এ বছরই মঞ্চে এসেছে এবং ইতোমধ্যে দর্শক-নন্দিত হয়েছে। এদিকে ‘আমি ও রবীন্দ্রনাথ’ নাটকটি রচনা, নির্দেশনা, পোশাক ও মঞ্চ পরিকল্পনার পাশাপাশি নাটকের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ও করেন নূনা আফরোজ। এ ছাড়া নাটকটিতে আরও অভিনয় করেন অনন্ত হিরা, আউয়াল রেজা, রামিজ রাজু, তৌহিদ বিপ্লব ও সরোয়ার সৈকত। সঙ্গীত পরিকল্পনায় রামিজ রাজু ও আলোক পরিকল্পনায় তৌফিক রবিন। নাটকের কাহিনীতে দেখা যায়, অথৈ একদিন তার বন্ধুর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিধন্য কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে বেড়াতে যায়। কুঠিবাড়ি দেখতে দেখতে এক সময় অথৈ একাই দোতলার সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে যায়। হঠাৎ অথৈয়ের সামনে এসে হাজির হন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। তিনি অথৈকে কুঠিবাড়ি ঘুরিয়ে দেখার আহ্বান জানান। অথৈ ভুলে যায় তার বন্ধুসহ পৃথিবীর সবকিছু। সে রবীন্দ্রনাথের সাথে কথা বলতে থাকে। অথৈয়ের সামনে পর পর হাজির হয় ২৯ বছর, ৬৯ বছর, ২১ বছর ও ৮০ বছরের ভিন্ন ভিন্ন রবীন্দ্রনাথ। এই চার বছরের রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে অথৈয়ের কথা হয় সেই সময়ের রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তিজীবন ও তাঁর সৃজনশীলতা নিয়ে। আর রবীন্দ্রনাথের প্রতিটি বয়সের সাথে অথৈও বদলে যেতে থাকে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র ও বয়সে। বিভিন্ন বয়সী রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে অথৈয়ের কথপোকথনের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকর্ম ও তাঁর ব্যক্তিজীবনের নানা দিক। অন্যদিকে প্রাঙ্গণেমোর নাট্যদলের ১১তম প্রযোজনা ‘বিবাদী সারগাম’ নাটকটি রচনার পাশাপাশি নির্দেশনাও দিয়েছেন শিশির রহমান। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন- রামিজ রাজু, মাইনুল তাওহীদ, বন্ধু তুহিন, রিগ্যান সোহাগ রতœ, শুভেচ্ছা রহমান, সবুক্তগীন শুভ, লিটু রায়, আহমেদ সুজন, চৈতালী চৈতী, রাহুল, নিরঞ্জন নীরু, সুজন গুপ্ত, প্রীতি, মাহমুদুল হাসান, সোহাগ রহমান, স্বাধীন আরুশ, নূপুর, মিঠুন, উর্মিলা, মৌসুমী মৌ, পরশ ও বাঁধন সরকার। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের আলোয় বাংলার তিন বীর সেনানি বিনয়, বাদল ও দীনেশের কলকাতা রাইটার্স বিল্ডিং আক্রমণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ নাটকের কাহিনী আবর্তিত। এ তিন জনের মধ্যে বিনয় ও বাদল আত্মহত্যা করেছিল আর দীনেশকে উঠতে হয়েছিল ফাঁসির মঞ্চে। বিনয়, বাদল ও দীনেশের কথা অভিবিভক্ত বাংলার অধিকাংশই ভোলেননি। তবে স্বাধীন বাংলাদেশের অনেকেই এই তিন অকুতোভয় বীরের নাম জানেন না। আবার অনেক প্রবীণ দেশপ্রেমিক সচেতন সাধারণ এই মহান বীর সেনানির নাম জানলেও তাদের সমগ্র বিপ্লবী জীবনের কথা অনেকেই জানেন না। সেই সঙ্গে বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স দলের কথা ভালভাবে না জানলে বিনয়, বাদল, দীনেশের কথাও সঠিকভাবে জানা যায় না। ঘটনার বিন্যাসের প্রয়োজনে বিনয়, বাদল ও দীনেশকে তুলে ধরতে গিয়ে সমসাময়িক ঘটনাগুলো বিন্যস্ত করা হয়েছে।
×