ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীপুরে জুয়েলারি কারখানায় কর্মচারী খুন

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ৫ নভেম্বর ২০১৬

গাজীপুরে জুয়েলারি কারখানায় কর্মচারী খুন

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ জেলার কালীগঞ্জে জুয়েলারির কারখানা থেকে এক কর্মচারীর লাশ শুক্রবার উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারখানার কর্মচারী নজরুল ইসলামকে (২৮) আটক করা হয়েছে। নিহতের নাম শ্যামল চন্দ্র বর্মণ (৩৫)। তিনি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বেশনাল গ্রামের মাঝি বাড়ির যুধিষ্ঠির চন্দ্র বর্মণের ছেলে। স্থানীয়রা ও কারখানার মালিক জানায়, গাজীপুরে কালীগঞ্জ বাজারের মদিনা মাকের্টের দ্বিতীয় তলায় গৌরাঙ্গ চৌধুরীর মালিকানাধীন অমিত জুয়েলারি দোকানের কারখানায় কাজ করত শ্যামল ও নজরুল। শ্যামল রাতে ওই কারখানায় ঘুমাত। কালীগঞ্জ থানা হতে মাত্র এক শ’ গজ দূরে এ মার্কেটের নিচতলায় অমিত জুয়েলারির বিক্রয় কেন্দ্র। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতে শ্যামল ওই কারখানায় অবস্থান করছিল। শুক্রবার সকালে কর্মচারীরা কাজে এসে কারখানার শাটার খুলে মেঝেতে শ্যামলের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে এবং কারখানার পকেট গেট খোলা দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। তার বাম কানের নিচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অমিত জুয়েলারি মালিক গৌরাঙ্গ চৌধুরী বলেন, কাজ কম থাকায় রাতে কারখানায় তেমন কোন স্বর্ণালঙ্কার ছিল না। তবে রাতে এক-দেড় ভরির এক জোড়া কানের দুলের কাজ করছিল কর্মচারীরা। ঘটনার পর সেটি আর পাওয়া যায়নি। কালীগঞ্জ থানার এসআই মোঃ মুজিবুর রহমান জানান, অমিত জুয়েলারিসহ বাজারের বিভিন্ন জুয়েলারি দোকানের কাজ করত শ্যামল ও নজরুল। নারী ঘটিত বা অন্য কোন কারণে বৃহস্পতিবার রাতের যে কোন সময় জুয়েলারির কারখানায় ঢুকে কে বা কারা ওই যুবককে খুন করে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জুয়েলারি কাজে ব্যবহার হয় রক্তমাখা এমন একটি সুন উদ্ধার করেছে। তবে কোন কিছু খোয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা সুন দিয়ে বাম কানের নিচে উপর্যুপরি আঘাত করে তাকে খুন করে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই কারখানার কর্মচারী নজরুল ইসলামকে (২৮) আটক করে থানায় আনা হয়েছে। বাগেরহাটে ব্যবসায়ী নিহত ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, মোরেলগঞ্জে প্রতিপক্ষের মারপিটে অপু কর্মকার (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পোলেরহাট বাজারে প্রতিপক্ষ অমল ও শ্যামল কর্মকার ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্বের জেরে তাকে মারধর করে। পরে তাকে আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শুক্রবার দুপুরে বাগেরহাট মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। অপু কর্মকার পোলেরহাট বাজারের ‘বাংলাদেশ জুয়েলার্সের’ মালিক এবং গ্রামের সুধাংশু কর্মকারের ছেলে। নিহতের ভাই দুলাল কর্মকার জানান, ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে একই বাজারে প্রতিপক্ষ ব্যবসায়ী দুই ভাই অমল ও শ্যামল তার ওপর চড়াও হয়ে মারপিট করলে অপু কর্মকার মারা যায়। তবে মোরেলগঞ্জ থানার ওসি রাশেদুল আলম বলেন, লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা বলা যাবে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×