ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

হবিগঞ্জে সেনা সার্জেন্টকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ০৬:০২, ৫ নভেম্বর ২০১৬

হবিগঞ্জে সেনা সার্জেন্টকে কুপিয়ে হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ, ৪ নবেম্বর ॥ গাছ রোপণ নিয়ে বিরোধের জের ধরে শুক্রবার সকালে উপজেলা বাহুবলের পল্লী মহিষদুলং গ্রামে মোজাম্মিল মিয়া (৬০) নামে এক অবসর প্রাপ্ত সেনা সার্জেন্টকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এতে আরও উভয়পক্ষের আহত হয়েছে অন্তত ২৫ জন। নিহত সার্জেন্ট পল্লী মহিষদুলং গ্রামের সুনাফর উল্লার পুত্র। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীগণ জানান, নানা বিষয় নিয়ে ওই গ্রামের ‘চৌধুরী বাড়ি’র সঙ্গে মোজাম্মিল মিয়ার পরিবারের বিরোধ চলে আসছিল। ওই দিন সকালে মোজম্মিল মিয়া তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি গাছ কাটতে গেলে তাতে বাঁধা দেয় ‘চৌধুরী বাড়ি’র লোকজন। এ নিয়ে উভয়ের মাঝে তুমুল বাগ্বিত-া চলাকালে চৌধুরী বাড়ির লোকজন সার্জেন্ট মোজাম্মিলকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনার জের ধরে চৌধুরী বাড়ির লোকজনের ওপর পাল্টা হামলা চালায় সেনা সার্জেন্ট পক্ষাবলম্বনকারী লোকজন। ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে শুরু হয় সম্মুখ লড়াই। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী হাতাহাতি ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রের এই লড়াই চলাকালে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়। এদিকে গুরুতর আহত মোজাম্মিলকে প্রথমে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরবর্তীতে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নেয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি ঘটলে মোজাম্মিলকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তবে পথিমধ্যে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মারা যান। পরে সেনা সার্জেন্টের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ‘চৌধুরী বাড়ি’ পরিবারের সকলেই অন্যত্র পালিয়ে যায়। কুমিল্লায় সেনা সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা থেকে জানান, ছুটিতে বাড়িতে এসে নৃশংস হামলার শিকার হয়েছেন নাজির আহাম্মদ নামের এক সেনা সদস্য। সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে মারাত্মক আহত করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে কুমিল্লা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা সিএমএইচের আইসিউতে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে জেলার বুড়িচং উপজেলার কংশনগর বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই দিন গভীর রাতে বুড়িচং থানায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার পুলিশ এ ঘটনায় ফরহাদ মিয়া নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাভার সেনানিবাসের ৯ পদাতিক ডিভিশনে লেন্স কর্পোরাল পদে কর্মরত ও বুড়িচং উপজেলার কংশনগর গ্রামের ইউছুফ আলীর পুত্র নাজির আহাম্মদ (৩০) এক মাসের ছুটিতে এসে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বাড়ির অদূরে কংশনগর বাজারে আসার পর সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের আবু মুছা, কবির হোসেন, খোকন মিয়া, জসিম উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম সবুজ, আক্তারুজ্জামান সুজন, ফরহাদ, কামাল মিয়া, রাসেলসহ তাদের সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করা হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমিল্লা সিএমএইচ এবং পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা সিএমএইচের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে বুড়িচং থানার ওসি উত্তম কুমার বড়ুয়া জানান, এ হামলার ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত একই গ্রামের ফরহাদ মিয়া নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, অপর আসামি গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
×