ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পররাষ্ট্র সচিব ৮ নবেম্বর দিল্লী যাচ্ছেন

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৫ নভেম্বর ২০১৬

পররাষ্ট্র সচিব ৮ নবেম্বর দিল্লী  যাচ্ছেন

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের প্রস্তুতির লক্ষ্যে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক আগামী ৮ নবেম্বর দিল্লী যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় সফর সফলের লক্ষ্যে তিনি দেশটির পররাষ্ট্র সচিব ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর সফলের লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে এখন প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের সঙ্গে একান্ত বৈঠক হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে। সে সময় কি কি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে, সেটা নিয়ে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক দেশটির পররাষ্ট্র সচিব ড. জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। বিশেষ করে তিস্তা চুক্তি সইয়ের বিষয়টি নিয়েও তারা আলোচনা করবেন। পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক সেখানে ৮-১০ নবেম্বর পর্যন্ত অবস্থান করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লী সফরের জন্য প্রাথমিকভাবে ডিসেম্বরে ৩-৪ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে ওই সময়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের আগেই দুই দেশের মধ্যে যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠকে যোগ দিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ঢাকায় আসতে পারেন। তবে সুষমা স্বরাজের ঢাকার আসার বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সামনে রেখে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক এখন দিল্লী যাচ্ছেন। ভারতের গোয়ায় ব্রিকস-বিমসটেক আউটরিচ সম্মেলনে যোগদানের সময় চলতি বছরের ১৬ অক্টোবর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণেই এই সফর হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৫ সালের ৬-৭ জুন বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। আসন্ন ভারত সফর হবে মোদি সরকার ক্ষমতায় বসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। যদিও ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির স্ত্রীর মৃত্যুর সময়ে শেখ হাসিনা সংক্ষিপ্ত সফরে দিল্লী গিয়েছিলেন। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে সন্ত্রাস দমনে দুই দেশ পরস্পরকে সমর্থন করছে। রাজধানীর গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার পর মোদি এক বার্তায় শেখ হাসিনার পাশে থাকবেন বলে অঙ্গীকার করেন। কাশ্মীরের উরিতে ভারতের সেনাক্যাম্পে হামলার পর শেখ হাসিনা হামলার নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাস দমনে ভারতের পাশে থাকার কথা বলেন। তবে দুই দেশের মধ্যে প্রত্যাশিত তিস্তা চুক্তি এখনও সই হয়নি। বাংলাদেশ আশা করছে, দুই দেশের মধ্যে তিস্তা চুক্তিও সই হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের বিষয়ে এর আগে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী আগামী ডিসেম্বরে দ্বিপক্ষীয় সফরে ভারত যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সফরের বিষয়ে দুই দেশ এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও তিনি জানান। এদিকে ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই ভারতের এখন শক্তিশালী অংশীদার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগও বাড়ছে। দুই দেশের মধ্যে বন্ধন আরও জোরালো করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০১৭ সালে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেয়ার বিষয়টিও ভারত সরকারের বিবেচনায় রয়েছে ।
×