ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পাঁচ ঘর পুড়ে ছাই;###;পুলিশ বলছে, পরিকল্পিতভাবে এসব করানো হচ্ছে;###;জনমনে তীব্র আতঙ্ক;###;পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি মোতায়েন

এবার পেট্রোলের আগুন ॥ নাসিরনগরে সংখ্যালঘু বাড়িতে আবার হামলা

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ৫ নভেম্বর ২০১৬

এবার পেট্রোলের আগুন ॥ নাসিরনগরে সংখ্যালঘু বাড়িতে আবার হামলা

রিয়াজউদ্দিন জামি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ॥ নাসিরনগর। সংখ্যালঘু মন্দির-বাড়িঘরে হামলার রেশ কাটেনি। এর মধ্যেই আগুন। দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে একের পর এক ৫টি ঘর পুড়ে ছারখার। আকস্মিক এ অগ্নিকা-ের ঘটনায় প্রশাসন, পুলিশ এবং গ্রামবাসী হতবিহ্বল। ধারণা করা হচ্ছে পেট্রোল ঢেলে এসব ঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একই সময়ে জেলার নাসিরনগরে এ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। এর আগে রবিবার সেখানে তা-ব চালানো হয় পবিত্র কাবা শরীফের ছবি বিকৃতের ঘটনায়। এ উপজেলার রসরাজ দাস তার ফেসবুক আইডি থেকে কাবা শরীফের ছবির উপর মূর্তি বসিয়ে পোস্ট করে। এ নিয়েই সেখানে চলছে অস্থিরতা। এর ফাঁকেই বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সর্বশেষ সংখ্যালঘুদের ঘরে রহস্যজনক অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। জেলা পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, পরিকল্পিতভাবে এসব করানো হয়েছে। কেউ গেইম খেলতে চাচ্ছে। তবে অপরাধীদের ধরার জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত ২টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে নাসিরনগর উপজেলা সদরের জগন্নাথপুর ও দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরই অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। জগন্নাথপুর গ্রামের সতী রানী বলেন, শুধু আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। কেশব চক্রবর্তী বলেন, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। কে বা কারা আগুন দেয় বুঝতে পারিনি। আমরা এখন ভীতসন্ত্রস্ত। দুষ্কৃতকারীরা এ কাজ করেছে। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মহেন্দ্র চন্দ্র দাস বলেন, তারা সম্ভবত ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। কারণ সব ঘটনা রাত আড়াইটা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে হয়েছে। দুঃখ প্রকাশ করে পরিতোষ দেবনাথ বলেন, ৫০ বছরের জীবনে একসঙ্গে একই কায়দায় এত ঘরে আগুন লাগার এমন ঘটনা শুনেনি। রাজীব দাস বলেন, হঠাৎ দেখি আগুন। পার্শ্ববর্তী ঘরের রাহেলা চিৎকার করে আগুন আগুন বলতেই বেরিয়ে দেখেন আগুনের কু-লী অনেক উপরে। মৌসুমী দাস বলেন, আমার স্বামী পাহারা দিয়ে রাত প্রায় ৩টায় ঘরে এসে শুয়ে পড়ে। পরক্ষণেই চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পাই। বেরিয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। বৃহস্পতিবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ রেজওয়ানুর রহমান, পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম, উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ। শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিআইডি পুলিশের ৪ সদস্যের একটি তদন্ত দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা আলামত জব্দ করেন। সিআইডির ইন্সপেক্টর আলমগীর বলেন, কোন দাহ্য পদার্থ ছিল কিনা তা তদন্তের জন্য সিআইডির রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। তবে সরেজমিন অনুসন্ধানে ধারণা পাওয়া গেছে, পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। কারণ অল্প সময়ের মধ্যেই ছোট ছোট ঘরগুলো পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে। স্থানীয়রা বলছেন, দাহ্য পদার্থ ছাড়া দ্রুত ভস্মীভূত হওয়ার কথা নয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইমেজ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। চক্রান্ত হচ্ছে। অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান। জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান বলেন, সংখ্যালঘুদের গ্রামে গ্রামে পাহারা দেয়া হচ্ছে। তৃতীয় কোন পক্ষ আতঙ্ক জিইয়ে রাখার চেষ্টা করছে কিনা, সরকারী সংস্থা তদন্ত করছে। নাসিরনগরের বাসিন্দারা বলছেন, সহিংসতা যেন থামছেই না। বৃহস্পতিবারের ঘটনায় ভোরে সদরের বিভিন্ন স্থানে ৫টি হিন্দু বাড়ির রান্নাঘর, একটি গোয়ালঘর এবং একটি দুর্গামন্দির পুড়ে গেছে। উপজেলার বণিকপাড়া, দক্ষিণপাড়া, নমশুদ্রপাড়া, পশ্চিমপাড়া ও ঠাকুরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, পুড়ে যাওয়া সবই গোয়াল ও রান্নাঘর। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। একসঙ্গে ৫টি হিন্দুবাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনায় এলাকায় সংখ্যালঘুদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদরের ফুল কিশোর সরকারের বাড়ির গোয়ালঘরে, মৃণাল কান্তি সরকারের দুটি রান্নাঘর, অমর দেবের একটি রান্নাঘর, ঠাকুরপাড়ার সন্টু কবিরাজের একটি পরিত্যক্ত ঘরে ও সাগর দাসের বাড়ির দুর্গামন্দির ঘরে বৃহস্পতিবার রাত তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার মধ্যে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকা-ে রান্নাঘরের আসবাবপত্র, দুর্গামূর্তি এবং পূজার কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়। উপজেলা নির্র্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মোয়াজ্জেম আহমেদ জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল করিম জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কে বা কারা উপজেলা সদরের সংখ্যালঘুদের পাঁচটি গোয়াল ও রান্নাঘরে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন বলেন, যারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা এ গ্রামেরই লোক বলে আমার মনে হচ্ছে। কেননা আমাদের যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল, তাতে বাইরের কেউ এসে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যেতে পারবে না। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা চেকপোস্ট বসানো আছে। যদি বাইরের কেউ এসে এ কাজ করত, তাহলে আমরা অবশ্যই তাদের ধরতে পারতাম। উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পবিত্র কাবা শরীফের উপর শিবমূর্তি বসিয়ে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করার জের ধরে রবিবার উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের পাশাপাশি একদল লোক বের হয়ে উপজেলা সদরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িঘর এবং বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এ সময় হামলাকারীরা ব্যাপক লুটপাটও করে। তাদের হামলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েক জন আহত হন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩ আওয়ামী লীগ নেতা সাময়িক বহিষ্কার ॥ নাসিরনগরে হামলা ও ভাংচুর ঘটনায় ৩ আওয়ামী লীগ নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। এরা হলো হরিপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুখ আহম্মেদ, চাপড়তলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরুজ আলী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহপ্রচার সম্পাদক আবুল হাশেম। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেখানে র‌্যাব ১৪’র একটি অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সমাবেশ ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ঘটনায় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের ডাকে দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের অংশ হিসেবে শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ। এতে বক্তব্য রাখেনÑ এ্যাডভোকেট মিন্টু চন্দ্র ভৌমিক, প্রদ্যোৎ নাগ, ঐক্য ন্যাপের জেলা সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম নঈ, দিলীপ নাগ, সোমেশ রঞ্জনসহ জেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। বক্তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দাবি করেন। রাজনৈতিক স্কোরের জন্য বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ -হাফিজ ॥ রাজনৈতিক পয়েন্ট স্কোর করার জন্য বিএনপির বিরুদ্ধে নানান ধরনের অভিযোগ দেয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন। শুক্রবার বিকেল সোয়া তিনটায় নাসিরনগরে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুপল্লী পরিদর্শনে এসে স্থানীয় গৌরমন্দিরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, গত তিন দিন ধরে আবহাওয়া খুব খারাপ, তিন নম্বর সিগন্যাল চলছে। কালকে হয়ত আপনারা শুনবেন এজন্য বিএনপি এবং খালেদা জিয়াই দায়ী। মানুষের দুঃখ-কষ্ট নিয়ে আমরা রাজনীতি করতে চাই না, আমাদের লোক দেখানো কোন কর্মকা- পরিচালনা করার দরকার নেই। ধর্মের কারণে কোন মানুষ উৎপীড়িত হোকÑ এটা আমরা চাই না। রাজনৈতিক পয়েন্ট স্কোরের জন্য বিএনপির বিরুদ্ধে নানান ধরনের অভিযোগ দেয়া হচ্ছে। নাসিরনগরে হিন্দুপল্লীতে চালানো তা-বের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, কারা নাসিরনগরের ঘটনায় জড়িত তাদের পরিচয় উদ্ঘাটন করা দরকার। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হামলার ঘটনাটি কোন ষড়যন্ত্র কিনা, বা রাজনৈতিক কারণ আছে কিনা, এটিও তদন্ত করে দেখা দরকার। তিনি আরও বলেন, আমরা সরকার, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় মোটেও সন্তুষ্ট নই। তারা কেবলমাত্র রাজনৈতিক দলের কর্মীদের খুঁজে বের করে তাদের মিথ্যা মামলায় জড়াতে ব্যস্ত। প্রকৃত নাগরিকদের জীবন এবং তাদের ধন-সম্পদ রক্ষায় তাদের তরফ থেকে যথেষ্ট উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এর আগে দুপুরে মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিনের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল নাসিরনগরে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুপল্লী পরিদর্শনে আসেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেনÑ সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তী, রুমি ফারহানা, বিএনপি নেতা একরামুজ্জামান, সাবেক মন্ত্রী এ্যাডভোকেট আব্দুর সাত্তার ভূঁইয়া, জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন। বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি ওয়ার্কার্স পার্টির ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িঘরে তা-বের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। শুক্রবার দুপুরে পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মল্লিকের নেতত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায়। এ সময় আনিসুর রহমান মল্লিক সত্য সংবাদ তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান। দলের পলিট ব্যুারো সদস্য মাহামুদুল হাসান, জেলা সভাপতি এ্যাডভোকেট কাজী মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, সম্পাদকম-লীর সদস্য নজরুল ইসলাম, দীপক চৌধুরী প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তারা বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়িও ঘুরে দেখেন এবং পরিবারের সদস্যদের সান্ত¡না দেন।
×