ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ক্ষমা চেয়ে দায়িত্ব নেন

‘মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে চাননি বলে ওসমানী জিয়াকে সাসপেন্ড করেছিলেন’

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ৪ নভেম্বর ২০১৬

‘মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে চাননি বলে ওসমানী জিয়াকে সাসপেন্ড করেছিলেন’

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আকম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, ’৭১ এর মুজিব নগর সরকারের অধীনে জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ করতে চাননি। কিভাবে যুদ্ধ করা হবে সেসব বিষয় নিয়ে যখন আলোচনা হচ্ছিল, তখন জিয়াউর রহমান মুজিব নগর সরকারের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে অস্বীকার করে এক বাক্যে বলেছিলেন- ওয়ার কাউন্সিল করে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করব। কোন রাজনৈতিক নেতৃত্বের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ করব না। এজন্য জেনারেল ওসমানী সেইদিন জিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। পরবর্তীকালে জিয়া ক্ষমা চেয়ে আবার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে যে কারণে হত্যা করা হয়, একই কারণে জেলখানায় বন্দী অবস্থায় জাতীয় চার নেতাকেও হত্যা করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে গাজীপুর শহরের রাজবাড়ী সড়কের দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকম মোজাম্মেল হক এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ, আব্দুল হাদী শামীম, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আজমতউল্লাহ খান ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার কাজী মোজাম্মেল হক, মহানগর আ’লীগের সহসভাপতি কাজী আলীম উদ্দিন বুদ্দিন, এ্যাডভোকেট ওয়াজউদ্দিন মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা রফিজউদ্দিন, আমানত হোসেন খানসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। মন্ত্রী বলেন, যারা বাংলাদেশকে স্বীকার করে না, বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নেয়নি-বাংলাদেশ টিকে থাকুক তারা তা চায় না। তাই তারা শুধু বঙ্গবন্ধুকে নয়, যাদের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে সেই জাতীয় চার নেতাকেও জেলখানায় হত্যা করেছে। এসব হত্যাকা-ের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত। তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে জামায়াতে ইসলাম ও তাদের সহযোগীরা আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অংশ নেয়। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিতরা তাদের প্রভু আমেরিকা ও পাকিস্তানের সহযোগিতায় ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। তারা জানত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কেউ বেঁচে থাকলে তাকে কেন্দ্র করে বাংলার মানুষ আবার ঘুরে দাঁড়াবে। তাই বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে তারা শিশু রাসেলসহ পরিবারের সবাইকে হত্যা করে। কিন্তু তাদের সেই আশঙ্কা সত্যি হয়েছে। বিদেশে অবস্থানের কারণে বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা বেঁচে যান। সেদিন প্রাণে রক্ষা পাওয়া বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলার মানুষ আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
×