ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ৪ নভেম্বর ২০১৬

ঝলক

১৬৮ বছরের পুরনো হাভেলিতে বসবাস ভারতের রাজধানী দিল্লীর পুরনো অংশে বসবাস করছেন অনিল পরসাদ। প্রাচীন বাড়িটির বাসিন্দা হতে পেরে তিনি রীতিমতো গর্বিত। পরসাদ জানিয়েছেন, তিনি কখনও পুরনো দিল্লী ছেড়ে যাবেন না। প্রতি বছর দিল্লী শহরটি দেখার জন্য যেসব পর্যটক আসেন তাদের কাছে প্রধান আকর্ষণ এর প্রাণচাঞ্চল্য, রাস্তার খাবার-দাবার এবং প্রাচীন ভবনগুলো। বিশেষ করে প্রাচীন ভবন ও স্থাপনাগুলো পুরনো দিল্লীর প্রধান আকর্ষণ। মূলত মুঘল আমলেই দিল্লীর ভবনগুলো তৈরি হয়েছে। এর অনেকটিই এখন আর টিকে নেই। দিল্লীর ৫৫৪টি প্রাচীন ভবন সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে ভারত সরকার। তবে লালা চুন্নামালের ‘হাভেলি’ নামের প্রাসাদের মতো বাড়িটি টিকে আছে কেবল ব্যক্তিগত উদ্যোগের জোরেই। কোনরকম সরকারী সাহায্য সহযোগিতা ছাড়াই এতকাল বাড়িটির রক্ষণাবেক্ষণ চলেছে। এটি তৈরি হয়েছিল ১৮৪৮ সালে। উত্তোরাধিকার সূত্রে অনিল পরসাদ এখন এতে বসবাস করছেন। তিনি জানিয়েছেন, এক একরের ওপর জায়গা নিয়ে তৈরি হয়েছে বাড়িটি। এতে রয়েছে ১২৮টি ঘর। যাতে অনায়াসে বসবাস করতে পারে ৩০টির মতো পরিবার। তবে এ বাড়ি ছেড়ে অনেকেই এখন শহরের অন্যত্র চলে গেছেন। পরসাদ জানিয়েছেন, তিনি কখনও এ বাড়ি ছেড়ে যাবেন না। -বিবিসি ক্যাপসুল হোটেল জাপানের ওসাকা শহরে সম্প্রতি তৈরি করা হয়েছে কিছু ক্যাপসুল হোটেল। হোটেলগুলোর বৈশিষ্ট্য হলো যে এতে কোন ডাবল বেড নেই। অল্প জায়গায় বেশি লোকের স্থান সঙ্কুলানের প্রয়োজন থেকে ক্যাপসুল বাড়ি তৈরির কৌশল উদ্ভাবিত হয়েছে। প্রথমদিকে কেবল শ্রমিক বা নিম্নআয়ের লোকজনের জন্য বাড়িঘরগুলো ব্যবহৃত হলেও এটি এখন পর্যটকদেরও মনোযোগ আকর্ষণ করছে। শ্রমিকদের বাসস্থান হিসেবে ১৯৭৯ সাল থেকে জাপানে ক্যাপসুল বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। নিউ জাপান কানকো কোম্পানি এখন সেখানে পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য তৈরি করেছে ক্যাপসুল লিফট। প্রতি ইউনিট ক্যাপসুলের আয়তন ২ মিটার বাই ১ মিটার। ঘুমানোর জায়গাটুকুর উচ্চতা ১৮০ সেন্টিমিটার। জাপানী ভাষায় একে বলা হয় কাবানা। প্রতি রাত থাকার ভাড়া চার থেকে সাড়ে চার হাজার ইয়েন। টোকিওর শিনজুকু এলাকায় নারীদের আবাসনের জন্য ২০০৮ সাল থেকে ক্যাপসুল হোটেল চালু করা হয়। এ পদ্ধতিতে ৮০ শতাংশ জায়গা সদ্ব্যবহার করা সম্ভব হয়। ওসাকা ছাড়াও কিয়োটা ও ফুকুকাতেও ক্যাপসুল হোটেল তৈরি করেছে কানকো কোম্পানি। ২০২০ সালে অনুষ্ঠেয় টোকিও অলিম্পিককে সামনে রেখে পর্যটক ও শ্রমিক শ্রেণীর আবাসন নিশ্চিত করার দিকে মনোযোগ এখন জাপানের। -জাপান টাইমস
×