ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ৪ নভেম্বর ২০১৬

উবাচ

পারলে ঠেকান স্টাফ রিপোর্টার ॥ ৭ নবেম্বর বিএনপি সমাবেশ করতে জলপাইয়ের পাতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। দলের এক সংবাদ সম্মেলনে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জলপাই পাতার ঘোষণা দিয়েছেন। জলপাই পাতা সামরিক ভাষায় শান্তির প্রতীক। রুহুল কবির রিজভী কি আবার ৭ নবেম্বরে পুরনো ৭ নবেম্বরের স্বপ্ন দেখছেন? ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়। ৭ নবেম্বরের মাত্র চার দিন আগে ৩ নবেম্বর বঙ্গবন্ধুর চার ঘনিষ্ঠ সহচর সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে কারাগারে হত্যা করা হয়। এত ঘটনার পরও ৭ নবেম্বরকেই গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার প্রতীকই মনে করে বিএনপি। দিনটিকে আওয়ামী লীগ পালন করে ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ হিসেবে। বিএনপি এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের কর্মসূচী ঘোষণা করেছে। কিন্তু ওই দিন বিএনপির কর্মসূচী ঠেকানোর হুমকি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ নিয়েই এখন উত্তপ্ত রাজনীতি। ‘এ্যাকশন শুরু’ স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরাবরই তার মুখের কথা (সংলাপ) জনপ্রিয়তা পায়। কোন কোন কথা তো মানুষের মুখে মুখেও ঘোরে। তিনি ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের নতুন সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর বলে চলেছেন ‘এ্যাকশন’ শুরু হওয়ার কথা। ছাত্রলীগের দুই নেতা পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করল। সংবাদমাধ্যমে তিনি বললেন, ‘এ্যাকশন’ হবে। এ্যাকশন হলো। বহিষ্কার হলো। কিন্তু এখন তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর সাংসদ বদির জেল হওয়ার পরও বলছেন ‘এ্যাকশন’ শুরু হয়ে গেছে। এরও আগে দলের নেতাকর্মীদের তিনি বলেছেন, আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে যারা ভুল করেছেন, তিনি যে এলাকার ওই এলাকার জনগণের কাছে ক্ষমা চান। যারা আমাদের নির্বাচিত করেছে, তাদের কাছে ক্ষমা চাইতে আমাদের কোন লজ্জা নেই। কারও খারাপ আচরণের কাছে আমাদের নেত্রীর অর্জনকে জিম্মি করতে পারি না। এর জন্য শাস্তি পেতে হবে। ডিসিপ্লিন ভঙ্গ করলে ডিসিপ্লিনারি শাস্তি পেতে হবে। এর সঙ্গে কোন আপোস নেই। তবে এখনও সারাদেশের কোন জায়গা থেকে এমন খবর আসেনি যে, কোথাও কোন ব্যক্তি গিয়ে কারও হাত ধরে কান্নাকাটি করে এমন ক্ষমা চেয়েছে। কেউ হাত মেলায় না স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় পার্টিকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন সাবেক স্বৈরশাসক এইচএম এরশাদ। চোখে পড়ার মতো কোন কর্মকাণ্ড না থাকলেও এরশাদ এমন কথা কয়েকদিন পরপরই বলে থাকেন। এবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির ঢাকা সফরের পর এরশাদ দিলে খোঁচা খেয়েছেন। তাদের কেউ পাত্তা দেননি এরশাদকে। সামনাসামনি দেখা করতে না পারায় বেশ ক্ষুব্ধও তারা। সঙ্গত কারণে আবারও নিজেদের শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টার কথা বলছে। এরশাদ তার কর্মী-সমর্থকদের বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে সাফল্য পেতে হলে দলকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। আগামী এক বছরের মধ্যে সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে দলকে জাগিয়ে তুলব। এরশাদ বলেন, দেশের মানুষ শান্তিতে নেই। জানমালের নিরাপত্তা নেই। সমাজের সবখানে দুর্নীতি। একটি কনস্টেবলের চাকরিতেও আজকাল ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা লাগে। বেকারত্ব, হতাশায় আজ যুবসমাজ বিপথগামী হচ্ছে। খোদ রাজধানীতে কোথায় মাদক বিক্রি হয় প্রশাসন তা জেনেও কোন ভূমিকা নিচ্ছে না। নেশাগ্রস্ত হয়ে যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এসব থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
×