ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে প্রতিমা ভাংচুর

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ৪ নভেম্বর ২০১৬

যশোরে প্রতিমা ভাংচুর

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোরে একটি মন্দিরের বেশ কয়েকটি প্রতিমা ফেলে দেয় তিন সন্ত্রাসী। বুধবার রাতে শহরের ধর্মতলা কদমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তিন সন্ত্রাসীর দুইজনকে ধরে বেদম পিটিয়েছে জনতা। তাদের পুলিশ প্রহরায় জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। খবর পাওয়ামাত্র কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এসপিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে যান। তারা পরে কোন ঘটনা ঘটবে না বলে আক্রান্তদের আশ্বস্ত করেন। স্থানীয়রা বলছেন, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ধর্মতলা কদমতলা সর্বজনীন কালিমন্দিরে গীতাপাঠ করছিলেন পুরোহিত সাধন কুমার পাল। এ সময় সেখানে হাজির হয় ওই এলাকার বারেকের ছেলে শামিম, টিপু হাওলাদারের ছেলে জসিম এবং শাওন নামে তিন তরুণ। তারা পুরোহিতের হাত থেকে ধর্মগ্রন্থ গীতা কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। পুরোহিত সাধন বাধা দিলে তারা মন্দিরে থাকা রাধাকৃষ্ণ, লক্ষ্মী, গণেশ ও মনসা মূর্তি ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। মন্দিরের বেড়াও তাদের ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যায়। হই চই শুনে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে শামিম ও জসিমকে ধরে ফেলেন। তারা বেদম পিটুনি দেন এই দুই জনকে। পুলিশ পরে জনতার হাত থেকে দুই সন্ত্রাসীকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে। ছাত্রীর ঘরে ঢুকে ধর্ষণ, শিক্ষককে গণধোলাই স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ গোদাগাড়ীতে সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীর ঘরে ঢুকে তাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেছে লম্পট শিক্ষক। গ্রামবাসী ওই শিক্ষককে হাতেনাতে আটক করে গণধোলাইয়ের পর পুলিশে সোপর্দ করেছেন। বুধবার রাতের এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গোদাগাড়ী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষকের নাম শহিদুল ইসলাম (৩৮)। তিনি উপজেলার দিগরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। নির্যাতিত ওই ছাত্রীও (১৫) একই স্কুলে পড়াশোনা করে। বুধবার রাতে শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে বলে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে। এজাহারের বরাত দিয়ে জেলার গোদাগাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক আবদুল লতিফ জানান, বুধবার রাতে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা পাশের গ্রামে ইসলামী জলসা শুনতে যান। বাড়িতে ওই স্কুলছাত্রী একাই ছিল। রাত ৯টার দিকে শিক্ষক শহিদুল ইসলাম প্রাচীর টপকে বাড়িতে প্রবেশ করে। এরপর ওই ছাত্রীর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে গেলে এলাকাবাসীর সহায়তায় তাকে আটক করা হয়। এ সময় গ্রামের লোকজন তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে গণধোলাই দেন। রাতেই থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষক শহিদুলকে আদালতে চালান করা হয়েছে।
×