ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এম. আমীর উল ইসলাম

বাংলাদেশের সংবিধানের পটভূমি

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ৪ নভেম্বর ২০১৬

বাংলাদেশের সংবিধানের পটভূমি

বাংলাদেশের সংবিধান বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তি। এর মাঝে নিহিত আছে এদেশের মানুষের হাজারও বছরের লালিত আকাক্সক্ষা, প্রত্যাশা এবং তার আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার অর্জনের সংগ্রাম ও সুদৃঢ় প্রত্যয়। আমাদের সংবিধান শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অসহায়ত্বের বেড়াজাল ভেদ করে জনগণের ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠার দলিল; ক্ষুধা, দারিদ্র্য, বঞ্চনা, শোষণ-শাসনের বাধা অতিক্রম করে মুক্তির জন্য যে ঐতিহাসিক সংগ্রাম তার পথ ধরে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা। বাংলাদেশের প্রথম সাংবিধানিক দলিল- স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে জাতির পিতার স্বাধীনতার ঘোষণা। পৃথিবীর ইতিহাসে দুটি মাত্র দেশ, যাদের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র তাদের ইতিহাসে ঠাঁই পেয়েছে। একটি আমেরিকার ফবপষধৎধঃরড়হ ড়ভ রহফবঢ়বহফবহপব এবং অন্যটি বাংলাদেশের চৎড়পষধসধঃরড়হ ড়ভ রহফবঢ়বহফবহপব-এর ভিত্তিতে তৈরি হয় স্বাধীনতার সাংবিধানিক ভিত্তি। বাংলাদেশের জনগণের হাজার বছরের সংগ্রামের ধারাবাহিক ইতিহাসে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার শাসকগোষ্ঠী বার বার ব্যাহত করেছে। জনগণ সে বাধা মেনে নেয়নি। এর বিরুদ্ধে গড়ে উঠেছে সংগ্রাম, আর সংগ্রামের পথে সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে ৩০ লাখ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ক্ষমতায়নের স্থানটি বলবৎ হয়েছে, যা ঠাঁই পেয়েছে আমাদের সংবিধানে। সকলকে জানান দিয়ে উচ্চারিত হয়েছে ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ’ (অনুচ্ছেদ-৭)। অষ্টম সংশোধনী মামলায় বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের রায়ে ৩২৫, ৩২৬ এবং ৩২৭ অনুচ্ছেদে (সংযুক্ত) এই ইতিহাসের যে সংক্ষিপ্ত বিবরণ রয়েছে তা উল্লেখযোগ্য। কারণ সেই পটভূমি না জানা থাকলে এবং আমাদের মুক্তির ইতিহাস অচেনা থাকলে একদিকে যেমন জনগণের ঐতিহাসিক সংগ্রামের মূল্যায়ন করা সম্ভব না, তেমনি সংবিধানের ওপর বার বার যে আঘাত এসেছে (বিশেষ করে পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনীর মাধ্যমে) সেগুলোর সূত্র বা প্রেক্ষিত আমরা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হব। ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর জনগণের প্রত্যাশা ছিল একটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হবে। জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের ওপর প্রথম আঘাত হানা হয় ১৯৫৪ সালে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত যুক্তফ্রন্টের নিরঙ্কুশ বিজয় ও মুসলিম লীগের চরম ভরাডুবি হওয়ার পরও জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে ধূলিসাত করে নির্বাচিত আইন সভা, মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দিয়ে গবর্নর শাসন চালু হয়। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। সবচেয়ে মারাত্মক স্খলন হয় ১৯৫৫ সালের মে মাসে ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর একমাত্র সার্বভৌম প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত গণপরিষদকে ভেঙ্গে দিয়ে সামরিক শাসন জারির মাধ্যমে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টির মাধ্যমে পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রথম অস্তিত্ব সঙ্কট সৃষ্টি করা হয়। উক্ত সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে সিন্ধু হাইকোর্টে মৌলবী তমিজউদ্দীন খান একটি মামলা দায়ের করেন। সে মামলার রায়ে গণপরিষদ ভেঙ্গে দেয়ার আদেশকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে পাকিস্তান ফেডারেল কোর্টের চীফ জাষ্টিস মুনির যে রায় দেন সেই রায়ে বলা হয় যে, রীট মামলা দায়ের করার কোন এখতিয়ার নেই। কারণ, পাকিস্তানের গণপরিষদে ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের ২২৩ (ক) ধারা সংযোজনের মাধ্যমে হাইকোর্টকে রীট মামলার যে এখতিয়ার দেয়া হয়েছিল, সে এখতিয়ার প্রদান করাই ছিল অসাংবিধানিক কাজ। ক্রটি হিসেবে উল্লেখ করা হয়, ভারত শাসন আইনের উক্ত রূপ সংশোধনীতে গবর্নর জেনারেলের কোন দস্তখত নেই। শুধুমাত্র স্পীকারের দস্তখতে প্রণীত আইন বৈধ হতে পারে না মর্মে প্রধান বিচারপতি যুক্তি প্রদর্শন করেন। অথচ পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়নসহ আইন প্রণয়নের সকল ক্ষমতা তৎকালীন গণপরিষদের ওপর ন্যস্ত ছিল। উল্লেখ্য যে, ঐ সময় যে ৩৮টি আইন প্রণীত হয় তা একইভাবে গৃহীত ও স্বীকৃত ছিল। এমনকি প্রিভি কাউন্সিলের এখতিয়ার বিলুপ্ত আইন, যার দ্বারা পাকিস্তান ফেডারেল কোর্ট সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে পরিগণিত হয়, সে আইনও একইভাবে গণপরিষদ কর্তৃক প্রণীত ও স্পীকার কর্তৃক স্বাক্ষরিত। ইতোমধ্যে ঐ সকল আইনের অধীনে বহু রিট মামলায় শুনানি ও নিষ্পত্তি ঘটেছে এবং ফেডারেল কোর্টের কোন রায়েই এই সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে কোনরূপ প্রশ্ন তোলা হয়নি। জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার গণপরিষদ কর্তৃক স্বীকৃত ও সংরক্ষিত থাকার কথা ছিল। পাকিস্তানের জন্য সংবিধান প্রণয়ন করার এখতিয়ার ও আইনানুগ সরকার গঠন করার ম্যান্ডেট ছিল গণপরিষদের ওপর। কিন্তু পাকিস্তানের তৎকালীন গবর্নর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ সার্বভৌম গণপরিষদকে ভেঙ্গে দিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্রটির শুরুতেই এর সংবিধানের ভিত্তিমূলে কুঠারাঘাত করে। আর সেই অসাংবিধানিক কাজকে ফেডারেল কোর্ট বৈধতা দেয়ার ফলে পাকিস্তানের জনগণের শেষ আশ্রয়স্থলটি সর্বোচ্চ আদালতের ভূমিকায় সাংবিধানিক শূন্যতা ও চরম হতাশার সৃষ্টি হয়। এরপর সাংবিধানিক স্খলনের একটার পর একটা পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে, যার পরিণতি থেকে পাকিস্তান আজও পরিত্রাণ পায়নি। তারপর থেকে জনগণ ও শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে দূরত্ব বাড়তেই থাকে। পরবর্তীতে পাকিস্তান ফেডারেল কোর্টের রেফারেন্স মামলার রায় অনুযায়ী সঙ্কট উত্তরণের পন্থা হিসেবে পাকিস্তানের বিভিন্ন এসেম্বলি থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা নতুন গণপরিষদ গঠন করা হয়। উক্ত গণপরিষদ ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের জন্য প্রথম সংবিধান প্রণয়ন করে। প্রণীত সংবিধান অনুযায়ী পাকিস্তানে নির্বাচন অনুষ্ঠান করার কথা ছিল ১৯৫৬ সালের নবেম্বরে। বিভিন্ন অজুহাতে নির্বাচন পেছাতে পেছাতে সর্বশেষ সময় নির্ধারিত হয় ১৯৫৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু ইতোমধ্যে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা ও সেনাপ্রধান জেনারেল আইয়ুব খান মিলে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ১৯৫৮ সালের অক্টোবর মাসে সামরিক শাসন জারি করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে। পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের জনগণ আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার থেকে আবারও এক নতুন বঞ্চনার শিকার হলো। পাকিস্তানের জনগণ তথা বাংলাদেশের আপামর মানুষ বার বার আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ও বেসামরিক আমলাতন্ত্রের ষড়যন্ত্রের শিকার হয় পাকিস্তানের সর্বঅঞ্চলের জনগণ। সর্বাধিক বঞ্চনার শিকার হয় বাংলার জনগণ। সামরিক আইনের দুঃশাসন, সেইসঙ্গে শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যের সর্বগ্রাসী থাবা বাংলার মানুষের কাছে প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়- ‘সোনার বাংলা শ্মশান কেন?’ আওয়ামী লীগ প্রদত্ত ৬ দফা আন্দোলনের প্রথম দফায় ছিল ‘একটি মানুষ, একটি ভোট’। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধিকারের আন্দোলন এবং তা থেকে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের দাবি, পরবর্তীতে স্বাধীনতা আন্দোলনে রূপ পরিগ্রহন করে। পাকিস্তানের ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায়েরই পুনরাবৃত্তি ঘটল ১৯৭১ সালে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে। নির্বাচিত গণপরিষদের পূর্ব নির্ধারিত ৩ মার্চের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করে নিরস্ত্র মানুষের ওপর জিঘাংসা নিয়ে সামরিক বাহিনী গণহত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে শহর, নগর এবং গ্রামকে গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়। রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক বিকাশের বিরুদ্ধে যে বাধা তা উন্মোচনের সংগ্রামই ছিল বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলন এবং তা থেকে সৃষ্টি হয় স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল শ্রোতধারা। এ বক্তব্য আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার সংবলিত আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারনামায় বর্ণিত আত্মনিয়ন্ত্রণের নতুন সংজ্ঞায়ন। আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান তৈরি করতে পারবে এবং নির্ণয় করতে পারবে তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের পন্থা এবং কৌশল। আমাদের সংবিধান ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের সৃষ্টি এক রক্তক্ষয়ী ঐতিহাসিক সংগ্রামের প্রেক্ষিতে। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুযায়ী ১৯৭১-এর ২৬ মার্চ তারিখ থেকে এটা কার্যকর হবে এবং এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক উক্তরূপ স্বাধীনতার ঘোষণা দৃঢ়ভাবে অনুমোদন ও সমর্থন করা হয়েছে। এই ঘোষণাপত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর অস্থায়ী সংবিধান ঘোষণা করা হয়, যেখানে স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রের স্বীকৃতি রয়েছে। একইভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের সমর্থন ও স্বীকৃতি মেলে সংবিধানের প্রস্তাবনার প্রথম বাক্যে সংবিধানের ১৫০ (৩) অনুচ্ছেদে। যেখানে বলা হয়েছে ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র এতদ্বারা অনুমোদিত ও সমর্থিত হইল এবং তাহা আইন অনুযায়ী যথার্থভাবে প্রণীত, প্রযুক্ত ও কৃত হইয়াছে বলিয়া ঘোষিত হইল।’ সে কারণে ৮ম সংশোধনী মামলার রায়ে বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরী স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকে বলেছেন “Genesis of Constitution” এবং এ কারণে আমাদের Constitution unquie। ঐ রায়ে বল হয়েছে angadesh Constitution is an autochthonous Constitution. কোন আন্তর্জাতিক দলিলে বা আইনে দুটি দলিলে একই অনুচ্ছেদের পুনরাবৃত্তি বিরল। এই দুটি অঙ্গীকারনামা, যথা : আন্তর্জাতিক আইনের এবং মানবাধিকার সংরক্ষণ ও বাস্তবায়নে নাগরিক অধিকারসহ মানবাধিকারের পাশাপাশি অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের বিষয়টি সুনিশ্চিত করেছে। জনগণ যাতে তাদের নিয়মমাফিক ও আইনানুগভাবে এই আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখতে পারে সে লক্ষ্যে নির্বাচন ও জনপ্রতিণিধির মাধ্যমে জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী আইনের শাসন তথা সকলের নাগরিক, মানবিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখতে পারে তা ছিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র তথা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ও সংবিধান প্রণয়নের মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য স্থান লাভ করেছে, যেমন- মানবিক মর্যাদা, তা অন্য কোন সংবিধানে এমনভাবে উল্লেখ নেই। জনগণের সার্বভৌমত্বের বিষয়টি আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে প্রাধান্য লাভ করেছে। এসবই জনগণের দীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রামের ফসল। বার বার অসাংবিধানিক চোরাগলিতে ছিনতাই হওয়ার বিপদ মাথায় নিয়ে বাংলার জনগণ জাগ্রত প্রহরীর মতো সংবিধান রক্ষা করে চলেছে এবং বার বার রক্ত দিয়েছে। তাদের এ অধিকার সমুন্নত রাখতে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তারা বার বার সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে ও সংবিধানের মূল দলিলে এবং এর প্রস্তাবনায় যে মৌলিক মূল্যবোধের কথা বলা হয়েছে তা আমাদের রাষ্ট্রের ভিত্তি। সংবিধানের ভিত্তি দুই দুইবার সামরিক ডিক্রীর মাধ্যমে পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। এ সম্পর্কে অষ্টম সংশোধনীর মামলার রায়ে দেয়া আমার যুক্তি ও বক্তব্য সমর্থনমূলক ভাষায় প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ তার ৮ঃয অসবহফসবহঃ ঈধংব ঔঁফমবসবহঃ, চধৎধ ৩২৪-এ উল্লেখ করেছেন: 'Mr. M. Amir-Ul Islam has referred to the Proclamation of Independence dated 10 April 1971 made when the War of Independence began. This document and the Constitution including its Preamble shwo the principles and ideals for which our national martyrs sacrified their lives and our brave people dedicated themselves to the said war. Essential features of these documents are People's Sovereignty, Constitutions supremacy, Independent Judiciary, Democratic Polity based on free election and justice. He has emphasi“ed the fact that these fundamental principles were not followed, and the basic rights were denied to us, during the Pakistan regime and that is why the war of Independence was fought and won and consequently these rights and principles have been enshrined in the Constitution as the solemn expression of the peoples will and that these objectives are intended to last for all time to come and not to be scraped by aû means including amendment of the Constitution. বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়ের মূল যুক্তি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠা। আমরা যদি আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র এবং বাংলাদেশ সৃষ্টির পটভূমি স্মরণ করি তাহলে সঠিকভাবে সংবিধান বুঝতে ও আত্মস্থ করতে সক্ষম হব। চলবে...
×