স্টাফ রিপোর্টার ॥ ৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। এ জন্য অনুমতি চেয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে শুক্রবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান। এ সময় তিনি বলেন, আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি তাই আশা করছি ৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ সফল করার জন্য প্রশাসন যতো শিঘ্র সম্ভব অনুমতি দেবেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ৭ নভেম্বর ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি সামনে রেখে দেশজুড়ে নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ হানা দিচ্ছে ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। আমরা মনে করি, এটি বর্তমান শাসকগোষ্ঠির শুধু অগণতান্ত্রিক আচরণই নয় বরং এটি রাষ্ট্রক্ষমতার জোরে দেশব্যাপী আধিপত্য বজায় রাখার আরও একটি ন্যাক্কারজনক দৃষ্টান্ত।
৭ নভেম্বর বলে জনগণ কিছু মানে না বলে আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম যে কথা বলেছেন তার কঠোর সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা জনগণ নিয়ে মুখরোচক কথা বলেন। যে দিন সতিক্যার অর্থে জনগণের রায় পাওয়া যাবে সেদিনই আওয়ামী লীগ বুঝতে পারবে ৭ নভেম্বর জনগণ বিশ্বাস করে বা মানুষ পালন করে কি না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে উদ্দেশ করে রিজভী আরও বলেন, বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দিয়ে দেখুন ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে জনগণের সম্পৃক্ততা আছে কিনা।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, জনগণ মানার জন্য যে পদ্ধতিগুলো দরকার সেই পদ্ধতিগুলো তো আওয়ামী লীগ ভেঙ্গে ফেলেছে। জনগণের কথা বলে অগণতান্ত্রিক, ফ্যাসিবাদী আচরণ করবেন আর জনগণের ভোটাধিকার দেবেন না এটাই কি আওয়ামী লীগের নীতি। ইওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন জোর করে দখল করেছেন। ১৫৩টি আসনে কোনো প্রতিদ্বন্ধিতাই ছিল না। এমনকি প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। কাজেই জনগণ মানে না বলে আওয়ামী লীগের নেতাদের মুখে এমন কথা মানায় না।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে রিজভী বলেন, ৮ নভেম্বরের সমাবেশ কর্মসূচি সফল করতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সকল স্তরে প্রস্তুতি জোরদার করুন। আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, আসলে জনগণের যে ক্ষমতা এবং জনগণ যে গণতন্ত্রের জন্য একটা ফ্যাক্টর এটা আপনারা বিশ্বাস করেন না।
এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে ৭ এবং ৮ নভেম্বর এ দুই দিনের জন্যই অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তাই ৭ কিংবা ৮ যে দিনই অনুমতি দেয়া হোক না কেন সেদিনেই জনসভা করা হবে। তবে আমরা ৮ নভেম্বরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। তাই এখনো সময় আছে দেখি অনুমতি দেয়া হয় কি না। আর যদি অনুমতি দেয়া না হয় তাহলে পরবর্তী কর্মসূচি কি হবে তা মিডিয়ার কাছে তুলে ধরা হবে। এখন বিএনপি বিশ্বাস করে যে সরকার সমাবেশ করার অনুমতি দেবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
