ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পুলিশের কানের পর্দা ফাটাল ছাত্রলীগ নেতা

প্রকাশিত: ০৮:১২, ২ নভেম্বর ২০১৬

পুলিশের কানের পর্দা ফাটাল ছাত্রলীগ নেতা

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর, ১ নবেম্বর ॥ শরীয়তপুরে ছাত্রলীগ নেতা আক্তারের থাপ্পড়ে সেলিম মাতুব্বর নামে এক পুলিশ সদস্যের কানের পর্দা ফেটে গেছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সন্ধ্যায় ঢাকা পাঠানো হয়। আক্তার হোসেন সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আলমগীর হোসেন হাওলাদারের ভাগ্নে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ। এদিকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর হাওলাদারের ক্লিনিক সিলগালা এবং এর মালামাল জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সূত্র জানায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন মঙ্গলবার শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের ডাক্তার দেবাশীষ সাহার কক্ষে যান। এ সময় সেখানে তার সঙ্গে শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন। তারা ডাক্তার দেবাশীষ সাহার কাছে হোসেন খন্দকার নামে এক রোগীর আঘাতের চিকিৎসাজনিত সনদপত্র দাবি করেন। রোগী ছাড়া সনদ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন ওই চিকিৎসক। তখন আক্তার হোসেন ডাঃ দেবাশীষকে গালিগালাজ এবং অপদস্থ করে। সেখানে তখন চিকিৎসা নিতে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের নায়েক সেলিম মাতুব্বর। চিকিৎককে কেন এভাবে অপদস্থ করা হচ্ছে তা জানতে চান তিনি। তখন আক্তার উত্তেজিত হয়ে ওই পুলিশ সদস্যকে মারধর করতে থাকে। এ সময় তার থাপ্পড়ে পুলিশ সদস্যের ডান কানের পর্দা ফেটে যায় এবং কান দিয়ে রক্ত ঝরতে শুরু করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইমরান খান বলেন, তার আঘাতটি গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যকে দেখতে হাসপাতালে যান জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হোসাইন খান ও পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন। আক্তারকে আটকের জন্য পুলিশ তার মামা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন হাওলাদারের বাসভবন ও তাদের মালিকানাধীন হাওলাদার ক্লিনিকে অভিযান চালায়। এ সময় আক্তারের কক্ষ থেকে একটি চাপাতি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরপর বিকেলে আলমগীর হাওলাদারের ‘হাওলাদার ক্লিনিক’-এ অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। নীতিমালা ও আইন লঙ্ঘন করে ক্লিনিক চালানোর অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত মালামাল বাজেয়াফত করে ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেয়।
×