ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিষে বিষক্ষয়

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২ নভেম্বর ২০১৬

বিষে বিষক্ষয়

বিজ্ঞানীরা বলছেন, দেহে সবচেয়ে লম্বা বিষের গ্রন্থি আছে এমন একটি সাপের বিষে লুকনো রয়েছে মানবদেহের ব্যথা উপশমের উপাদান। এই সাপের নাম লং গ্ল্যানডেড কোরাল স্নেক। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই সাপকে বলা হয় ‘কিলার অব কিলার্স’ নামে। কারণ শঙ্খচূড়ের মতো বড় বিষধর সাপও এদের খাবার। সাপগুলো গড়ে ছয় থেকে সাড়ে ছয় ফুট লম্বা হয়ে থাকে। এর বিষ এতই তীব্র যে, দেহে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে খিঁচুনি শুরু হয়। বিষাক্ত বস্তু বিষয়ক সাময়িকী টক্সিনে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই সাপের বিষ মানবদেহের স্নায়ুর প্রান্তীয় অংশকে প্রভাবিত করে। ফলে এই বিষ ব্যবহার করে ব্যথা উপশম সম্ভব বলে গবেষকরা মনে করছেন। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. ব্রায়ান ফ্রাই বলেন, ‘বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাপের বিষ কাজ করে ধীরে। কিন্তু এই সাপের বিষ কাজ করে খুব দ্রুত। কারণ এই সাপ অন্য বিষধর সাপও খায়। সুতরাং বিষ কাজ করতে দেরি হলে তারই বিপদ। এই গবেষণা প্রকল্পে ড. ফ্রাইয়ের সঙ্গে চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরের বিজ্ঞানীরাও কাজ করেছেন। -বিবিসি
×