ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

৪৪০৮ কনটেনারে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের পণ্য আটকে আছে

হানজিনের কনটেনারবাহী জাহাজ সিঙ্গাপুর ফিরে গেছে

প্রকাশিত: ০৪:২১, ২ নভেম্বর ২০১৬

হানজিনের কনটেনারবাহী জাহাজ সিঙ্গাপুর ফিরে গেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশী ব্যবসায়ীদের পণ্য জিম্মি করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ হানজিনের কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায়ের অনৈতিক চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে বন্দরে নামতে না দেয়ায় হানজিনের কনটেনারবাহী এমভি শান্তা ফিওরেনজা নামক জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে সিঙ্গাপুর ফিরে গেছে। শনিবার পণ্যভর্তি ৪৬টি কনটেনার নিয়ে জাহাজটি ফিরে যায়। বাংলাদেশী বিভিন্ন নামীদামী শিল্প গ্রুপের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ পণ্য বন্দর থেকে ফেরত যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের সময়ক্ষেপণের ফলে চট্টগ্রামসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হলে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে ব্যবসায়ীরা মন্তব্য করেন। বকেয়া পাওনা আদায়ের অনিশ্চয়তার কথা বলে গত ২০ অক্টোবর এক সার্কুলারে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়ার জাহাজ কোম্পানি হানজিনের লোগোযুক্ত কনটেনার জাহাজ থেকে না নামানোর নির্দেশনা দেয়। দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হানজিনের কনটেনার বন্দরে নামাতে বিধি মোতাবেক মাসুল পরিশোধ করলেও কনটেনার নামাতে দেয়নি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহফুজুল হক শাহ বলেন, বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের আমদানিকৃত পণ্য জিম্মি করে বন্দর কর্তৃপক্ষ টাকা আদায় করতে পারে না। এটা অনৈতিক। এ ধরনের পরিস্থিতিতে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। তিনি আরও বলেন, হানজিনের কনটেনারে আনা পণ্য দ্রুত খালাস করা না হলে বন্দর ব্যবসা-বাণিজ্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বলে আমাদের ধরে নিতে হবে। খালিশপুর পাটপল্লীতে আজও ফেরেনি প্রাণচাঞ্চল্য অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অব্যাহত লোকসানের দোহাই দিয়ে খুলনার ৪টি পাটকল বন্ধ করে বিএনপি-জামায়াত সরকার। এতে শ্মশানে পরিণত হয় খালিশপুরের পাটপল্লী। তবে বর্তমান সরকার পাটকলগুলো আবারও চালু করলে জ্বলে ওঠে আশার আলো, যদিও সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে সেখানে আজও ফেরেনি প্রাণচাঞ্চল্য। শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সময়মতো পাওনা পরিশোধের সঙ্গে মিলগুলোর কর্মকা-ে স্বচ্ছতা আনা গেলে পুরনো চেহারায় ফিরতে পারে খালিশপুর। পঞ্চাশোর্ধ নুর মোহাম্মদ, পাটের সোনালী অতীতে ছোট্ট দোকানের আয়ে খুব ভালভাবেই দিন চলে যেত তার। এখন কর্মসংস্থান হয়েছে তিন সন্তানের, আছে নিজের আয়, এরপরও টানাপোড়েন সংসারে। আসলে পুরো খালিশপুরের চেহারাটাই এখন এমন। মার্সেল ফ্রিজে ১২ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেল এবার রেফ্রিজারেটর ও ডীপ ফ্রিজে রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির মেয়াদ বাড়াল। মার্সেল গ্রাহকরা এখন ১২ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি পাচ্ছেন। চলতি অক্টোবর থেকে এই সুবিধা কার্যকর হয়েছে। আগে মার্সেল ফ্রিজে রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির মেয়াদ ছিল ৬ মাস। বিশেষ করে ফ্রিজের মান উন্নয়ন এবং গ্রাহক সুবিধা বাড়াতে এই উদ্যোগ নিয়েছে মার্সেল। রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির মেয়াদ বৃদ্ধি উপলক্ষে সম্প্রতি এক ডিক্লারেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। রাজধানীর মতিঝিলে মার্সেল কনফারেন্স হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রিজওয়ানা, এইচআরএম বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এসএম জাহিদ হাসান, প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন রাজীব (উত্তর) ও শামীম আল মামুন (দক্ষিণ) ও সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর আনিসুর রহমান মল্লিক।
×