ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাজধানীতে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে দু’জনের মৃত্যু, দগ্ধ বাবুর্চি মারা গেছে

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ২ নভেম্বর ২০১৬

রাজধানীতে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে দু’জনের মৃত্যু, দগ্ধ বাবুর্চি মারা গেছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে পৃর্থকস্থানে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে এক শিশুসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে পান্থপথ এলাকার হামদর্দ পাবলিক কলেজের ক্যান্টিনের রান্নাঘরে কেরোসিনের চুলা বিস্ফোরিত হয়ে দগ্ধ এক বাবুর্চির মৃত্যু হয়েছে। যাত্রাবাড়ীতে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার পুলিশ ও মেডিক্যাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, রাজধানীর সূত্রাপুরে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মোঃ সিজান (১২) নামে স্কুল পড়ুয়া এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত সিজান স্থানীয় একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। তার বাবার নাম সুমন। তারা পুরান ঢাকার গে-ারিয়া ঢালকানগর এলাকায় ভাড়া থাকেন। নিহত শিশুর বাবা সুমন সূত্রাপুরে লক্ষ্মীবাজার ঠাকুর দাস লেনে একটি বাইন্ডিং কারখানায় চাকরি করেন। মৃতের বাবা সুমন জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ঠাকুর দাস লেন তার দোকানের সামনে খেলা করতে গিয়ে ছেলে সিজান বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়। পরে তাকে সেখানে থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে সন্ধ্যার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নেয়া হয়। এ সময় দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, নিহত শিশুর মরদেহ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এদিকে সোমবার রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর মালিবাগ এলাকায় ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ করার সময় বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মোঃ কামাল হোসেন (৫৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তার বাবার নাম মোঃ আনোয়ার হোসেন। তিনি মুগদা মদিনাবাগ এলাকায় বসবাস করতেন। গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন এ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের কর্মচারী জাকির হোসেন জানান, রাত দেড়টার দিকে নির্মাণ কাজ করার সময় জেনারেটরের তারে জড়িয়ে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হন কামাল। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক কামালকে মৃত ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার সকালে ঢামেক মর্গে তার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে ঢামেক হাসপাতালের ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া জানান। দগ্ধ বাবুর্চির মৃত্যু ॥ রাজধানীর পান্থপথ এলাকার হামদর্দ পাবলিক কলেজের পঞ্চম তলার ক্যান্টিনের রান্নাঘরে কেরোসিনের চুলা বিস্ফোরিত হয়ে দগ্ধ রকিবুল ইসলাম (২৫) অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানান, রকিবুলের পুরো শরীর দগ্ধ হয়েছে। তার শ্বাসনালীসহ শরীরের ৯৯ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। ঘটনায় দগ্ধ অপরজন হচ্ছে বাবুর্চি হুজ্জাতুলের শরীরের ৩৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। নিহতের রকিবুলের বাবার নাম মৃত ফিরোজ তালুকদার। গ্রামের বাড়ি নড়াইল জেলার নড়াগাতি উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামে। আত্মহত্যা ॥ সোমবার গভীররাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় স্বামীর ওপর অভিমান করে খাদিজা আক্তারকে (২০) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। মৃত খাদিজার ভাই আবদুলাহ জানান, যাত্রাবাড়ী এলাকার বিবির বাগিচা এলাকার ভাড়া থাকেন। সোমবার রাতে সেই বাসায় পারিবারিক অনুষ্ঠানে খাদিজার সঙ্গে তার স্বামী মোঃ রনির ঝগড়া হয়। এর জের ধরে খাদিজা ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দেয়। পরে তাকে ফ্যান থেকে নামিয়ে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে জরুরী বিভাগে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালে খাদিজার লাশ ঢামেক মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
×