ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পা দিয়ে লিখে জেএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে জসীম

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ২ নভেম্বর ২০১৬

পা দিয়ে লিখে জেএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে জসীম

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ১ নবেম্বর ॥ অদম্য ইচ্ছা আর সাহস নিয়ে জেএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে ফরিদপুরের নগরকান্দার জসীম মাতুব্বর। সে পরীক্ষার খাতায় লেখে পা দিয়ে। জন্মগতভাবে তার হাত দুটি নেই। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় নগরকান্দা উপজেলার মনোহরপুর দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে তালমা নাজিমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র জসিম পা দিয়ে লিখে পরীক্ষা দিচ্ছে। উপজেলার তালমা ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের হানিফ মাতুব্বর ও তছিরন বেগম দম্পত্তির বড় ছেলে জসীম মাতুব্বর। তারা চার ভাই এক বোন। ছোট ভাই রশিদ সপ্তম শ্রেণী, লিমন ৩য় শ্রেণী, আবুল খায়ের কওমী মাদ্রাসায় ও বড় বোন পঞ্চম শ্রেণী পাস করে স্থানীয় মহিলা মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে। জসীম দরিদ্র পরিবারের ছেলে, বাবা হানিফ পরের জমিতে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালায়। সম্পত্তি বলতে শুধু বাড়িটি আছে। মা তছিরন বেগম বলেন, ২০০১ সালের ১৩ মার্চ জসীম বিকলাঙ্গ অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে। আমরা স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই লেখাপড়া জানি না। অভাব অনটনের মধ্যে সন্তানদের লেখাপড়া শেখাচ্ছি। জসীম সব কাজ নিজেই করতে পারে। ফুটবল খেলতে পারে। মুঠোফোন রিসিভ ও কল করতে পারে। মাছ শিকার করতে পারে। জসীম জানায়, বড় হয়ে সে শিক্ষক হতে চায়। এলাকার ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করে তুলতে সে সহায়তা করবে। কেউ তাদের ঠকাতে পারবে না। কুমিল্লায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে পুলিশে নিয়োগ নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ১ নবেম্বর ॥ দেশের মধ্যে এই প্রথম কুমিল্লা পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেনের উদ্ভাবনে নিজস্ব সফটওয়্যার ব্যবহার করে ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে পুলিশে লোকবল নিয়োগ করা হয়েছে। এতে ভুয়া পরীক্ষার্থী কিংবা জালিয়াতির কোন সুযোগ ছিল না। জানা যায়, কুমিল্লা পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন পুলিশে লোকবল নিয়োগের ক্ষেত্রে দেশে প্রথম তাঁর উদ্ভাবিত নিজস্ব সফটওয়্যার ও ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে প্রার্থীর ডাটা এন্ট্রি, তাৎক্ষণিক ল্যাপটপ থেকে প্রবেশপত্র প্রিন্ট, আসন বিন্যাসসহ ফলাফল তৈরি, এসএমএসের মাধ্যমে প্রার্থীদের পরীক্ষার সময়সূচী ও ফলাফল প্রকাশ সুচারু-নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করা হয়। কুমিল্লায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। নিয়োগপ্রাপ্ত ৩৪২ জনের মধ্যে ৩শ’ পুরুষকে নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে এবং ৪২ নারীকে রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে গত ৩১ অক্টোবর ট্রেনিংয়ের জন্য প্রেরণ করা হয়। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন জানান, উদ্ভাবিত সফটওয়্যার ব্যবহার করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে লোকবল নিয়োগ করায় মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। যার ফলে কেউ কোন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ তুলতে পারেনি।
×