ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ফল ঘোষণা নিয়ে শিবিরের তাণ্ডব ॥ ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মী আহত

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ২ নভেম্বর ২০১৬

ফল ঘোষণা নিয়ে শিবিরের তাণ্ডব ॥ ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মী আহত

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ সদর উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহলযুক্ত হাড়িভাষা ইউনিয়নের নির্বাচনী ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর ওপর হামলা, জেলা নির্বাচন অফিস ভাংচুর এবং পরাজিত আওয়ামী লীগ প্রার্থীসহ তার সমর্থকদের বেধরক মারপিটের ঘটনায় পঞ্চগড় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। জামায়াতের নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান সাইয়েদ নুরে আলম ও তার ছোটভাই ফরিদ উদ্দিনের নেতৃত্বে এই তা-ব চালানো হয়। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২৭ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীর নাম দিয়ে এবং অজ্ঞাত আরও ৭০-৮০ জনকে আসামি করে সোমবার গভীর রাতে মামলাটি করেন আওয়ামী লীগের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন। পুলিশ ভোরে নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই ফরিদ উদ্দিনকে আটক করে। হামলার ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান আকতারসহ ৮ জন গুরুতর আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছাত্রলীগ সভাপতি আক্তার ও সহসভাপতি মুরাদ হোসেনকে রাতেই রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যদের পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে সদর উপজেলা নির্বাচনী কন্ট্রোল রুমে ভোটের ফল জানতে গেলে জামায়াত সমর্থিত বিজয়ী প্রার্থী সাইয়েদ নুরে আলমের নেতৃত্বে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা তাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বাধা দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপরও আক্রমণ করে এবং নির্বাচন অফিসে ভাংচুর চালায়। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তাড়া খেয়ে এক পর্যায়ে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ খবর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের চৌরঙ্গী এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। কলাপাড়ায় নির্বাচন অফিস ঘেরাও নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া থেকে জানান, চাকামইয়া ইউনিয়নের ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের মেম্বার পদের নির্বাচনী ফল পাল্টে দেয়ার অভিযোগ এনে তাছলিমা বেগমের সমর্থকরা মঙ্গলবার দুপুরে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অফিস ঘেরাও করে সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করে। এ সময় অফিসের বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। দ্রুত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অবস্থানকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। তাছলিমা বেগমের সমর্থকরা ফল কারচুপির অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনার জন্য তাছলিমা বেগম ও তার সমর্থকরা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ আবুবকর সিদ্দিককে অভিযুক্ত করেছেন। তাছলিমার দাবি, তিনি তিনটি কেন্দ্রে মোট ১০৪৭ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী শিল্পী বেগমের প্রাপ্ত ভোট তাকে দেখিয়ে পরাজিত করার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন।
×