ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইমরানের ডাক্তারি পড়ার অনিশ্চয়তা কেটে গেছে

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ২ নভেম্বর ২০১৬

ইমরানের ডাক্তারি পড়ার অনিশ্চয়তা কেটে গেছে

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের সতীরাম গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের মেধাবী সন্তান ইমরানের স্বপ্ন ছিল ডাক্তারি পড়ার। চলতি বছর মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে উত্তীর্ণ হয়ে নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগও লাভ করেছেন। কিন্তু দারিদ্র্য তার স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এ নিয়ে গত ২২ অক্টোবর দৈনিক জনকণ্ঠে ‘ইমরানের ডাক্তারি পড়ায় বাধা শুধু অর্থ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পরে দৃশ্যপট পাল্টে যেতে থাকে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের দানশীল ব্যক্তিরা ইমরানের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এতে ইমরানের স্বপ্ন পূরণের অনিশ্চয়তা কেটে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক এ. কে. এম. শামিমুল হক ছিদ্দিকী গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দশ হাজার টাকার চেক ইমরানের হাতে তুলে দেন। এর আগে ঢাকার শীর্ষস্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা ২০ হাজার এবং গলাচিপার বাসিন্দা কিন্তু ঢাকার প্রতিষ্ঠিত এক ব্যবসায়ী ২০ হাজার টাকা ইমরানের হাতে তুলে দেন। ওই অর্থ দিয়ে ইমরান নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজে ইতোমধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। গলাচিপার বাসিন্দা বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আসাদুজ্জামান আসাদ ইমরানের সহায়তায় গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ২০ হাজার টাকা পৌঁছে দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল বাকী জানান, তাঁর কাছে এরই মধ্যে ইমরানের সহায়তার জন্য ৩৬ হাজার টাকা জমা হয়েছে এবং আরও বেশ কয়েকজন দানশীল ব্যক্তি সহায়তায় আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ভবিষ্যতে যাতে অর্থ সঙ্কটে ইমরানের ডাক্তারি পড়ায় সমস্যা সৃষ্টি না হয়, এজন্য একটি স্থায়ী তহবিল গড়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। সমাজের মহানুভব দানশীল ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার জন্য ইমরান গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
×