ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আইএস জঙ্গীদের প্রতি ইরাকের প্রধানমন্ত্রী

‘আত্মসমর্পণ নয়তো মৃত্যু’ আবাদির হুশিয়ারি

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ২ নভেম্বর ২০১৬

‘আত্মসমর্পণ নয়তো মৃত্যু’ আবাদির হুশিয়ারি

ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী মসুলের কাছাকাছি ইরাকী বাহিনী পৌঁছে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি সোমবার আত্মসমর্পণ করার জন্য ইসলামিক স্টেট জঙ্গীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আবাদি ইরাকী সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। খবর বিবিসি, ইয়াহু নিউজ আল জাজিরার। যোদ্ধার পোশাক পরিহিত অবস্থায় টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে ইরাকী প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের কোন উপায় নেই। হয় তারা আত্মসমর্পণ করবে নয়তো মরতে হবে। ইরাকী বিশেষ বাহিনী বর্তমানে মসুল শহরের পূর্বাংশের প্রবেশপথ থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। তারা শহরটিতে প্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে। জানা গেছে, দক্ষিণ দিক থেকেও সামরিক বাহিনীর অন্য ইউনিট শহরটির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আইএসের অপর নাম ব্যবহার করে আল-আবাদি বলেন, আমরা সবদিক থেকে দায়েশের খুব কাছে চলে এসেছি এবং ইনশাআল্লাহ আমরা এই সাপের মাথা কর্তন করতে সক্ষম হব। তাদের বের হওয়ার কিংবা পালিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। সোমবার ইরাকী সামরিক বাহিনী মসুলের পূর্ব, উত্তর এবং দক্ষিণাংশের বেশ কিছু গ্রাম পুনরুদ্ধার করেছে বলে দেশটির সেনাবাহিনীর সূত্র জানিয়েছে। তবে ঠিক কখন মুসলে চূড়ান্ত অভিযান শুরু হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। ইরাকী নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার সদস্য, কুর্দি পেশমার্গা যোদ্ধা, সুন্নি আরব উপজাতি এবং শিয়া আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা এই অভিযানে অংশ নিচ্ছে। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে মসুল উদ্ধারে অভিযান শুরু হয়। ২০১৪ সালের জুনে আইএস জঙ্গীরা মসুল দখল করে। ১৭ অক্টোবর ইরাকী বাহিনী অভিযান শুরুর আগে ১৫ লাখ অধিবাসীর শহরটিতে ৩ থেকে ৫ হাজার আইএস জঙ্গী থাকতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল। ইরাকী বিশেষ বাহিনী এখন আইএস জঙ্গীদের বিতাড়িত করার লক্ষ্যে মসুলে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে, ইরাকী সৈন্যরা জানিয়েছে, তারা কোন সৈন্যের প্রাণহানি ছাড়াই কয়েকটি আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলা ঠেকিয়ে দিয়েছে। সোমবার ভোরে বাজওয়া নামে একটি গ্রামে আইএস জঙ্গীদের সঙ্গে সংঘর্ষকালে কয়েকটি সাঁজোয়া যানে মর্টার ও ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণ করা হলে সেগুলোতে আগুন ধরে যায়। একটা সময় আইএস অবস্থানসমূহে কামান থেকে গোলাবর্ষণ করা হয় এবং বিমান থেকে আক্রমণ করা হয়। সোমবার সন্ধ্যানাগাদ লড়াই বন্ধ হয়ে যায় এবং সেনা ইউনিটসমূহ মসুলের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত থেকে এক মাইলেরও কম দূরত্বে অবস্থান গ্রহণ করে। এলকাটি মসুলের মধ্যাঞ্চল থেকে প্রায় ৫ মাইল দূরে। ইরাকের বিশেষ বাহিনীর অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হায়দার ফাদিল জঙ্গী গোষ্ঠীটিকে আরবি নামে অভিহিত করে বলেন, আমরা শীঘ্রই মসুল নগরীতে প্রবেশ করব এবং এটিকে দায়েশের কবল থেকে মুক্ত করব। তিনি বলেন, ওই লড়াইয়ে আইএসের ২০ জনেরও বেশি জঙ্গী নিহত হয়। অন্যদিকে মাত্র একজন ইরাকী সৈন্য সামন্য আহত হয়েছে।
×