ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ

হ্যাজার্ড, কোস্তার নৈপুণ্যে চেলসির জয়

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১ নভেম্বর ২০১৬

হ্যাজার্ড, কোস্তার নৈপুণ্যে চেলসির জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইডেন হ্যাজার্ড ও দিয়াগো কোস্তার নৈপুণ্যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে সহজ জয় পেয়েছে চেলসি। রবিবার রাতে এ্যাওয়ে ম্যাচে দ্য ব্লুজরা ২-০ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিক সাউদাম্পটনকে। আরেক ম্যাচে এভারটন একই ব্যবধানে পরাজিত করে ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডকে। গত সেপ্টেম্বরে আর্সেনালের কাছে হারের পর ইপিএলে এ নিয়ে টানা চার ম্যাচ জিতল সাবেক শিরোপাধারী চেলসি। আগের তিন ম্যাচে হাল সিটি, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিচেস্টার সিটি ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারায় এ্যান্টোনিও কন্টের দল। অথচ গত মৌসুমে ঠিক এই সময়েই নিদারুণ দুঃসময়ের মধ্যে ছিল চেলসি। হারতে হারতে তালিকার একেবারে তলানিতে ছিল ব্লুজরা। কিন্তু এবারের মৌসুমে এখন পর্যন্ত বেশ ভাল অবস্থানে তারা। লীগের ১০ ম্যাচ শেষে পয়েন্ট তালিকায় চতুর্থ স্থানে চেলসি। পয়েন্ট ২২। ম্যানচেস্টার সিটি, আর্সেনাল আর লিভারপুলের সঙ্গে চেলসির পয়েন্টের ব্যবধান মাত্র ১। তিন দলেরই পয়েন্ট ২৩ করে। সাউদাম্পটনের মাঠে শুরু থেকেই চড়াও হয়ে খেলতে থাকে চেলসি। ফল পেতেও বিলম্ব হয়নি। ষষ্ঠ মিনিটে বেলজিয়াম তারকা হ্যাজার্ডের গোলে এগিয়ে যায় অতিথিরা। ডান দিকে থাকা ভিক্টর মোজেসকে বল বাড়িয়ে দ্রুত বক্সের মধ্যে ঢুকে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোলরক্ষক ফ্রেজার ফস্টারের পায়ের ফাঁক দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন হ্যাজার্ড। এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় চেলসি। বিরতির পর ৫৫ মিনিটে কোস্তার চোখ ধাঁধানো গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে অতিথিরা। হ্যাজার্ডের পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ২৫ গজ দূর থেকে ডান পায়ের বাঁকানো শটে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত এই ফরোয়ার্ড। ৮ গোল নিয়ে এভারটনের রোমেলু লুকাকু ও ম্যানচেস্টার সিটির সার্জিও এ্যাগুয়েরোকে পেছনে ফেলে এককভাবে লীগের শীর্ষ গোলদাতা এখন কোস্তা। গত মৌসুমে হ্যাজার্ড ও কোস্তার অফফর্মের কারণেই ভুগতে হয় চেলসিকে। দলের করুণ দশায় চাকরি হারান কোচ জোশে মরিনহো। এবার অফফর্ম কাটানোর ইঙ্গিত দিচ্ছেন দু’জনই। তবে ২০১৪-১৫ মৌসুম ফেরাতে পারবেন কিনা সেটা এখনও সময় হাতে বন্দী। ইপিএলে টানা তিন ম্যাচে গোল পেয়েছেন হ্যাজার্ড। এখন পর্যন্ত লীগে তার গোল পাঁচটি। গত মৌসুমের এই সময় গোলের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। চেলসির হয়ে নিজের প্রথম মৌসুমে কোস্তা যা করেছিলেন গত মৌসুমে তা ছিল অনুপস্থিত। এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত তার নামের পাশে লেখা হয়ে গেছে আট গোল। দলের সেরা দুই তারকা ছন্দে ফেরায় সঙ্গতকারণেই খুশি চেলসি কোচ এ্যান্টোনিও কন্টে। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, যখন হ্যাজার্ড, কোস্তার মতো খেলোয়াড়েরা মাঠে পরিশ্রম করে খেলতে থাকে, তখন যে কোন কোচেরই খুশি হওয়ার কথা। ওরা দুজনেই স্ট্রাইকার। বিশেষ করে একজন স্ট্রাইকারের পক্ষে দলের জন্য বাড়তি পরিশ্রম করাটা বেশ কঠিন। কিন্তু এই কঠিন কাজটি তারা সুন্দর করেই করছে। এই ম্যাচের পারফর্মেন্সে আমি খুবই খুশি। দলের খেলোয়াড়দের দায়িত্ববোধ, পরিশ্রম ছিল দুর্দান্ত। শিরোপা নিয়ে ভাবছেন কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে কন্টে বলেন, এটা নিয়ে বলা এখন কঠিন। সবারই জানা ইপিএল অনেক কঠিন জায়গা। এখানে কি হয় বলা মুশকিল। এখনও বলার সময় আসেনি কে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে। তবে এটা ঠিক, আমরা ট্রফির জন্যই খেলছি।
×