ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ১ নভেম্বর ২০১৬

ঢাকার দিনরাত

গত সপ্তাহে ঢাকার কেন্দ্রস্থল গুলিস্তান এলাকার হকার উচ্ছেদ এবং ১৬ ঘণ্টা পর আবারও হকারদের স্বস্থানে বহাল হওয়া নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। স্বল্প পুঁজি নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায় নিয়োজিত এই হকাররা অবৈধ জেনেও যুগ যুগ ধরে তাদের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এটা অস্বীকার করা যাবে না, জনসংখ্যার চাপে নাকাল এই রাজধানীর এইসব অবৈধ বিক্রেতাদের বড় ক্রেতা হচ্ছে নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। তবে এই ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছে মূলত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাংশ এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার ক্ষমতাসীন ও প্রভাবশালী নেতাকর্মীরা। কিভাবে? হকারদের কাছ থেকে প্রতিদিন চাঁদা তোলা হয়, সেই চাঁদা বিলি হয় চার স্তরে। মানে চার ভাগ হয় সেই চাঁদা, তবে সেটা সমান হারে নাকি অসম হারে- তার হিসাব মেলে না। টাকার ভাগ নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ, সিটি করপোরেশনের একশ্রেণীর কর্মকর্তা, স্থানীয় সন্ত্রাসী, রাজনৈতিক দলের নেতা থেকে শুরু করে অনেকেই। হকারদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সাংবাদিকরা জানাচ্ছেন রাজধানীর গুলিস্তানেই শুধু প্রতিদিন অর্ধকোটি টাকার চাঁদাবাজি হয়। ৩০ জন লাইনম্যান এই টাকা তোলেন। অবশ্য এটি একটি সহযোগী পত্রিকার তথ্য। অন্য আরেকটি পত্রিকার হিসাবে গুলিস্তান, পল্টন ও বায়তুল মোকাররম এলাকার হকারদের কাছ থেকে তোলা চাঁদার পরিমাণ প্রতিদিন ২৮ লাখ টাকা। হিসাবে গরমিল দেখে তথ্যটি একেবারে উড়িয়ে না দিয়ে আমরা বুঝে উঠতে পারি প্রতিদিন বড় অঙ্কের টাকাই চাঁদা হিসেবে তোলা হয়ে থাকে হকারদের কাছ থেকে। হকার অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের বরাত দিয়ে যেসব তথ্য কাগজে পাই তাতে এটুকু অন্তত নিশ্চিত হয়ে আমরা বলতে পারি যে, গোটা ঢাকায় ফুটপাথের হকারদের দোকান রয়েছে কয়েক লাখ। শুধু গুলিস্তান, পল্টন ও বায়তুল মোকাররম এলাকাতেই রয়েছে তিন হাজারের ওপরে। সম্প্রতি সিটি করপোরেশন থেকে উদ্যোগ নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র‌্যাবসহ সব পক্ষের উপস্থিতিতে গুলিস্তান এলাকার হকারদের একটি তালিকা করা হয়েছে। তাতে দুই হাজার ৫০২ জন হকারের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। যা হোক, রাতারাতি হকার উচ্ছেদ যেমন সম্ভব নয়; তেমনি হকারদের পুনর্বাসনের জন্য গৃহীত পদক্ষেপ সফল করে তোলাও কঠিন কাজ। তবে সদিচ্ছা নিয়ে দৃঢ়তার সঙ্গে উদ্যোগী হলে চাঁদাবাজি বন্ধ করা সম্ভব হলেও হতে পারে। কার্তিকের বৃষ্টি, যানজট এবং তিন চাকার ভোগান্তি ঢাকার মানুষ সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবারকে আলাদাভাবে বিবেচনা করে থাকে। যানবাহনের চালকও যেমন মনে রাখে আজ বৃহস্পতিবার, ঢাকার রাস্তায় অন্য দিনের তুলনায় বেশি গাড়ি থাকবে; তেমনি যাত্রীরাও মনে রাখেন আজ ভিড়টা হবে সপ্তাহের সেরা। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আবার বৃষ্টি। ঢাকায় বৃষ্টি মানেই বিচিত্র জটিলতা ও বিড়ম্বনা। প্রধান প্রধান সড়কের দু’পাশে পানি জমার কারণে সরু হয়ে যায় রাস্তা। ফলে পথচারী ও যানবাহনের চালকদের জন্য বাড়তি অসুবিধা তৈরি হয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে কর্মজীবীদের কাজে বেরুতেই হয়। উত্তরা থেকে নিউ ইস্কাটনে জনকণ্ঠ ভবনে যাব। সিএনজিঅলারা বৃহস্পতিবারের স্পেশাল ট্রাফিক জ্যামকে বাড়তি ভাড়া চাওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন। মিটারে যেতে বেশির ভাগ সিএনজিঅলারই আপত্তি। তবে কিছুকাল আগেও তারা চুক্তি করা ভাড়ায় যাত্রীর গন্তব্যস্থলে গেলেও গাড়ি স্টার্ট দিয়েই যাত্রীকে অনুরোধ করতেন ট্রাফিক পুলিশ ধরলে যেন বলা হয় মিটারেই তিনি যাচ্ছেন। এ দফা দেখলাম চালক সেসব কেয়ার করলেন না। ঢাকার সিএনজি-যাত্রীরা জানেন মিটারে গেলে মিটারের চাইতে কমপক্ষে কুড়ি টাকা বেশি দেয়ার মৌখিক প্রতিশ্রুতি তারা আগেভাগেই যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করে রাখেন। তারপরও অস্বস্তির কাঁটা খচখচ করে। মিটারে কারসাজি রয়েছে না তো! যাহোক, তিন চাকার সিএনজি অটোরিক্সা যে এতটা পলকা আর শব্দদূষণকারী, এটা আগে হাড়ে হাড়ে টের পাইনি। যেহেতু হাড়ের যন্ত্রণায় ভুগছি, তাই সত্যিই এবার হাড়ে হাড়েই টের পেলাম। ঢাকার বড় বড় রাস্তাও যে অসমান, মানে এবড়োথেবড়ো এবং ছোটখাটো গর্তে ভরা সেটাও বিলক্ষণ বুঝলাম। আর ঝাঁকুনির কথা বলে কী হবে। অফিস ছুটির পর বিরাট ভিড় হবে- এমন আশঙ্কা থেকে আগেভাগে বেরিয়ে পড়েছিলাম। এবারকার অভিজ্ঞতা আরও করুণ। সিএনজিঅলারা উত্তরায় যেতেই চান না। অথচ যাত্রী যেখানেই যেতে চাইবেন তারা সেদিকেই গাড়ি হাঁকাতে বাধ্য- এমনটাই শর্ত প্রযোজ্য। সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা কোন আইনই মানতে চান না। তাদের আইন মানতে বাধ্য করা কি এতটাই কঠিন! বলছিলাম যানজটের কথা। সন্ধের পর সেদিন যানজটে নাকাল হয়েছে ঢাকার প্রতিটি অঞ্চলের অফিসফেরত মানুষ- একথা এত নিশ্চিত হয়ে বলছি কিভাবে? মতিঝিল থেকে যে চাকুরে ফিরেছেন, ধানম-ি থেকে যে ব্যাংকার বাসায় গেছেন তাদের মুখ থেকেই জেনেছি ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে থাকার কথা। গণপরিবহন, মানে বাস-মিনিবাস বিকেল থেকেই যাত্রীঠাসা, আর সিএনজি অটোরিক্সা তো সোনার হরিণ ওই পিক আওয়ারে! বৃষ্টি, বৃহস্পতিবার- এই যুগলবন্দী দেখছি এখন ঢাকাবাসীর জন্য যুগল যন্ত্রণা হয়ে উঠেছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সব পক্ষেরই সপ্তাহের এই শেষ দিবসটিকে নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হবে, নতুন পরিকল্পনার ছক কাটতে হবে বলেই অনুমান করছি। যমের শরবত! ম্যাঙ্গো জুসকে না হয় আমের শরবত বলা গেল, যমের শরবতটা কী? ম্যাঙ্গো জুসের নামে যমের শরবত তৈরি ও বাজারজাত করে টাকার পাহাড় গড়া কতিপয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ঢাকায় যাদের একটি এবার হাতেনাতে ধরা খেয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ছয় ট্রাক ‘জুস’। কাপড় তৈরিতে ব্যবহৃত রং দেওয়া হচ্ছিল জুসে। এছাড়া ঘনচিনি, স্যাকারিন আর ফ্লেভার দিয়েও তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ভেজাল জুস। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকার কাদের ফুড প্রডাক্টস নামের একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত এসব দেখতে পান। এ কারণে আদালত প্রতিষ্ঠানের মালিককে দেড় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। আদালত পরিচালনার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেখতে পান, কারখানায় নোংরা পরিবেশে কাপড়ে ব্যবহৃত বিভিন্ন রং, ফ্লেভার আর ঘনচিনি ও স্যাকারিনের দ্রবণ তৈরি করে পাল্প ছাড়াই ম্যাঙ্গো জুস ও এনার্জি ড্রিংকস তৈরি করা হচ্ছে। তাদের মান নিয়ন্ত্রণ ও বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নেই। আদালত অভিযুক্ত মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান যে চার বছর ধরে এভাবে জুস তৈরি করছেন এবং সারাদেশে সরবরাহ করছেন। এ জন্য তিনি আদালতের কাছে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান। এইসব মহাপাপ! আশির দশকের শেষ দিকে হলিউডে দি এ্যাকিউসড্ নামে একটি চলচ্চিত্র হয়েছিল যেটিতে জুডি ফস্টার গ্যাং রেপের শিকার এক নারীর ভূমিকায় অভিনয় করে একাডেমি এ্যাওয়ার্ড জিতেছিলন। পানশালায় প্রবেশকারী এক নারীর দিকে চোখ পড়তেই এক মদ্যপ উত্তেজিত হয়ে ওঠে, তার সঙ্গীও জুটে যায়। সবাই মিলে নারীটিকে ধরাশায়ী করে ফেলে। সিনেমাটির সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ওইসব যৌন অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া। কান খাড়া করে প্রতিটি সংলাপ না শুনে উপায় থাকে না। পুরুষ মানুষ ইতর প্রাণী নয়, তাই সে নারীর ওপর বল প্রয়োগ করে তার জৈবিক প্রয়োজন মেটাতে পারে না। যৌনাকাক্সক্ষা জেগে ওঠা শুধু দৈহিক নয়, এক গভীর মনোস্তত্ত্বের বিষয় বৈকি। প্রকাশ্যে সেটির প্রকাশভঙ্গি সব সময়েই অরুচিকর। প্রাপ্তবয়স্ক নারীকে ধর্ষণকারী ব্যক্তির শাস্তি সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে দেশের এক জনপ্রিয় লেখক তার উপন্যাসের চরিত্রের মুখ দিয়ে বলিয়েছিলেন যে, ধর্ষণের ফলে নারীর যে শারীরিক ক্ষতি হয় সেটির জন্য ধর্ষণকারীর যাবজ্জীবন কারাদ- বা মৃত্যুদ- অত্যন্ত বাড়াবাড়ি! আমি নিশ্চিত এ ধরনের বক্তব্য কখনোই কোন নারী লেখকের কাছ থেকে পাওয়া যাবে না। ধর্ষণ যে নারীর ওপর জঘন্যতম আক্রমণ ও অসম্মান সেটি অনেক পুরুষই বুঝে উঠতে পারেন না। মেয়েশিশুর ওপর এ জাতীয় নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলতে গেলে আমাদের অনেকেরই লেখার কলম যেন স্থবির হয়ে পড়ে। প্রায় দু’দশক আগে একটি শিশুধর্ষণের সংবাদ পড়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলাম। পরে ‘পশু ও শিশু’ কবিতায় সেটি তুলে আনার ব্যর্থ চেষ্টা করেছিলাম। সেখান থেকে কয়েকটা লাইন তুলে দিচ্ছি: পুরু পর্দা টানা ঘরের ভেতর বাতি নেভানো নৈঃশব্দ অ ন্ধ কা র গ্রহণের উপযুক্ত হয়নি এমন নম্র কোমলতার ওপর হামলে পড়েছে পৈশাচিক লোলুপতা প্রকৃতির শৃঙ্খলা বিদীর্ণ করে কিছু হাহাকার ধ্বনি উঠতে না উঠতেই পৃথিবীর সিমেন্টে সমাহিত চিত্রকরের প্লেট থেকে গড়িয়ে পড়ছে রক্তের মতো তীব্র কিছু লাল... দেশে কি হঠাৎ শিশুধর্ষণ বেড়ে গেল! দশটি জাতীয় পত্রিকার তথ্য পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম বলেছে, ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে শিশু ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে ১৬১ দশমিক ৮১ শতাংশ। গণধর্ষণ বেড়েছে ৩৫০ শতাংশ। ধর্ষণের পর হত্যার সংখ্যা বেড়েছে ৪৩ শতাংশ। ধর্ষণের চেষ্টা বেড়েছে ৩৮০ শতাংশ। উত্ত্যক্তকরণ বেড়েছে ৭৭১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। যৌন নিপীড়ন বা শ্লীলতাহানির ঘটনা বেড়েছে ২৩৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এ দুই বছরের তুলনামূলক পর্যালোচনায় শুধু ধর্ষণের পর আত্মহত্যা কমার প্রবণতা পাওয়া গেছে। ধর্ষণের পর আত্মহত্যা কমেছে ৮৩ শতাংশ। দিনাজপুরের শিশুটি (কী বীভৎস্য আক্রমণেরই না সে শিকার!) এখন শুশ্রƒষা পাচ্ছে ঢাকায়। সর্বশেষ খবরে জানছি ধর্ষণের শিকার পাঁচ বছরের শিশুটির অবস্থা ভালর দিকে। তার প্রজনন অঙ্গের ক্ষতের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আতঙ্কও অনেকটা কমে এসেছে। এ লেখা যখন তৈরি করছি সে সময়েই দু’টি খবর পেলাম। রাজধানীর ভাটারা থানায় পঞ্চম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে শিশুটির পরিবার। শনিবার রাতে ভাটারা থানার নুরেরচালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শিশুটির বাবা বলেন, গতকাল রাত আটটার দিকে প্রতিবেশী এক যুবক তাঁর মেয়েকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে পাশের একটি ভবনে নিয়ে আরও কয়েকজন মিলে তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। শান্তিবাগে সাত বছরের এক শিশুকে রবিবার সন্ধ্যার আগে অপরিচিত এক ব্যক্তি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। সেদিন শিশুদের সুরক্ষায় পরিচালিত ‘চাইল্ড হেল্পলাইন’ উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী নিজের মানবিক গুণাবলী জাগিয়ে তুলে সমাজকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। মানুষের ভেতরের পশুত্ব যেন কখনও জেগে না ওঠে, তার জন্য সচেতনতা সৃষ্টির কথাও বলেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বান বর্তমান সময়ের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। মাঝেমধ্যে হতাশা এসে ভর করে- কোথায় চলেছে আমাদের সমাজ। যৌন নির্যাতনসহ শিশু নির্যাতনের ঘটনা উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিলম্বিত বিচার। শিশু নির্যাতনের ঘটনায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল করার দাবি দীর্ঘদিনের। দেশের যে কোন প্রান্তে কোন শিশু কোন ধরনের সহিংসতা, নির্যাতনের শিকার হলে বিনা মূল্যে হেল্পলাইনে ফোন করে জানাতে পারবে। দেশে শিশু নির্যাতন যে হারে বেড়েছে, তাতে হেল্পলাইন চালু করার ফলে কিছুটা কাজ হবে নিশ্চয়। তবে সবার আগে প্রয়োজন শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ। মনে হচ্ছে শিশুর ওপর বর্বর নির্যাতন প্রতিরোধ এবং নির্যাতনকারীকে শাস্তি দেয়ার জন্য বিশেষ তৎপরতা ও আইনের সংশোধন জরুরী হয়ে পড়েছে। ৩০ অক্টোবর ২০১৬ [email protected]
×