ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

২০১০ সালে এই ইংলিশ অধিনায়কের সেঞ্চুরিতে হেরেছিল বাংলাদেশ

এবার পারলেন না কুক

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ৩১ অক্টোবর ২০১৬

এবার পারলেন না কুক

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এবার পারেননি এ্যালিস্টার কুক। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছেন। এরপরও বাংলাদেশের জন্য ভীতির কারণ ছিলেন ইংলিশ অধিনায়কই। তরুণ বেন ডাকেটকে নিয়ে যেভাবে শুরু করেছিলেন সেই ভয়টা দানা বাঁধতে শুরু করেছিল বাংলাদেশের বোলিং বিভাগে। ২৭৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামার পর কুকের অর্ধশতকটাই বাংলাদেশ দলের আরেকটি টেস্ট পরাজয়ের শঙ্কাকে বাস্তব রূপ দিতে চলেছিল। কিন্তু এবার আর সেটা হতে দেননি তরুণ ডানহাতি অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। চলতি সিরিজে ইংলিশ অধিনায়কের সবচেয়ে ভাল খেলা ইনিংসটার যবনিকা ঘটিয়েছেন। চলতি সিরিজে প্রথম অর্ধশতক হাঁকানো কুক ৫৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এশিয়ার মাটিতে সর্বশেষ দুই শতাধিক রান তাড়া করে ২০১০ সালে এই মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামেই ৯ উইকেটের বড় জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। সেবার ২০৯ রানের লক্ষ্যটা ছুঁয়েছিল তারা কুকের অপরাজিত ১০৯ রানের সুবাদে এবং এশিয়ার মাটিতে সেটাই ছিল ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। এবার সেই কুককে পুরো সিরিজেই আটকে দিয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়ার মাটি কিংবা উপমহাদেশটাই পয়মন্ত কুকের জন্য। টেস্ট ক্যারিয়ারে যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি ভারতে। ২০০৬ সালের ১ মার্চ নাগপুরে মাত্র ২১ বছর বয়সে বাঁহাতি এ দীর্ঘকায় ওপেনারের অভিষেক ঘটেছিল। তারপর থেকেই তিনি দলের অপরিহার্য একজন হয়ে উঠেছেন। এশিয়ার মাটিতে যে কোন বিদেশী ব্যাটসম্যানের চেয়ে সেরা কুক। কুক এশিয়ার মাটিতে ২১ টেস্ট খেলে ৬০.৮৬ গড়ে সর্বাধিক ২২৫২ রান করেছেন। ২৬৩ রানের একটি বড় ইনিংস ছাড়াও সবমিলিয়ে ৮ সেঞ্চুরি ও ৯ হাফসেঞ্চুরি করেছেন এশিয়ার মাটিতে। এশিয়ার বাইরের কোন দেশের আর কোন ব্যাটসম্যান এত রান করতে পারেননি এশিয়া সফরে। তারপরের নামটি দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিসের। তিনি ২৫ টেস্টে ৫৫.৬২ গড়ে ৮ সেঞ্চুরি ও ৮ হাফসেঞ্চুরিসহ করেছিলেন ২০৫৮ রান। এমন দুর্দান্ত নৈপুণ্য তিনি নিজ দেশেও দেখাতে পারেননি। ঘরের মাটিতে ৭৫ টেস্টে তিনি ৪৫.১৩ গড়ে ১৩ সেঞ্চুরি ও ২৮ হাফসেঞ্চুরিসহ করেছেন ৫৫৫২ রান। ক্যারিয়ারের বাকি ৮ শতক হাঁকিয়েছেন বিশ্বের অন্যান্য দেশ সফরে ৩৭ টেস্ট খেলে। এশিয়ার ভূমিটা যে কুকের এত সাফল্যে ভরা সেই কুক এবার নাকানি-চুবানি খেয়েছেন বাংলাদেশী স্পিনারদের সামনে। চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে তিনি ৪ ও ১২ রান করে সাজঘরে ফিরেন সাকিব আল হাসান ও মিরাজের ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে। প্রয়োজনের সময় কি করতে পারেন সেটার প্রমাণ দিয়েছিলেন ২০১০ সালে প্রথমবার বাংলাদেশ সফরে। সেটাই ছিল নিয়মিত ও স্থায়ী অধিনায়ক হিসেবে এ ৩১ বছর বয়সী ক্রিকেটারের প্রথম মিশন। সেই সফরের দুই টেস্টেই তিনি দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়েছেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এ সিরিজের আগে ৪ টেস্টের ৭ ইনিংসে দুটি সেঞ্চুরিসহ ৬৬.৮৩ গড়ে করেছিলেন ৪০১ রান।
×