ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সন্ত্রাসী হামলায় তাড়াশ উপজেলা চেয়ারম্যান আহত

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ৩১ অক্টোবর ২০১৬

সন্ত্রাসী হামলায় তাড়াশ উপজেলা চেয়ারম্যান আহত

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বরিশালের ভ্যানচালক, বেড়ায় বৃদ্ধ, পটিয়ায় চালকসহ দুইজন, রংপুরে পথচারী, ফরিদপুরে বৃদ্ধা ও মুন্সীগঞ্জে শিশু সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। স্টাফ রিপোর্টার, নিজস্ব সংবাদদাতা ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর : বরিশাল ॥ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার বেজহার মোল্লাবাড়ি এলাকায় রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাকুরা পরিবহনের সঙ্গে ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ভ্যানচালক রায়হান মাতুব্বর (৩৩) ঘটনাস্থলেই নিহত ও দুই যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত রায়হানের বাড়ি মাহিলাড়া ইউনিয়নের পূর্ব বেজহার গ্রামে। গুরুতর আহত ওই এলাকার নান্টু মাতুব্বরের মেয়ে অনু আক্তার ও রিয়া আক্তারকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বেড়া, পাবনা ॥ রবিবার সকালে ট্রাকের ধাক্কায় সাহেব আলী সরকার (৯০) নিহত হয়েছেন। টহল পুলিশ ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করলেও চালক পালিয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জোড়দাহ গ্রামের সাহেদ আলী সরকার বেড়া চক্ষু হাসপাতাল থেকে চোখ দেখিয়ে ফেরার পথে সিএনবি মোড়ে রাস্তাপারাপারের সময় চলন্ত ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। পটিয়া ॥ রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়কের লোহাগাড়া উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপের মুখোমুুখি সংঘর্ষে চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন, পিকআপ চালক কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ইসহাক মিয়ার ছেলে ওসমান ও অপরজন লোহাগাড়া উপজেলার মোরশেদ। রংপুর ॥ ট্রাকচাপায় অজ্ঞাত যুবক নিহত হয়েছে। রবিবার ভোর সোয়া ৬টার দিকে সদর উপজেলার উত্তম হাজিরহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো ভোরে হাঁটতে বের হলে পেছন দিক থেকে ট্র্রাক তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ফরিদপুর ॥ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন মাজু খাতুন (৭০)। রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গি ইউনিয়নের শঙ্করপাশা এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মাজু খাতুন নগরকান্দার ডাঙ্গি ইউনিয়নের পোড়াদিয়া গ্রামের আরব শাহের স্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের বাস পুকুরিয়াগামী অটোবাইকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মুন্সীগঞ্জ ॥ ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকের চাপায় নাজমূল হোসেন (৬) নিহত হয়েছে। রবিবার শহরের উপকণ্ঠ মুক্তারপুরের বাগবাড়ী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই শিশুটি মারা যায়। এ ঘটনায় ঘাতক ইজিবাইকটি আটক করেছে পুলিশ। স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হক রবিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের মধ্যে বাগ্বিত-ার পর সভা শেষে উপজেলা চেয়ারম্যান নিজ কার্যালয়ে উপস্থিত হলে তিনি এ হামলার শিকার হন। এ ঘটনার পর তাড়াশ বাজারে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে হামলাকারীরা। পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সভায় উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারী কর্মকর্তা জানান, মাসিক সমন্বয় সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য গাজী ম ম আমজাদ হোসেন মিলনকে দোষারোপ করে দু-এক ইউপি চেয়ারম্যান বক্তব্য রাখেন। একপর্যায়ে থানার ওসিকেও দোষারোপ করা হয়। এর প্রতিবাদ করেন সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন মিলন। তিনি মনে করেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের ইন্ধনে ইউপি চেয়ারম্যানরা উদ্ধত আচরণ করছেন। এ নিয়ে এমপি এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যে বাগ্বিত-া হয়। একপর্যায়ে সংসদ সদস্য সভা ত্যাগ করেন। সভা শেষ হওয়ার পর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক নিজ কার্যালয়ে ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন। দুপুরে খাবারের আগে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে তার মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। আহত উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হককে উদ্ধার করে প্রথমে তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের আরএমও ডাঃ আকরামুজ্জামান জানান, তার মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপের আঘাত গুরুতর। সেলাই দিয়ে রক্ত সঞ্চালনসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন মিলন এমপির স্ত্রী ডেইজী মিলন জানান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল ও বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় জিডি হওয়ায় মাসিক সমন্বয় সভায় ওসিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তারা। সংসদ সদস্য প্রতিবাদ করায় উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হকের ইন্ধনে চেয়ারম্যানরা এমপির বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। একপর্যায়ে তাকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে। এ অবস্থায় এমপি সমন্বয় সভা ত্যাগ করেন। তারপর উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে কী হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা কেউ অবগত নই। এমপির নির্দেশে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেনি।
×