ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসঙ্গীত উৎসব শুরু ১০ নবেম্বর

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ৩১ অক্টোবর ২০১৬

ঢাকা আন্তর্জাতিক  লোকসঙ্গীত উৎসব  শুরু ১০ নবেম্বর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক লোকসঙ্গীত। লোকগানের সেই শ্রোতাদের জন্য সুসংবাদ। অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসঙ্গীত উৎসব ২০১৬। যান্ত্রিক শহর ঢাকায় শোনা যাবে বাংলার ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, জারি, সারি আর বাউল গানের সুর। সঙ্গীতের এই বৃহৎ আসরে এদেশের মাটির গানের সঙ্গে শোনা যাবে আরও ছয়টি দেশের শেকড়সংলগ্ন লোকজসঙ্গীত। বাংলাদেশের নন্দিত লোকসঙ্গীত শিল্পীদের পাশাপাশি এ আসরে গান শোনাবেন ভারত, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, ফ্রান্স, কানাডা ও স্পেনের প্রখ্যাত শিল্পীরা। আগামী ১০ নবেম্বর থেকে আর্মি স্টেডিয়ামে শুরু হবে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেস্ট। শ্রোতাদের জন্য উন্মুক্ত তিন দিনের এ সঙ্গীতাসর শেষ হবে ১২ নবেম্বর। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টায় সূচনা হয়ে পরিবেশনা চলবে রাত ১২টা পর্যন্ত। কাল মঙ্গলবার থেকে চালু হবে নিবন্ধন কার্যক্রম। দ্বিতীয়বারের মতো মেরিল নিবেদিত এ উৎসবের আয়োজক সান ইভেন্টস। সহযোগিতায় রয়েছে গ্রামীণফোনের জিপি মিউজিক, ঢাকা ব্যাংক ও মাইক্রোসফট বাংলাদেশ। রবিবার গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে লোকসঙ্গীত উৎসবের নানা তথ্য ধরা হয়। দেশ-বিদেশের শতাধিক শিল্পীর উৎসবে অংশ নেয়ার কথা জানানো হলেও এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুতি হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সান ইভেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের, গ্রামীণফোনের চীফ মার্কেটিং অফিসার ইয়াসির আযমান, ঢাকা ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমরানুল হক এবং মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির। নিবন্ধন প্রক্রিয়া ॥ কাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে উৎসবে অংশগ্রহণের জন্য শ্রোতাদের নিবন্ধন কার্যক্রম। অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া। উৎসবে অংশ নিতে ফযধশধরহঃবৎহধঃরড়হধষভড়ষশভবংঃ.পড়স ঠিকানায় নিবন্ধন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্টের নম্বর কিংবা স্কুল/কলেজের আইডি কার্ড প্রয়োজন হবে। রেজিস্ট্রেশন সফল হলে পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়া ফেসবুকে ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেস্ট’ পেজটিতে পাওয়া যাবে আয়োজনের সকল তথ্য। বিস্তারিত জানার জন্য কল করতে হবে ১৬৩৭৪ নম্বরে। অনুষ্ঠানটির টেলিভিশন সম্প্রচারের দায়িত্বে থাকবে মাছরাঙা টেলিভিশন। এছাড়া ফেসবুকে ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেস্ট’ পেজটির নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে পুরো অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখার সুযোগ থাকবে। উৎসবে প্রবেশের শর্তসমূহ ॥ অনুষ্ঠানে প্রবেশের জন্য অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রতিদিন ভেন্যুতে প্রবেশের সময় ই-টিকেট দেখাতে হবে। প্রত্যেককে যে কোন প্রকার ছবিসংবলিত শনাক্তকরণ পরিচয়পত্র রাখতে হবে। কোন ধরনের ব্যাগ নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করা যাবে না। অনুষ্ঠানস্থল থেকে একবার বের হলে আর ভেতরে প্রবেশ করা যাবে না। বাইরে থেকে আনা খাবার কিংবা পানীয় নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। খাবারের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে ফুড কোর্ট থাকবে। এছাড়া ভেন্যুতে বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যাবে। ‘আগে আসলে আগে পাওয়া যাবে’ ভিত্তিতে আসন বণ্টন করা হবে। গাড়িং পার্কিংয়ের কোন ব্যবস্থা থাকবে না। গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসবের সমাপ্তি ॥ প্রতিদিন তিনটি করে মঞ্চনাটকের সঙ্গে নাচ-গান, আবৃত্তি ও পথনাটকের পরিবেশনায় শেষ হলো জমজমাট এক উৎসবের। দশ দিনব্যাপী গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসবের সমাপনী দিন ছিল রবিবার। এদিন সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে অনুষ্ঠিত হয় সমাপনী আয়োজন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ। উৎসবের আয়োজন গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব পর্ষদেরর আহ্বায়ক ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম ক্দ্দুুছের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শিল্পী ফকির আলমগীর, পথনাটক পরিষদের সভাপতি নাট্যজন মান্নান হীরা, নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি শিল্পী মিনু হক ও আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী মোঃ আহ্্কাম উল্লাহ্। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পর্র্ষদের সদস্য সচিব আকতারুজ্জামান। সমাপনী দিনের বিকেলে উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক মঞ্চে পথনাটক পরিবেশন করে সাত্ত্বিক নাট্য সম্প্রদায়। দলীয় সঙ্গীত পরিবেশনা করে সুরসপ্তক। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশনায় অংশ নেয় মুক্তধারা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র, স্বরচিত্র আবৃত্তি চর্চা ও বিকাশ কেন্দ্র এবং শ্রুতিঘর। নৃত্য পরিবেশন করে নান্দনিক নৃত্যসংগঠন। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন আশিকুর রহমান। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন শাহাদাৎ হোসেন নিপু। সমাপনী আনুষ্ঠানিকতা শেষে মঞ্চস্থ হয় তিনটি নাটক। জাতীয় নাট্যশালায় পরিবেশিত হয় ঢাকা থিয়েটারের নাটক পঞ্চনারী আখ্যান। হারুন রশীদের রচনায় প্রযোজনাটির নির্দেশনা দিয়েছেন শহীদুজ্জামান সেলিম। এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হয় শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্রের দুই নাটক মমতাজ উদ্দীন আহমদ রচিত ও খোরশেদুল আলম নির্দেশিত যামিনীর শেষ সংলাপ এবং রওশন জান্নাত রুশনী রচিত ও দেবাশীষ ঘোষ নির্দেশিত বীরাঙ্গনার বয়ান। জয়নুল আবেদিন আর্ট স্কুলে প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী ॥ বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এ বছরও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে জয়নুল আবেদিন আর্ট স্কুল। প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া খুদে শিল্পীদের সেসব ছবি নিয়ে শুরু হলো ১১তম শিশু চিত্রাঙ্কন প্রদর্শনী। রবিবার বিকেলে দুই শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর সূচনা হয়। একই আয়োজনে প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত সোফি উবেয়ার্ট, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত লিউনি কুলেনিয়ার, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফারুক সোবহান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক চিত্রশিল্পী রোকেয়া সুলতানা।
×