ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কুষ্টিয়া ও চট্টগ্রামে বন্দুকযুদ্ধে ৫ ডাকাত নিহত

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ৩০ অক্টোবর ২০১৬

কুষ্টিয়া ও চট্টগ্রামে বন্দুকযুদ্ধে ৫ ডাকাত নিহত

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ র‌্যাব ও পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শুক্রবার রাতে পাঁচ ডাকাত নিহত হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে র‌্যাবের সঙ্গে গুলিবিনিময়ে তিন ডাকাত এবং কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই ডাকাত নিহত হয়। বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। ডাকাতদের সঙ্গে গোলাগুলির সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাঁচ সদস্য আহত হন। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতার। কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে একদল ডাকাত জিকে ক্যানাল সড়কসংলগ্ন গোবিন্দগুনিয়া এলাকায় মিরপুর-ভেড়ামারা সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে যানবাহনে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল- এমন খবর পেয়ে পুলিশের একটি টহল দল তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান পরিচালনার জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা গুলি ছোড়ে ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। ডাকাত দলের গুলির জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির একপর্যায়ে ডাকাত সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল ও তার আশপাশে তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ দুই ডাকাত সদস্যের লাশ উদ্ধার করে। এরা হলো- সদর উপজেলার কুমারগাড়া এলাকার শহিদুলের ছেলে জয়নাল আবেদিন (৩৫) ও দৌলতপুরের সেনপাড়া গ্রামের জামাত আলীর ছেলে আসাদুল ইসলাম (৪০)। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি হাত কুড়াল, হাঁসুয়া ও দুটি হাতবোমা উদ্ধার করে। গোলাগুলির সময় পুলিশের তিন সদস্য আহত হন বলে ওসি দাবি করেন। শনিবার দুপুরে নিহত দুই ডাকাতের লাশের ময়নাতদন্ত কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে সম্পন্ন হয়। মিরপুর থানার ওসি কাজী জালাল উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে মিরপুর থানায় মামলা হয়েছে। এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই এলাকায় শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে র‌্যাবের সঙ্গে গুলিবিনিময়ে তিন ডাকাত নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় র‌্যাবের দুই সদস্যও আহত হন। গুলিবিনিময়ের পর ঘটনাস্থল থেকে তিনটি পিস্তল, দুটি এলজি, নগদ ১১ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে র‌্যাবের ফেনী অফিসের একটি টিম টহল দিচ্ছিল। নিজামপুর তদন্ত কেন্দ্রের আনুমানিক পাঁচ শ’ গজ সামনে ওয়াহিদপুর এলাকায় ডাকাত দলের সদস্যরা র‌্যাব সদস্যদের বহনকারী মাইক্রোবাসের পেছনে গুলি করে। এতে মাইক্রোবাসের চাকা পাংচার হয়ে যায়। গুলির পর র‌্যাবের সদস্যরা গাড়ি থেকে নেমে পাল্টা গুলি চালায়। ডাকাত দলও অনেকক্ষণ র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। দু’পক্ষের গোলাগুলিতে তিন ডাকাত গুরুতর জখম হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়। তবে আহত র‌্যাবের দুই সদস্যের অবস্থা গুরুতর নয়। র‌্যাব সেভেনের অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন জানান, ডাকাত দলের সদস্যরা বুঝতে পারেনি যে, এটা র‌্যাব সদস্যদের বহনকারী গাড়ি ছিল। ডাকাতরা গাড়িটিকে ব্যক্তিগত যান মনে করে ডাকাতির উদ্দেশ্যে গুলি করেছিল। নিহত তিন ডাকাতের মরদেহ মীরসরাই থানা হেফাজতে রয়েছে।
×