ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পপুলারের টয়লেটে নারী রোগীর ভিডিও ধারণ, কর্মচারী আটক তোলপাড়

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ৩০ অক্টোবর ২০১৬

পপুলারের টয়লেটে নারী রোগীর ভিডিও ধারণ, কর্মচারী আটক তোলপাড়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বেসরকারী পপুলার হাসপাতালের টয়লেটে গোপনে এক নারী রোগীর ভিডিও ধারণের অভিযোগে সুমন নামে এক কর্মচারীকে আটক করেছে ধানম-ি থানা পুলিশ। সংক্ষুব্ধ মহিলা তাৎক্ষণিক থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ হাসিবুর রহমান সুমনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। শনিবার হাসপাতালের ধানমণ্ডি শাখায় এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয় কর্তৃপক্ষের লেলিয়ে দেয়া দুর্বৃত্তরা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা সম্পর্কে ধানমণ্ডি থানার ওসি আব্দুল লতিফ জনকণ্ঠকে বলেন, অভিযুক্তকে সঙ্গে সঙ্গেই থানায় নিয়ে আসা হয়। আটক হাসিবুর রহমান (২৭) ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের টেলিফোন অপারেটর। সকালে নিকুঞ্জ থেকে আসা এক রোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই খায়রুল ইসলাম বলেন, ওই নারী সকালে তার মাকে নিয়ে প্রস্রাব পরীক্ষা করতে পপুলারে যান। আটটার দিকে নিচতলার বাথরুমে ঢোকার পরপরই তিনি লক্ষ্য করেন, পাশের রুমের নীচ দিয়ে কে যেন মোবাইলে ছবি তুলছে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে পাশের বাথরুম থেকে হাসিবুর রহমানকে মোবাইলসহ ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। তার কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইলটি পরীক্ষার জন্য সিআইডি ল্যাবে পাঠানো হবে। মামলাটি পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২-এর ৮(১) ধারায় দায়ের করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে তার সর্বোচ্চ সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুইলাখ টাকা অর্থদণ্ড হতে পারে। এ বিষয়ে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, আমরা হাসিবুরকে ধরে পুলিশের কাছে দিয়েছি। খবর পেয়ে বেসরকারী কয়েকটি টিভি চ্যানেলের প্রতিবেদক ঘটনাস্থলে গেলে পপুলারের কর্মচারীরা তাদের সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেয় ধাক্কাধাক্কি করে। সময় টেলিভিশনের প্রতিবেদক সৈয়দ আহমেদ সালেহীন সাংবাদিকদের বলেন, সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ার পরপরই মোসাদ্দেক হোসেনের লোকজন আমাদের ওপর চড়াও হয় এবং ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভাংচুরের চেষ্টা চালায়। তারা আমাকে ও ক্যামেরামানকে আলাদা করে আটকে রাখে। পরে পুলিশ এসে উদ্ধার করে। মোসাদ্দেক পরে বলেন, এটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় মিটমাট হয়ে গেছে।
×