ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনা

জিয়ার মরণোত্তর বিচারের দাবি উঠেছে ॥ হানিফ

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ৩০ অক্টোবর ২০১৬

জিয়ার মরণোত্তর বিচারের দাবি উঠেছে ॥ হানিফ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি উঠেছে। দেশবাসী এ দাবি করছেন। শনিবার বিকেলে ধানম-িতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শুধু বঙ্গবন্ধুই নয়, তার হাত মুক্তিকামী মানুষের রক্তে রঞ্জিত। প্রসঙ্গত, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুক্রবার এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের রক্তে সন্ত্রাস রয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন। তার এই বক্তব্যের জবাব দিতেই এই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, পাকিস্তানের প্রেতাত্মা মির্জা ফখরুলের মুখেই এ ধরনের কথা বলা সম্ভব। তিনি মির্জা ফখরুলের এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিএনপি দেশে হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে। দেশবাসীর দাবি, বিদেশে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করা হোক। মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগের অতীত ঐতিহ্য জনগণের পক্ষে আন্দোলন করে অধিকার আদায় করেছে। এ জন্য বঙ্গবন্ধুকে বার বার কারাবরণ করতে হয়েছে। বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচী সম্পর্কে মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সাধারণ কর্মসূচী পালনের যেমন অধিকার রয়েছে তেমনি জনগণের স্বাভাবিকভাবে জীবন ধারণেরও অধিকার রয়েছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিষয়ে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদী কর্মকা- করলে সরকার তা কঠোর হাতে দমন করতে পিছপা হবে না। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ দীপু মনি এমপি, আবদুর রহমান এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, একেএম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন নাহার লাইলী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, আনোয়ার হোসেন, গোলাম রব্বানী চিনু, মারুফা আক্তার পপি, রিয়াজুল কবির কায়সার, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন। সাড়ে ১৮ শতাংশ নারী কোটা পূরণ করেছে আওয়ামী লীগ ॥ এদিকে আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, আওয়ামী লীগের নবগঠিত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের ৮১ সদস্যের মধ্যে ১৭ নারী অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, যা ১৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। যদিও এখনও ৭টি পদ খালি রাখা আছে। প্রসঙ্গত, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ২০০৯ (সংশোধিত) ৯০ বি ধারা অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সব কমিটিতে নারীর জন্য কমপক্ষে ৩৩ শতাংশ পদ নিশ্চিতের বিধান আছে।
×