ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মাদারীপুরে দু’প্রার্থীর সমর্থকের মধ্যে হামলা, ভাংচুর

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ৩০ অক্টোবর ২০১৬

মাদারীপুরে দু’প্রার্থীর সমর্থকের মধ্যে হামলা, ভাংচুর

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ২৯ অক্টোবর ॥ সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়ন পরিষদের স্থগিত ৩ কেন্দ্রের নির্বাচন মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের সূত্র ধরে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় হামলা, দোকানপাট এবং ঘরবাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। জানা গেছে, নির্বাচনের শুরু থেকে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী এ্যাড বাবুল আক্তার ও বিদ্রোহী প্রার্থী বাদল ফকিরের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এরই সূত্র ধরে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় হামলা, দোকানপাট ও ঘরবাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বাদল ফকিরের সমর্থকরা আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ্যাড. বাবুল আক্তারের মন্টারপুল এলাকার নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুরসহ আশপাশের ১০/১৫টি দোকান ভাংচুর ও দু’টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। পরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ্যাড. বাবুল আক্তারের সমর্থকরা ছয়না গ্রামে গিয়ে বাদল ফকিরের সমর্থক সামচু হাওলাদার, কালাম হাওলাদার, হায়দার হাওলাদার, ফিরোজ হাওলাদার, সিরাজ হাওলাদার, নুর ইসলাম বেপারী, মালেক দর্জী, লতু দর্জী, নুরু দর্জীসহ ১০/১২টি ঘরে আগুন ও ২০টি ঘর কুপিয়ে ভাংচুর করেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও র‌্যাব গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ধর্ষণের চিত্র ইন্টারনেটে ॥ গ্রেফতার তিন স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ নবম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে মোবাইল ফোনে ভিডিও চিত্র ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে পুলিশ ধর্ষক ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। ঘটনাটি উজিরপুর উপজেলার। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে চার জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ জানায়, ওই ছাত্রীকে ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে অপহরণ করে মাদার্শী গ্রামের মিজানুর রহমান ও তার সহযোগীরা। অপহরণের পর সাকরাল এলাকার একটি হোগল ক্ষেতে নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে তা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে মিজানুর রহমানের সহযোগীরা। একপর্যায়ে মিজানের সহযোগী একই এলাকার রুমান, ফয়েজ ও আনিস ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে তাকে (ছাত্রীকে) মারধর করে বিভিন্ন ধরনের নগ্ন ভিডিও ধারণ করে। ওসি আরও জানান, এ ঘটনার কয়েকদিন পর ধর্ষকসহ তার সহযোগীরা ধর্ষণের ভিডিও চিত্র এবং বিভিন্ন নগ্ন ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীর পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।
×