ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাঁশখালীতে আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠানে হামলা ॥ আহত ৫

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ৩০ অক্টোবর ২০১৬

বাঁশখালীতে আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠানে হামলা ॥ আহত ৫

নিজস্ব সংবাদদাতা বাঁশখালী, ২৯ অক্টোবর ॥ বাঁশখালীতে সরকারদলীয় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাতে পৌর শহরের আশকরিয়া রোডে ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ হামলায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফুর ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফা আলী মাঝিসহ ৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছবি সংবলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার পাশাপাশি চেয়ার-টেবিল, আসবাবপত্র ও মঞ্চ ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুনের নেতৃত্বে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় আজ শনিবার বিকেলে থানা পুলিশ ও প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ প্রেরণ করেছেন। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় তাদের অভিনন্দন জানিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় এই আলোচনা সভা এবং রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় পৌর মেয়র ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সেলিমুল হক চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা অংশ নেন এবং বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হারুনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অনুষ্ঠানে হামলা চালায়। তারা চেয়ার-টেবিল ভাংচুরের পাশাপাশি অনুষ্ঠানস্থলে ব্যাপক তা-ব চালায়। এ হামলার সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন পৌর কাউন্সিলর মোঃ হারুন। রূপগঞ্জে নবির হত্যা পরিকল্পিত নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ২৯ অক্টোবর ॥ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের হাটাব আতলাশপুর এলাকার দিনমজুর নবির হোসেনকে হাত-পা বেঁধে, গলায় রশি দিয়ে, পেটের ভুড়ি বের করে ও ২৫ কেজী ওজনের ইট বেঁধে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলা হয়। শুধু তাই নয়, হত্যার পর নবির হোসেনের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মিলন মিয়াকে ম্যাসেজ দেয়া হয়। লেখা হয়, ‘দয়া করে মিলন কাকা, আমি নবির, ছিটাগাঙ থেকে নেপালের হুয়া জাহাজে যাইতাছি, আমার জন্য ছীনতা করিবেন না, আমার বাবা ও মাকে বলে দেন, আমার ফোন দেয়ার সময় নাই আসি, নবির’। অর্থাৎ এটাই বোঝা যাচ্ছে, হত্যাকারীরা নবির হোসেনকে হত্যার পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওই ম্যাসেজটি পাঠায়। হত্যাকারীরা হয়ত জানত, এ লাশের সন্ধান আর কেউ পাবে না। সবাই জানবে নবির হোসেন বিদেশে চলে গেছেন। নবির হোসেন হত্যাকা-ের ঘটনায় তার বাবা আব্দুল্লাহ মিয়া বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সন্দেহজনক আসামি হলেন হাটাব এলাকার কবির হোসেন, ইছাপুড়া এলাকার লিটনসহ অজ্ঞাত ৩ জন। এদের সঙ্গে জমি-জমা নিয়ে দেড় লাখ টাকার ঝামেলা নিয়ে নবির হোসেনের বিরোধ ছিল। এছাড়া হাটাব এলাকার শুকুমার চন্দ্রের ছেলে উত্তম চন্দ্রের নামও উল্লেখ রয়েছে। শুক্রবার রাতে সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যাওয়ার সময় হত্যাকা-ে জড়িত সন্দেহে আসামি কবির হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
×