ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দিনাজপুরের সেই শিশুটির অবস্থা উন্নতি দিকে

প্রকাশিত: ২৩:২৬, ২৯ অক্টোবর ২০১৬

দিনাজপুরের সেই শিশুটির অবস্থা উন্নতি দিকে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দিনাজপুরের সেই ধর্ষিত শিশুটির অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আশরাফ-উল হক কাজল। শনিবার অধ্যাপক আশরাফ-উল হক কাজল জানান, তিনি সকালে শিশুটিকে দেখে এসেছেন। তার অবস্থা উন্নতির দিকে। শিশুটির ক্ষতের সংক্রামন রক্তের মধ্যে ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল, সেই অবস্থা স্থিতিশীল। আতঙ্কও অনেকটা কমে এসেছে। খাওয়া-দাওয়া করছে। তাকে হাই প্রোটিনযুক্ত খাবার দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। শিশুটির চিকিৎসায় গঠিত ৯ সদস্য বিশিষ্ট বোর্ড আগামী বৃহস্পতিবার আবারও বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান এ অধ্যাপক। তবে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সমন্বয়কারী ডা. বিলকীস বেগম জানান, শিশুটির আতঙ্ক এখনো কমেনি। অপরিচিত কাউকে দেখলেই চিৎকার করে উঠছে। এ কারণে তার বেড পর্দা দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। সকালে তার ডিএনএ পরীক্ষার জন্য রক্ত নিতে আসলে শিশুটি চিৎকার শুরু করে। পরে এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে তাকে শান্ত করে রক্ত নেওয়া হয়। এর আগে ১৮ অক্টোবর দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার জমিরহাট এলাকার তকেয়াপাড়া গ্রামের পাঁচ বছরের শিশুকন্যা বাড়ির বাইরে খেলতে গেলে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে রাত ১১টার দিকে পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা। পরদিন ১৯ অক্টোবর ভোর ৬টায় তাকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী হলুদক্ষেত থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে পার্বতীপুর ল্যাম্প হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ২৫ অক্টোবর তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় তার মাথা, গলা, হাত ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। ঊরুতে ছিল সিগারেটের ছ্যাঁকা। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে ২০ অক্টোবর একই গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪২) ও আফজাল হোসেন কবিরাজকে (৪৮) আসামি করে পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। ২৪ অক্টোবর রাতে দিনাজপুর শহর থেকে গ্রেফতার হন সাইফুল। ২৭ অক্টোবর আসামি সাইফুল ইসলামের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
×