ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বড় পর্দার দর্শক চায় রুচিশীল ছবি

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ২৯ অক্টোবর ২০১৬

বড় পর্দার দর্শক চায় রুচিশীল ছবি

সত্তর থেকে আশির দশক পর্যন্ত ছিল বড় পর্দার সিনেমা হলের রমরমা বাণিজ্যের সময়। বিনোদন প্রিয় দর্শক চাহিদার ওপর ভর করে এ সময় পুরনো সিনেমা হলের পাশাপাশি ময়মনসিংহ শহরে নতুন করে অজন্তা ও সেনানিবাস সিনেমা হল গড়ে ওঠে। এর আগে শহরের অলকা, পূরবী ও ছায়াবানী সিনেমা হলের নাম ছিল দর্শকের মুখে মুখে। শহরের খাকডহর সাবেক বিডিআর সিনেমা হলে দেখানো হতো বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের নামকরা ছবি। শহর থেকে একটু দূরে হলেও বড় পর্দার সিনেমাপাগল দর্শক ছুটে গেছে বিডিআরের সিনেমা হলে হিন্দী, উর্দু ও বাংলা ছবি দেখার জন্য। একই অবস্থা ছিল ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, গৌরীপুর, ঈশ্বরগঞ্জ, তারাকান্দা, ভালুকা, গফরগাঁওয়ের সিনেমা হলগুলো। কিন্তু নব্বই দশক থেকে সিনেমায় অশ্লীলতা যুক্ত হলে মুখ ফেরাতে শুরু করে দর্শক। সর্বশেষ ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার মেয়াদে ময়মনসিংহ শহরের চার সিনেমা হলে একযোগে বোমা হামলার পর মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে সিনেমা হল ব্যবসা। একদিকে অশ্লীলতা, অন্যদিকে বোমা হামলা আতঙ্কসহ হল মালিকদের অনীহার কারণে বন্ধ্যাভাব শুরু হয় এই ব্যবসায়। ফলে সংস্কৃতির শহর ময়মনসিংহে বন্ধ হতে থাকে একের পর এক সিনেমা হল। অলকা ও অজন্তা বন্ধ হয়ে যায় বোমা হামলার পর। এরও আগে বন্ধ হয় বিডিআর সিনেমা হল। তারপরও যেসব সিনেমা হল মালিক টিকে ছিলেন তাদের লোকসানের অঙ্ক বাড়ছিল। কিন্তু সম্প্রতি সেই মন্দাভাব কেটে আবারও তারা আশার আলো দেখছেন। -বাবুল হোসেন, ময়মনসিংহ থেকে
×