ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মুহম্মদ শফিকুর রহমান

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাসড়কে আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ২৯ অক্টোবর ২০১৬

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাসড়কে আওয়ামী লীগ

পুরনো ঢাকার অভয় দাশ লেনের রোজ গার্ডেন থেকে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান- ৬৭ বছরে ২০টি জাতীয় কাউন্সিল। ১৯৮১ সাল থেকে ২০১৬ সালের ২২-২৩ অক্টোবর পর্যন্ত ৮টি কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনা ৮বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। ইতিহাস বলে প্রতিটি কাউন্সিলেই দলকে নতুন নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছে, স্বপ্নপূরণ হয়েছে, দল এগিয়ে গেছে এবং যেতে যেতে আজ উন্নয়নের মহাসড়কে আওয়ামী লীগ। কা-ারী সময়ের বিশ্বনেতা জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা ধরিত্রীর আদরের কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনা। মাননীয় নেত্রী আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন, শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা। পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকা-ের পর দীর্ঘ ৬ বছর স্বামী-সন্তান-ছোট বোনকে নিয়ে প্রবাস জীবনের অবসান ঘটিয়ে দেশে ফিরে এসেছিলেন ১৯৮১ সালের ১৭ মে। সেদিন অবিরাম বৃষ্টি ছিল। প্রকৃতি যেন আশীর্বাদ বারি বর্ষণ করছিল। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মানিক মিয়া এ্যাভিনিউ পর্যন্ত আসতে লেগেছিল সাড়ে ৪ ঘণ্টা। একটি ট্রাকের সামনে মাচানের ওপর দাঁড়িয়ে চোখের জল ফেলতে ফেলতে শেখ হাসিনা যখন মানিক মিয়া এ্যাভিনিউর দিকে আসছিলেন তখন ভিআইপি সড়কের দু’পাশে ছিল লাখ লাখ মানুষ। বাংলার প্রত্যন্ত গ্রাম-শহর-গঞ্জ থেকে সবাই এসেছিল প্রিয় নেত্রীকে এক নজর দেখতে। সে দৃশ্য আজও চোখের সামনে ভেসে বেড়ায়। অর্ধকোটিরও বেশি মানুষ পথে পথে চোখের জলে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। তাঁর চোখের জল আর বাংলার আপামর মানুষের চোখের জল অবিরাম বৃষ্টির জলে মিশে মানিক মিয়া এ্যাভিনিউ হতে গড়াতে গড়াতে বাংলার শহর-বন্দর-গ্রাম মাঠ-ঘাট কাশবন ফসলের ক্ষেত ধুয়ে ধুয়ে পবিত্র করে তুলেছিল। সেই থেকে গত ৩৫ বছর একটিবারের জন্যে তাঁকে ক্লান্ত হতে দেখিনি। দৈনিক ইত্তেফাকের রিপোর্টার হিসেবে বাংলাদেশের ৪৬০ থানার মধ্যে অন্তত ৪০০ থানায় তাঁর সাথে ঘুরেছি, রিপোর্ট করেছি। দেখেছি বাংলার মানুষ শেখ হাসিনাকে গভীরভাবে ভালবাসেন। প্রতিদানে তিনিও সেই থেকে যে মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তথা দারিদ্র্য বিমোচনের টার্গেট নিয়ে এগিয়ে গেছেন। আজ বাংলার মানুষ দু’বেলা দু’মুঠো ভাত খেতে পারছে, পছন্দমতো কাপড়টি পরার ক্ষমতা অর্জন করেছে এবং বিশেষ করে সন্তানের শিক্ষা, আশ্রয়ের জন্য ঘর, চিকিৎসার জন্য দোরগোড়ায় সেবা পাচ্ছে। ১৯বার তাঁকে হত্যার জন্যে গুলি, গ্রেনেড-বোমা ফাটিয়ে হামলা করা হয়েছে। সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় তিনি বেঁচে আছেন, আমাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আল্লাহর ক্যারিশমা আমরা কি বুঝতে পারি? সে ক্ষমতা আমাদের নেই। দোয়া করি আল্লাহ পাক তাঁকে আরও অনেক অনেক দিন স্বপ্ন দেখাবার স্বপ্ন বাস্তবায়নের শক্তি দিন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এটি বিশ্বের কাছে এক বিস্ময়। তাই শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট (জি-৮) তাদের শীর্ষ বৈঠকে তাঁকে সম্মানীয় পার্টিসিপেন্ট হিসেবে আমন্ত্রণ জানাল। বারাক ওবামা, পুতিন, এঞ্জেলা মের্কেলদের মতো উন্নত দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের একটাই প্রশ্ন ছিলÑ ঝযবরশয ঐধংরহধ, ড়িঁষফ ুড়ঁ ঢ়ষবধংব বীঢ়ষধরহ যিধঃ রং ুড়ঁৎ সধমরপ রহ ফবাবষড়ঢ়রহম ইধহমষধফবংয ংড় ৎধঢ়রফষু? ণড়ঁৎ মড়াবৎহসবহঃ’ং ধপযরবাবসবহঃং রহ ঢ়ৎড়াবৎঃু রৎধফরপধঃরড়হ, যরময ঢ়বৎপবহঃধমব ড়ভ এউচ, ষরঃবৎধপু ৎধঃব, ড়িসবহ বসঢ়ড়বিৎসবহঃ ধহফ ংঢ়বপরধষষু পড়সনধঃরহম ঃবৎৎড়ৎরংস রহ ুড়ঁৎ পড়ঁহঃৎু. জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার (জিডিপি) গত ৮ বছর একটানা ৬.৭-৭.০২%তে রেখে ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলেছেন। (এবার অবশ্য ৭.১১%) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর মতোই বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে বলেছিলেন- ও ষড়াব সু ঢ়বড়ঢ়ষব ধহফ ও মড় ধযবধফ রিঃয ধ ারংরড়হ ড়ভ ২০-২১ ঃড় সরফফষব রহপড়সব মৎড়ঁঢ় ধহফ ২০৪১ ঃযব ফবাবষড়ঢ়বফ মৎড়ঁঢ়. ওঃ’ং হড়ঃ ধ সধমরপ, রঃং ধ ফৎবধস ঃড় নব সধঃবৎরধষরুবফ. শেখ হাসিনা তাদের বলেছেন, আদর্শ, সদিচ্ছা, সাহস ও দূরদর্শিতা থাকলে এবং সর্বোপরি জনসমর্থন থাকলে অনেক কিছু করা যায়, অনেক অসাধ্য সাধন করা যায়। ॥ দুই ॥ এবারের কাউন্সিল অধিবেশন (২২-২৩ অক্টোবর) ছিল ব্যতিক্রম। এতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে চীন, রাশিয়া, কানাডা, ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল এবং ভারতের অনেকগুলো রাজ্য যেমন এসেছে, তাদের প্রতিনিধিগণ বক্তৃতা করেছেন, তেমনি এসেছেন দেশের বিভিন্ন রাজনীতিক, অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের। তবে জামায়াত, মুসলিম লীগ, নেজামে ইসলামী প্রভৃতি প্রতিক্রিয়াশীল যুদ্ধাপরাধী দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কিন্তু তারা আসেনি। আসলে এই দলটি বাংলাদেশের রাজনীতির মূলধারা থেকে বিচ্যুত হয়ে অনেক দূরে পাকি প্রতিক্রিয়ার ধারায় সরে গেছে। প্রশ্ন উঠতে পারে, মূলধারা কি? জবাব হবে, বেশ পেছনে না গেলেও, রাষ্ট্র ভাষা বাংলা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট, ৫৮ সালের আইয়ুবের মার্শালবিরোধী আন্দোলন, ৬৬-এর বাঙালীর মুক্তিসনদ ৬ দফা আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুর মুক্তি ও আগরতলা ষড়যন্ত্র বিরোধী আন্দোলন, ৬৯-এর ৬+১১ দফাভিত্তিক ছাত্র গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর নির্বাচন, বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলন, একাত্তরের ৭ মার্চের ভাষণ, ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ ও ৩০ লাখ শহীদ এবং ৫ লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রমহানি ও জীবন হরণের বিনিময়ে সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয় ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং এই সুদীর্ঘ প্রক্রিয়ায় নেতৃত্বদান ও বিজয় অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে বাঙালীর স্বাধীন জাতিরাষ্ট্রের পিতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর স্বীকৃতি, যার প্রতিফলন ঘটে ১৯৭৩ সালের গণতান্ত্রিক সংবিধানে, যার মৌলনীতি বাঙালী জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা- এই ধারাই বাংলাদেশের মূলধারা। এখন যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সময়ের সবচেয়ে সফল, সবচেয়ে সাহসী, মেধাবী ও দূরদর্শী রাষ্ট্রনেতা শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ক্যারিশমা হলো তিনি যেমন গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে এগিয়ে যাচ্ছেন, জিরো টলারেন্স ডিকলায়ার করে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ নির্মূল করে চলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা এবং যুদ্ধাপরাধী বিচার করে বাংলাদেশকে পাপমুক্ত করেছেন, তেমনি বহির্বিশ্বেও (পাকিস্তান বাদ দিয়ে) বাংলাদেশকে সম্মানের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কাউন্সিল অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সামনের দিকে ভিআইপি এলাকায় বসার সুযোগ হয়েছিল আমার। পাশে এক ভদ্রলোক বসা ছিলেন। কথাবার্তায় মনে হলো কোন থানা বা জেলার সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক হতে পারেন। প্রথমেই শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবার জন্য চীনের প্রতিনিধিকে ডাকা হলে ভদ্রলোক মন্তব্য করলেন- ‘আমাদের পরীক্ষিত বন্ধুদের বাদ দিয়ে চীনকে দেয়াটা ঠিক হলো না।’ বললাম, ‘অপেক্ষা করুন এবং শেখ হাসিনার ওপর ছেড়ে দিন।’ পরে দেখলাম ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি, বিরোধী ন্যাশনাল কংগ্রেসকে ডাকা হলো, তেমনি মধ্যপ্রদেশ থেকে শুরু করে পশ্চিম বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস এবং অসমসহ ভারতের পূর্বাঞ্চলের সব কটি রাজ্যের প্রতিনিধিকে শুভেচ্ছা বক্তব্য দিতে দিলেন। এই-ই শেখ হাসিনা। ॥ তিন ॥ এবারের কাউন্সিলের মূল লক্ষ্য হলো ২০১৯ সালের পরবর্তী নির্বাচন। ঐ নির্বাচনে জিততে হলে কি করতে হবে তার দিকনির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বলে দিয়েছেন। যেটি আমি মনে করি দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবার সাথে সাথে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়া। যেমন, দেশের যে কোন অঞ্চলে যে কোন গ্রামে, বাড়িতে অভাবী, ছিন্নমূল, পঙ্গু নারী-পুরুষ রয়েছে তাদের তালিকা প্রণয়ন করতে হবে। এ কাজ তিনি দলকে দিয়েছেন। এটি রাজনৈতিক দূরদর্শিতা। এভাবে তিনি দলকে মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে ভোটারদের ঘরে ঘরে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে দিলেন। দ্বিতীয়ত: সন্ত্রাসী, জঙ্গী ও মাদক চোরাচালানিদের ব্যাপারে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তৃতীয়ত: সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের বরাদ্দ বা ১০টাকা কেজির চাল যেন সঠিকভাবে ব্যবহৃত হয়। তার ব্যাপারেও নজর রাখার কথা বলেছেন। বস্তুত আওয়ামী লীগই সত্যিকার অর্থে একমাত্র তৃণমূল সংগঠন আর শেখ হাসিনা তার নেতৃত্বের ৩৫ বছরে তৃণমূলের চিত্র ভালভাবেই স্টাডি করেছেন বলেই বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলে আনতে সক্ষম হয়েছেন। ॥ চার ॥ একাত্তরের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পর ঢাকা ফিরতে কিছুটা দেরি হয়েছিল। প্রথমবার ৩১ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এসেছিলাম অস্ত্র জমাদান অনুষ্ঠানে। ১৯৬৬ থেকে গ্রামে একটি হাই স্কুল বানাচ্ছিলাম। আমি অনারারি হেড মাস্টার। কাজ শেষ করতে পরদিনই আবার গ্রামে চলে যাই। কাজ শেষ করে মে মাসের ১৪ কি ১৫ তারিখ হবে সঠিক তারিখটি ভুলে গেছি। পরদিনই ছাত্রলীগ অফিসে গেলাম। তখন ছাত্রলীগ অফিস ঢাকা কলেজের উল্টো দিকে। দরজা ঠেলে ভেতরে গিয়ে দেখলাম দুই পাশে অনেকে বসে আছে। হাতে দামী বিদেশী সিগারেট। পাতলা ইউনিয়ন শার্টের বুক পকেটে দামী সিগারেটের প্যাকেট। তাদের কাউকে চিনলাম না। তারা গল্প করছিলেন। গল্পের ভিত্তি ছিল মুক্তিযুদ্ধ। এগিয়ে গিয়ে দেখলাম দফতর সম্পাদকের নামের প্লেট। ভেতরে ঢুকে দেখলাম বন্ধু ওবায়দুল কাদের কি যেন প্রেস রিলিজ রচনা করছেন। টেবিলে স্টার সিগারেট। কাদের ও আমি একই ইয়ারের এবং হাজী মুহম্মদ মহসিন হলের ছাত্র। মুক্তিযুদ্ধের পর দুই বন্ধুর এই প্রথম দেখা। কুশল বিনিময় কোলাকুলি শেষে দু’জনে দুইটি স্টার সিগারেট ধরালাম। (অবশ্য দু’জনেই বহুদিন আগেই সিগারেট ছেড়ে দিয়েছি)। কাদের বলল, ভেতরে ঢুকে কি দেখলে। দেখলাম কতিপয় যুবক দামী সিগারেট টানছে, হাতে প্যাকেট, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলছে, কিন্তু কাউকে চিনলাম না। কাদের বলল, চিনবে না, কিন্তু একেকজন বিপুল সংখ্যক পাকি সৈন্য নিধন করে এসেছে, আমিও চিনি না। বুঝতে অসুবিধা হলো না তারা কারা। বললাম, দোস্ত তুমি রাজনীতি করো, তুমি বড় নেতা, আমার দৌড় তো হল পর্যন্ত, আমি চললাম। ওবায়দুল কাদেরকে জানি ম্যাট্রিক ইন্টারমিডিয়েট স্ট্যান্ড করা এবং হেড মাস্টার বাবা এবং বনেদি পরিবারের সন্তান। ছাত্র রাজনীতিতে লেগেই রইল। নির্যাতনও সহ্য করেছে অনেক। একবার বঙ্গবন্ধু হত্যার পর একবার ১/১১-এর পর। জেলে থেকে ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। ১৯৯৬-এর সরকারে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে এবং এবারে সড়ক-জনপথ ও সেতুমন্ত্রী হিসেবে অসফল হয়েছেন এমন কথা তার চরম শত্রুও বলবে না। বরং এক বাক্যে বলবে মন্ত্রণালয় পরিচালনায় সকল ব্যক্তিকেই নেত্রী দলের সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছেন। বন্ধু ওবায়দুল কাদেরকে অভিনন্দন, অনেক শুভেচ্ছা। ঢাকা- ২৮ অক্টোবর ২০১৬ লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও সভাপতি, জাতীয় প্রেস ক্লাব ই-মেইল : নধষরংংযধভরয়@মসধরষ.পড়স
×