ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পদটি মাও সেতুংকে দেয়া মর্যাদার সমতুল্য

শি জিনপিংকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সর্বোচ্চ নেতা ঘোষণা

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২৯ অক্টোবর ২০১৬

শি জিনপিংকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সর্বোচ্চ নেতা ঘোষণা

ক্ষমতাসীন চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি) বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে দলের নেতৃত্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতা বা সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে ভূষিত করেছে। পদটি দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মাও সেতুং ও তার দুই উত্তরসূরিকে দেয়া মর্যাদার সমতুল্য বলে বলা হয়েছে। কিন্তু বৈঠকে যৌথ নেতৃত্ব ব্যবস্থা অটুট রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খবর হিন্দু ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল অনলাইনের। পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির চারদিনের এক পূর্ণাঙ্গ রুদ্ধদ্বার বৈঠকে শি জিনপিংকে এ মর্যাদা প্রদানের ঘোষণা দেয়া হয়। বেজিংয়ের পশ্চিমাঞ্চলে সামরিক বাহিনী পরিচালিত এক হোটেলে আয়োজিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন জেনারেল রাষ্ট্রীয় শিল্পপ্রধান ও প্রাদেশিক প্রধানরাসহ দলের ৩শ’ ৭০ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। রাষ্ট্রীয় জিনহুয়া সংবাদ সংস্থা জানায়, সভায় দলের কেন্দ্রীয় কমিটিকে ঘিরে কোর হিসেবে কমরেড শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য সকল সদস্যের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। শি জিনপিং (৬৩) প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন ছাড়াও সিপিসির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের এবং সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে থাকবেন। কিন্তু দল তিন দশকের যৌথ নেতৃত্ব ব্যবস্থা থেকে সরে যেতে পারে বলে যে গুঞ্জন চলছি তার বিপরীত সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এ সভায়। এবং সিপিসির যৌথ নেতৃত্ব ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। সিপিসির ১৮তম কেন্দ্রীয় কমিটির এ ষষ্ঠ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে বিষয়টির ওপর আলোচনা হয় এবং ব্যক্তিগত দায়িত্বসহ যৌথ নেতৃত্বের এক মিশ্রণ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয় বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে কেউ দলের নেতৃত্বে আধিপত্য বিস্তার করতে পারবেন না। এ বিষয়টা নিশ্চিত করার জন্য ১৯৮১ তে যৌথ নেতৃত্বের সূচনা করা হয়। এক ইশতেহারে বলা হয়, গণতান্ত্রিক কেন্দ্রীয় ব্যবস্থার এক মৌলিক নীতির অংশ হিসেবে যৌথ নেতৃত্ব ব্যবস্থা সর্বসময় অবশ্য মেনে চলতে হবে এবং কোন সংগঠন বা ব্যক্তি কোন অবস্থাতে বা কোন কারণে তা লঙ্ঘন করবেন না। বিভিন্ন পর্যায়ে দলের কমিটিগুলোকে এ ব্যবস্থা অবশ্য মেনে চলতে হবে। সার্বিক পরিস্থিতি ও সংশ্লিষ্ট দায়দায়িত্ব নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তাদের যে উপলব্ধি বোধ রয়েছে তা বাড়ানোর জন্য এবং দলীয় সংগঠনের সিদ্ধান্তবলী দৃঢ়তার সঙ্গে কার্যকর করতে তাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয় ইশতেহারে। সভায় বলা হয়, সিপিসি দৃঢ়তার সঙ্গে সরকারী চাকরি, কেনাবেচা বা ভোট কারচুপির অবসান ঘটিয়ে নির্বাচনে অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। ইশতেহারে বলা হয়, কর্মকর্তাদের মনোনয়ন বা নিয়োগ বাইরের হস্তক্ষেপ বা অসদাচরণে কলঙ্কিত করা যাবে না। দলের ৭ সদস্যের স্থায়ী কমিটির নেতৃত্বে রয়েছে শি জিনপিং। এ কমিটিই কার্যত চীন শাসন করে। প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংসহ সুশাসনের বিভিন্ন দিক দেখাশোনা করে সাত সদস্যের এ কমিটি। চারদিনের এ সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় বৃহস্পতিবার। ইশতেহারে বলা হয়েছে, দুর্নীতির অভিযোগে শীর্ষস্থানীয় দুই সাবেক সামরিক কর্মকর্তার বহিষ্কারাদেশ অনুমোদন করা হয় সভায়। সিনহুয়া জানায়, এ কর্মকর্তারা হচ্ছেন ল্যানঝৌ সামরিক কমান্ডের সাবেক উপরাজনৈতিক কমিশনার ফ্যান চ্যাংমাই ও আধাসামরিক বাহিনী গণসশস্ত্র পুলিশের এক সময়ের ডেপুটি কমান্ডার নিউ ঝিঝোং।
×