ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জাইশ প্রধান মাসুদ আজহার সন্ত্রাসী ॥ মোশাররফ

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২৯ অক্টোবর ২০১৬

জাইশ প্রধান মাসুদ আজহার সন্ত্রাসী ॥ মোশাররফ

পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফ জাইশ-ই-ই মোহাম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসী বলে অভিহিত করে বলেছেন, সে নিজের দেশেই বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত। পাকিস্তান কেন মাসুদ আজহারকে জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী ঘোষণা করতে চীনকে বলছে নাÑ এ প্রশ্নের কোন সুস্পষ্ট জবাব মোশাররফ দেননি। মোশাররফ পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলকে বলেছেন, আজহারের বিষয়ে চীনের কিছু করার না থাকলে কেন বেজিং এ বিষয়ে সম্পৃক্ত হবে। খবর এনডিটিভির। মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী ঘোষণা সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, কিন্তু চীন এতে বাধা দিচ্ছে। বেজিংয়ের দাবি মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসী ঘোষণা করার মতো পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই। দিল্লীতে পাকিস্তান হাই-কমিশনের এক কর্মীর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ সম্পর্কে সাবেক পাকিস্তানী সেনা প্রধান প্রথম এড়িয়ে যান। পরে বলেন, আমার বিষয়টি জানা নেই। তবে এমনটি ঘটে থাকলে তাতে উৎসাহ যোগানো উচিত নয়। পাকিস্তানী টিভি চ্যানেলের বরাত দিয়ে বলা হয়, নওয়াজ শরীফ সরকার আগ্রাসন চালাচ্ছে না। মোশাররফ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পাকিস্তান সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেন। তিনি অবশ্য বলেন, এর অর্থ এই নয় যে, পাকিস্তানের সবকিছু বিনা বাক্যব্যয়ে মেনে নিতে হবে। পাকিস্তানের উন্নয়নে রাজনৈতিক নেতৃত্ব উপযোগী, না সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বÑ এই প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ বলেন, সেনা শাসনের আমলে পাকিস্তানে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এ বিষয়ে অজ্ঞতার ভান করে বলেন, আমি এ বিষয়ে জানি না। অবশ্য, তিনি হেসে বলেন, আপনি যে বিষয়ে কথা বলছেনÑ আমি এসব ক্যাম্প কখনও খুঁজে পেলে আপনাকে জানাব। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের ক্রমহ্রাসমান সম্পর্ক বিষয়ে মোশাররফ বলেন, বেশকিছু বিতর্কিত বিষয় রয়েছে যার সুরাহা করছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। সিরীয় স্কুলে বিমান হামলা নিয়ে তদন্তের আহ্বান জাতিসংঘের জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন সিরিয়ার স্কুলে বিমান হামলার ঘটনার অবিলম্বে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে রাশিয়া ঐ ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে। বুধবারের ওই হামলায় ২০ জনেরও বেশি শিশু নিহত হয়েছে। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার। মানবাধিকারকর্মীর জানিয়েছেন, সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশের একটি স্কুলকে লক্ষ্য করে বিমান হামলাটি চালানো হয়। জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়েছে, আসছে শীতে সিরিয়ার পাঁচ বছরব্যাপী গৃহযুদ্ধের সবচেয়ে খারাপ সময় হবে। সিরিয়ায় জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান জেন ইগল্যান্ড বলেন, নৃশংস সংঘাত আরও নির্মম হয়ে উঠেছে। এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর। জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ জানিয়েছেন, গত ১১ অক্টোবর থেকে সিরিয়ার পাঁচটি স্কুলকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়। এদের একটি হচ্ছে ইদলিবের স্কুলটি। সিরিয়ার জরুরী সহায়তাকর্মী ও ব্রিটেনভিত্তিক পর্যবেক্ষক দল জানিয়েছে, ইদলিব হামলায় নিহতদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ জনে। তাদের অধিকাংশই শিশু। রাশিয়া ও সিরিয়ান মিত্রজোট হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগের কোনাশেনকভ জানান, ওই অভিযোগ মিথ্যা। কিন্তু ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, যুদ্ধ রাশিয়ার নয়ত সিরিয়ান। যুদ্ধবিমান গ্রামটির ওপর ছয়বার হামলা চালায়। জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, যদি বিশ্বের ক্ষোভ সত্ত্বেও এ ধরনের ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে থাকে। তবে এর বড় কারণ হলো এর সংঘটনকারীরা বিচারের ভয় পায় না। ইউনিসেফ প্রধান বলেন, যদি এটি ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়ে থাকে তবে তা যুদ্ধাপরাধ। পাঁচবছর আগে শুরু হওয়া যুদ্ধে সর্বশেষ নৃশংস ঘটনাটি হলো কোন স্কুলের ওপর চালানো সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। শিশুরা তাদের পরিবার থেকে হারিয়ে গেছে। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চিরদিনের মতো হারিয়ে গেছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বৃহস্পতিবার বলেন, রাশিয়ান ফেডারেশন এ ধরনের ভয়ানক ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।
×