অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অসময়ের বৃষ্টির প্রভাবে উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে শীতকালীন সবজি। প্রতিকেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়। ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ফুলকপি। তবে দাম চড়া হলেও সবধরনের শীতকালীন সবজি পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। ইলিশ মাছ ধরা এবং বিক্রি বন্ধ থাকায় মিঠা পানির মাছের দাম চড়া। নদ-নদী, খালবিল ও জলাশয়ের পানি কমতে শুরু করায় মিঠা মাছের সরবরাহ বেড়েছে রাজধানীর বাজারে। চাল, ডাল, আটা, ভোজ্যতেল, চিনি এবং লবণের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গরু ও খাসির মাংস আগের দামে বিক্রি হলেও ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম কমতির দিকে রয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর কাপ্তান বাজার, কাওরান বাজার, মিরপুর সিটি কর্পোরেশন মার্কেট, মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সবজি বিক্রেতারা বলছেন, অসময়ের এই বৃষ্টির প্রভাবে ক্ষেতের শাক-সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বছরের এই সময়টাতে সবজি চাষাবাদের জন্য জমি প্রস্তুত করা হয়। তাই চাহিদা মতো সবজির সরবরাহ হচ্ছে না। আর এ কারণে অন্যান্য বছরের ন্যায় এবার সবজির দাম বেশি। তবে সরবরাহ বাড়লে শীঘ্রই দাম কমে আসবে।
মিরপুর সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের বিক্রয়কর্মী রাশেদ জানান, কাঁচা পেঁপে ৩৫ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, শিম ৮০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, দেশী গোল আলু ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা, লাউ ৪৫ টাকা, লতি ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, কচুর ছড়া ৩৫ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। টমেটো ৮০-১০০ টাকা, ঝিঙা ৫০-৬০ টাকা, পটল ৪০-৫০ টাকা, শিম ৮০-১০০ টাকা, কাঁচকলা হালি ২৫-৩০ টাকা, কচুর মুখী ৪০-৫০ টাকা, পাতাকপি ছোট আকারের ২৫-৩০ টাকা পিচ, ছোট ফুলকপির পিচ ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর লাল শাক, সবুজ শাকের আঁটি ২০-২৫ টাকা এবং পালং শাক ১৫-২৫ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, বাজারে এই মুহূর্তে সবজির দাম চড়া। অন্যান্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকলেও সবজি কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। তাই দাম নিয়ে ক্রেতাদের অসন্তুষ্টিও রয়েছে।
এদিকে জাত ও মানভেদে প্রতিকেজি সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৫৬ টাকায়, মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ এবং মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৪-৪০ টাকায়। সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, মোটা চাল এখনও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। দাম কমাতে হলে সরকারী উদ্যোগে নিয়মিত বাজার মনিটরিং প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, চালকল ও মিলমালিকদের কারসাজির কারণে চালের দাম বাড়ছে বলেও ক্রেতাদের অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া আটা বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩৪, ভোজ্যতেল প্রতিলিটার সয়াবিন ৮৪-৮৬, বোতলজাত সয়াবিন পাঁচ লিটার ৪৬৫-৪৯০, পামওয়েল সুপার ৭২-৭৪ এবং পামওয়েল লুজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭২ টাকায়। মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১৪৫, পেঁয়াজ আমদানি জাত ও মানভেদে ২০-৩৬ এবং দেশী ৩০-৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭২ টাকায় এবং লবণ ২৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা পর্যায়ে।
এছাড়া মাছের বাজারে প্রতিকেজি রুই মাছ ২৮০ টাকা, দেশী রুই আকার ভেদে ৩৫০-৪০০ টাকা, কাতলা ৩০০-৪০০ টাকা, বোয়াল ৫৮০ টাকা, গলদা চিংড়ি মাঝারি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি ১৩০-১৩৫ টাকা, দেশী মোরগ ৩৩০ টাকা, পাকিস্তানী কক ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতিহালি ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৪ টাকায়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: