ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চবিতে ভর্তি পরীক্ষা শেষে ফেরার পথে উপজাতি কিশোরীকে অপহরণ চেষ্টা

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ২৯ অক্টোবর ২০১৬

চবিতে ভর্তি পরীক্ষা শেষে ফেরার পথে উপজাতি  কিশোরীকে  অপহরণ চেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক উপজাতি কিশোরীকে অপহরণের চেষ্টাকালে ইজ্জত রক্ষায় চলন্ত সিএনজি থেকে লাফিয়ে নিজেকে রক্ষা করলেও এতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে উপজাতি ওই কিশোরীর মুখম-লসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজারের রামুর মধ্যম মেরংলোয়া আরাকান সড়কে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সংবাদ জানানো হলেও রামু থানা পুলিশ উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। সূত্র জানায়, গুরুতর আহত কিশোরী হ্লা নু প্রু চাক (১৬) পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কাউচিং চাকের মেয়ে। ঘটনার পর স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। আহত কিশোরী ভর্তি পরীক্ষা শেষে অভিভাবক উচাই হ্লা চাকের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন। তবে এখন পর্যন্ত সিএনজিচালককে আটক করতে পারেনি রামু থানা পুলিশ। পারিবারিক সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটায় রামু চৌমুহনী স্টেশনে নেমে নাইক্ষ্যংছড়ি যাওয়ার জন্য সিএনজি ভাড়া করে কিশোরীকে ট্যাক্সিতে রেখে পান দোকানে যান তার অভিভাবক। এ সময় সিএনজিচালক মিজান ওই কিশোরীকে অপহরণের উদ্দেশ্যে গাড়ি চালিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে। অভিভাবক ছাড়া গাড়ি চলতে থাকায় হতভম্ব হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। দ্রুতগামী গাড়িটি রামুর মেরংলোয়া এলাকায় একটি গতিরোধক পার হওয়ার সময় নিজেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে চলন্ত সিএনজি থেকে লাফ দেন হ্লা নু প্রু চাক। লোকজন এগিয়ে আসছে দেখে গাড়ি নিয়ে চালক পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে রামু হাসপাতালে ছুটে আসেন উগ্য মং চাক ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দসহ স্বজনরা। তারা ঘটনায় জড়িত সিএনজিচালককে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। জানা গেছে, মেয়েটিকে অপহরণের চেষ্টাকারী সিএনজিচালকের নাম মিজান। রামুর কচ্ছপিয়ার আবদুচ সালাম মেম্বারের মসজিদের পাশে তার বাড়ি। তবে রামু থানা পুলিশ এখন পর্যন্ত অপহরণ চেষ্টাকারীকে আটক ও সিএনজি অটোরিক্সাটি জব্দ করতে পারেনি। অভিযোগ উঠেছে, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে সিএনজি সমিতির কতিপয় নেতা মোটা অঙ্কের টাকায় পুলিশকে ম্যানেজ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় সর্বত্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে এবং আহতের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। এদিকে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ওই গাড়িতে চাকের এসএসসি ও এইচএসসিসহ বিভিন্ন পরীক্ষার মূল সনদ, মোবাইল ফোনসেট ও নগদ টাকাসহ বেশকিছু মালামাল রয়ে গেছে।
×