ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চিকিৎসা অবহেলায় মৃত্যু

জামায়াত পরিচালিত হাসপাতালের বিরুদ্ধে ১২৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২৯ অক্টোবর ২০১৬

জামায়াত পরিচালিত হাসপাতালের বিরুদ্ধে ১২৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ চিকিৎসা অবহেলায় শিশুমৃত্যুর অভিযোগে সিলেটে জামায়াত পরিচালিত ‘মা মনি হাসপাতাল’র চেয়ারম্যান ও পরিচালকসহ নয়জনের বিরুদ্ধে ১২৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের যুগ্ম জজ ২য় আদালতে মামলাটি দায়ের করেন কানাইঘাটের উমরগঞ্জের হালিমা বেগম। মামলার আসামিরা হলেন হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডাঃ এমএ মতিন, পরিচালক ও জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ আজির উদ্দিন আহমদ, নির্বাহী পরিচালক মোদাব্বির হোসেন, পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ খসরু, মুজিবুল হক, ব্যবস্থাপক জামাল আহমদ, ইন্টার্ন ডাঃ আবু নাঈম আহমদ ও ডাঃ সেতু ভৌমিক। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৮ অক্টোবর হালিমা বেগম নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত তিনমাস বয়সী ছেলে আফনানকে নিয়ে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ এমএ মতিনের কাছে আসেন। শিশুটি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত জানিয়ে ডাঃ মতিন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে ইনটেনসিভ কেয়ারে রেখে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। কিন্তু ভর্তির পর রোগীর কোন খোঁজখবর নেননি ডাঃ মতিন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও সারারাত চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা করেনি। পরদিন ২৯ অক্টোবর শিশুটি অবস্থার আরও অবনতি হলেও ডাঃ মতিন অন্য হাসপাতালে রোগী দেখায় ব্যস্ত থাকেন। তিনি ফোন না ধরায় পরে ডাঃ মোদাব্বির ও ব্যবস্থাপক জামাল মুঠোফোনে রোগীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন জানিয়ে এসএমএস পাঠান। কিন্তু তিনি তাতেও গুরুত্ব দেননি। এর পরদিন বেলা পৌনে একটার দিকে ইন্টার্ন চিকিৎসক আবু নাঈম আহমদ ও সেতু ভৌমিক ‘৩ মিলি’র স্থলে ‘তিন শ মিলি’র ইনজেকশন পুশ করে শিশুটির মৃত্যু ঘটান। অভিযোগে আরও বলা হয়, আসামিরা চিকিৎসায় অবহেলা, ভুল চিকিৎসা দিয়ে জীবন বিপন্ন করা, আলামত নষ্ট ও জালিয়াতির মাধ্যমে নতুন তথ্য সংযোজন করে অপরাধ করেছেন। এ কারণে বাদির তিনমাস বয়সী একমাত্র ছেলে আফনান প্রাপ্তবয়স হতে ৭৫ বছর পর্যন্ত আয়জনিত ৫০ কোটি টাকা, পিতা-মাতা আত্মীয়স্বজনের সাহচর্য পাবার সুযোগ হারানো জনিত ক্ষতির পরিমাণ ২৫ কোটি টাকা, পিতামাতা, পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের মর্মপীড়াজনিত ক্ষতি ২৫ কোটি টাকা, হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় চিকিৎসার অভাবে বাদির ছেলের শারীরিক কষ্ট হওয়া জনিত ক্ষতির জন্য ২৫ কোটিসহ সর্বসাকল্যে ১২৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।
×