ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মার্চ থেকে উড্ডয়নসহ সব কার্যক্রম বন্ধ

ফের অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পেয়েছে ইউনাইটেড এয়ার

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ২৯ অক্টোবর ২০১৬

ফের অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পেয়েছে ইউনাইটেড এয়ার

আজাদ সুলায়মান/অপূর্ব কুমার ॥ আট শ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর ফের অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পেয়েছে ইউনাইটেড এয়ার। যদিও গত মার্চ মাস থেকে উড্ডয়নসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ ইউনাইটেড এয়ারের। অধিকন্তু কোম্পানির লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। তবুও কোম্পানি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের শেয়ার ৬২৯ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন পেয়েছে। এর আগে কোম্পানি ব্যবসায় বাড়ানোর লক্ষ্যে আইপিওতে ১০০ কোটি, রাইট শেয়ারে ৩১৫ কোটি ও নিয়মিতভাবে বোনাস শেয়ারে মূলধন বাড়িয়েছে। কিন্তু ব্যবসায় উন্নতি হয়নি। এছাড়া আইপিওতে আসার পরে প্রতিষ্ঠানটির ৩১ পরিচালকের মধ্যে ২৭ জন তাদের হাতে থাকা শেয়ারের পাশাপাশি ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বোনাস শেয়ার বিক্রি করে ৮২৫ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চ মাসে কোম্পানির সব ধরনের অপারেশন স্থগিত হওয়ার পরে কর্মকর্তাদের বেতনভাতাদি বন্ধ রয়েছে। কর্মরতদের অনেকেই এখন চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। এক কথায় দেউলিয়ার পথে রয়েছে কোম্পানি। এছাড়া প্লেসমেন্ট শেয়ারের ক্রেতা নিয়েও এখন সংশয়ে রয়েছে কোম্পানি। কারণ বিএসইসির অনুমোদনের পর এখনও কোম্পানির শেয়ার বিক্রি নিয়ে চূড়ান্ত কোন কার্যক্রম চোখে পড়েনি। সবমিলে কোম্পানির সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এখনও চোখে সরষেফুল দেখছেন। এদিকে সিভিল এ্যাভিয়েশনের বকেয়া পরিশোধ না করলে লাইসেন্স নবায়ন করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে এ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। সূত্র জানায়, ইউনাইটেডের বহরে থাকা মোট ১১টি উড়োজাহাজের সবকটিই উড্ডয়নযোগ্যতা হারিয়েছে। এসব বিমান দেশে-বিদেশের বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে দেশের শাহজালাল বিমানবন্দরে পড়ে রয়েছে ৫টি, কক্সবাজার, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে রয়েছে চারটি। দুইটি রয়েছে ভারত ও পাকিস্তানে। দুই বছর আগে ভারতের আহমেদাবাদের কাছে এমডি-৮৩ নামের বিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটির মুখে পড়ে। পরবর্তীতে সেটিকে আর উড্ডয়নযোগ্য করা যায়নি। এখনও সেখানেই পড়ে রয়েছে বিমানটি। এটি মেরামতের টাকা দিয়ে নতুন একটি বিমান কেনা সম্ভব। তাই এটি আর উড়বে না ধরেই নেয়া যায়। একটি এয়ারবাস মেরামতের জন্য পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেটির মেরামতের টাকা পরিশোধ না করায় সেটি এখন পিআই হ্যাঙ্গারেই পড়ে রয়েছে অকেজো হিসেবে। ইউনাটেড এয়ারের সবচেয়ে বড় সংকট সিভিল এ্যাভিয়েশনের পাওনা পরিশোধে অক্ষমতা। সিভিল এ্যাভিয়েশন বিভিন্ন এয়ারপোর্ট হ্যান্ডলিং চার্জ বাবদ পাবে ১৫৬ কোটি ২০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। এ টাকা পাবে হযরত শাহজালাল, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক, ওসমানী, কক্সবাজার, যশোর, শাহ মখদুম, সৈয়দপুর ও বরিশাল বিমানবন্দর। এই টাকা পরিশোধে বার বার তাগিদ দিলেও নানা অজুহাতে অক্ষমতা প্রকাশ করে এয়ার কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত টাকা পরিশোধ না করার জন্য আদালতে গেছে ইউনাইটেড এয়ার কর্তৃপক্ষ। উল্টো এ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ১২শ’ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ মামলা করেছে তারা। এই বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল এ্যাভিয়েশনের সদস্য মিজানুর রহমান জানান, পাওনা টাকা না দিয়েই ইউনাইটেড এয়ার কর্তৃপক্ষ লাইসেন্স নবায়ন করতে তৎপর রয়েছে। অথচ টাকা চাইলেও তারা কোন ভ্রƒক্ষেপ করছে না। বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী কোন কোম্পানির পরিচালকরা সম্মিলিতভাবে নিজ কোম্পানির ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ না করলে ওই কোম্পানি রাইট শেয়ার ও পুনরায় গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করতে পারবেন না। এ হিসাবে ইউনাইটেড এয়ারের পরিচালকরা ৫.০২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করায় কোম্পানির রাইট শেয়ার ও পুনরায় গণপ্রস্তাবে মূলধন সংগ্রহের যোগ্যতা হারিয়েছে। যদিও পরে এই আইন কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই কোম্পানিকে সুবিধা দিতেই আইনের সংশোধনী আনা হয়েছে। এর আগে এ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালে প্লেসমেন্টে শেয়ার বিক্রি করায় লাভবান হয়েছিল বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডাররা। তবে ইউনাইটেড এয়ারের ক্ষেত্রে লোকসান গুনতে হবে। এছাড়া ইউনাইটেড এয়ারে বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকি থাকছে। কিন্তু ইউনাইটেড এয়ারের এনএভিপিএস ১০.৯৪ টাকা থাকলেও কোম্পানি এর চেয়ে কমে ১০ টাকা দরে ৪০০ কোটি ৮০ লাখ ৮০ হাজার টাকার মূলধন সংগ্রহ করবে, যাতে কোম্পানির এনএভিপিএস কমে আসবে ১০.৫৯ টাকায়। অর্থাৎ শেয়ারহোল্ডারদের এনএভিপিএসে লোকসান হবে ৩.২০ শতাংশ বা ০.৩৫ টাকা। এদিকে কোম্পানি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বর্তমান শেয়ারহোল্ডারদের বাইরে সুইফট কার্গো পিটিই, ফনিক্স এয়ারক্রাফট লিজিং পিটিই এবং টিএসি এ্যাভিয়েশনের কাছে শেয়ার ইস্যু করবে। ইস্যুকৃত শেয়ারগুলোর ক্ষেত্রে সুইফট কার্গো পিটিইর শেয়ার তিন বছর লক ইন থাকলেও ফনিক্স এয়ারক্রাফট লিজিং পিটিই ও টিএসি এ্যাভিয়েশনের ক্ষেত্রে মাত্র এক বছর লক ইন থাকবে। অর্থাৎ এক বছর পরই এ দুই প্রতিষ্ঠান শেয়ার বিক্রি করে বেরিয়ে যেতে পারবে। তখন সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ওপর ঝুঁকির পরিমাণ আরও বাড়বে। একই সঙ্গে কোম্পানিকে কুপন বন্ড ছেড়ে আরও ২২৪ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদনও দেয়া হয়েছে। এ অনুমোদনের অর্থে কোম্পানি বিমান ক্রয়ের ডাউন পেমেন্ট, ঋণ পরিশোধ, সিভিল এ্যাভিয়েশনের দেনা ও ফি পরিশোধ করবে। যদিও কোম্পানি আগের আইপিও ও রাইট শেয়ারের অর্থ সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারেনি। প্লেসমেন্টে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে সংগৃহীত টাকা দিয়ে ইউনাইটেড এয়ার বিমান ক্রয় ও এ সংক্রান্ত দায় পরিশোধের কাজে ব্যবহার করবে। কিন্তু তাতে কোম্পানির ব্যবসায় সম্প্রসারণ নিয়ে সন্দেহ আছে। দেখা গেছে, কোম্পানি যে হিসাব বছরগুলোর এ্যাকাউন্টসের ওপর আইপিও ও রাইটে মূলধন সংগ্রহ করেছে তার পরের বছর মুনাফা বেড়েছে। এর পরই মুনাফা কমতে শুরু করে। কোম্পানি ২০০৯-১০ অর্থবছরে আইপিওতে টাকা সংগ্রহের পর ২০১০-১১ বছরে ১০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা থেকে মুনাফা বেড়ে হয় ৩১ কোটি ২১ লাখ টাকা। আর ২০১০-১১ বছর রাইটে টাকা সংগ্রহের পরের বছর আরও বেড়ে হয় ৬৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। কিন্তু এর পর ২০১২-১৩ বছর ৫৫ কোটি ৫৬ লাখ, ২০১৩-১৪ বছর ৫৮ কোটি ৮ লাখ ও ২০১৪-১৫ বছর ১৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা আর বর্তমানে ব্যবসায় বন্ধ হয়ে গেছে। এর আগেও পুঁজিবাজারে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ইউনাইটেড এয়ারের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দেখা গেছে, ২০১০ সালে আইপিওতে আসার পর কোম্পানির উদ্যোক্তা/ পরিচালকদের কাছে ৫০ শতাংশ ও অন্যদের কাছে ছিল বাকি ৫০ শতাংশ শেয়ার। কিন্তু কোম্পানির শোচনীয় সময়ে আসার আগেই উদ্যোক্তারা তাদের শেয়ার ৫০ শতাংশের মধ্যে ৪১.৫৬ শতাংশ বিক্রি করে দিয়েছে। এখন তাদের হাতে আছে মাত্র ৭.০৪ শতাংশ। আর বাকি ৯২.৯৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। ১০০ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে ইউনাইটেড এয়ার ২০১০ সালে আরও ১০০ কোটি টাকা পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করে। এছাড়া ২০১১ সালে রাইট শেয়ার ও ২০১০ সালে ৫ শতাংশ, ২০১১ সালে ১০ শতাংশ, ২০১২ সালে ১৫ শতাংশ, ২০১৩ সালে ১২ শতাংশ, ২০১৪ সালে ১০ শতাংশ ও ২০১৫ সালে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়ে কোম্পানি মূলধন বাড়ায়। যে কোম্পানির বর্তমানে মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬৮৭ কোটি টাকায়। এর মধ্যে উদ্যোক্তাদের মালিকানা ৪৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকার আর বাকি ৬৩৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার মালিকানা প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর কোম্পানি কখনও শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিতে পারেনি। অথচ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সক্ষমতার ওপর বোঝা যায় একটি কোম্পানির ভিত্তি কতটা মজবুত। কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসার পর ইপিএস কোন বছরে ১ থেকে ২ টাকায় যেতে পারেনি। অন্যদিকে ২০১০ ও ২০১১ সালে পরিচালকদের ৭৩ দশমিক ৭০ টাকা দরে শেয়ার বিক্রি করা শেয়ার কিনে এখন ৪.৮০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের। কোম্পানি নগদ না দেয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কোম্পানির ৭৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ শেয়ারধারী সাধারণ বিনিয়োগকারী এবং ১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী। অনুসন্ধানে জানা গেছে, উদ্যোক্তা পরিচালকরা ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত এ সময়ে তাদের হাতে থাকা কোম্পানির ৩৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ, ২০১২ সালে শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ, ২০১৩ সালে ৩ দশমিক ৯০ শতাংশ, ২০১৫ সালে ১ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে ২ দশমিক ০২ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে কোম্পানি থেকে প্রায় ৮২৪ কোটি ২২ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে যেসব পরিচালক শেয়ার বিক্রি করে চলে গেছেন তারা হলেন- মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী, মোহাম্মদ শাবু নেওয়াজ, সৈয়দ শাহেদ আহমেদ, মাযহারুল হক, জাকির হোসেন চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী, সিদ্দিকা আহমেদ, সোহুল চৌধুরী, মোহাম্মদ আব্দুল মালেক, আহফাজ মিয়া, হাজী সানোয়ার মিয়া, আমিরুল ইসলাম, বদরুল হক চৌধুরী, রাজা মিয়া, খন্দকার মামুন আলী, মোহাম্মদ আশিক মিয়া, খন্দকার তাসলিমা চৌধুরী, মোহাম্মদ শফিকুর রহমান, মদরিস আলী, তুরান মিয়া, খন্দকার ফেরদৌসি বেগম আলী, নিজাম উদ্দিন খান, ড. বিজয় কুমার সাহা, আব্দুল কুদ্দুস কাজল, শাহজাহান এস হাসিব, সৈয়দ চৌধুরী, আজিজুর রহমান, মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান এবং খসরুজ্জামান। এসব পরিচালকরা বেশির ভাগ প্রবাসী এবং বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি ২০০৭ সালে উড্ডয়ন শুরু করে। ২০১০ সালে পুুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। তালিকাভুক্তির পরই পরিচালকরা ২০১১ সালে তাদের হাতে থাকা ৫০ শতাংশ শেয়ারের ৩৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছেন। ওই বছরে শেয়ারের গড় দাম ছিল ৪৬ দশমকি ৪০ টাকা। সেই হিসেবে পরিচালকরা প্রায় ৭৬৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা পুঁজিবাজার থেকে তুলে নিয়েছেন। পরের বছর ২০১২ সালে শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ শেয়ার ২৩ দশমিক ৭০ টাকা গড় দামে বিক্রি করে তারা উঠিয়ে নিয়েছে প্রায় ১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এরপর ২০১৩ সালে ৩ দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ার ২০ দশমিক ৩১ টাকা গড় দামে ৪৫ কোটি টাকা এবং ২০১৫ সালে ১ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে ৯ দশমিক ৯২ টাকা গড় দামে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন। আর চলতি বছরেই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ দশমিক ০২ শতাংশ শেয়ার গড় ৬ টাকা দামে তারা শেয়ার বিক্রি করেছেন। সব মিলে গত পাঁচ বছরে ১৬ কোটি ৫৫ লাখ ৯৫ হাজার ৫০০টি শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে প্রায় ৮২৪ কোটি ২২ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। সবচেয়ে বেশি টাকা তুলে নিয়েছে ইউনাইটেডের রমরমা ব্যবসার সময় বা ২০১০ থেকে ১২ সালের মধ্যে। ওই সময়ে পুুঁজিবাজারের পরিস্থিতিও ভাল ছিল। জানতে চাইলে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন তাসবিরুল আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমার সঙ্গে ব্যবসা করে কারও লোকসান হয়নি। বিনিয়োগকারীদেরও লোকসান হবে না। একই সঙ্গে শেয়ার বিক্রি করে পরিচালকদের কোম্পানি ছাড়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ২০১১ সালের ২২ অক্টোবর হঠাৎ করে পরিচালকদের ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ বাধ্যতামূলক করা হয়। পাশাপাশি যৌথভাবে পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে, এই নির্দেশনা জারি করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নির্দেশনা পরিপালন করতে না পেরে এ কোম্পানির শেয়ারধারী পরিচালকরা কোম্পানি ছেড়ে চলে যান। এর ফলে আমিসহ কোম্পানির শেয়ারধারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পুঁজিবাজারে আসার পর থেকে নগদ লভ্যাংশ না দিয়ে শুধু বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়া প্রসঙ্গে তিনি কোন মন্তব্য করেননি। শুধু বলেছেন, আইন মেনেই সব করা হয়েছে।
×