ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উপজাতি কিশোরীকে অপহরণ চেষ্টা ॥ সম্মান রক্ষায় চলন্ত গাড়ি লাফিয়ে আহত কলেজ ছাত্রী

প্রকাশিত: ০১:৪৩, ২৮ অক্টোবর ২০১৬

উপজাতি কিশোরীকে অপহরণ চেষ্টা ॥ সম্মান রক্ষায় চলন্ত গাড়ি লাফিয়ে আহত কলেজ ছাত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক উপজাতি কিশোরীকে অপহরণের চেষ্টাকালে সম্মায় রক্ষায় চলন্ত অটোরিক্সা থেকে লাফিয়ে নিজেকে রক্ষা করলেও এতে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গেছে উপজাতি ওই কিশোরীর মূখমন্ডলসহ গোটা শরীর। বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজারে রামুর মধ্যম মেরংলোয়া আরাকান সড়কে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সংবাদ জানানো হলেও রামু থানা পুলিশ উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। সূত্র জানায়, গুরুতর আহত কিশোরী হ্লা নু প্রু চাক (১৬) পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কাউচিং চাক এর মেয়ে। স্থানীয়রা মূমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে ওই কিশোরীকে। আহত কিশোরী ভর্তি পরীক্ষা শেষে খালু উচাই হ্লা চাক এর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন। এ পর্যন্ত সিএনজি চালককে আটক করতে পারেনি রামু থানা পুলিশ। পারিবারিক সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটায় রামু চৌমুহনী স্টেশনে নেমে নাইক্ষ্যংছড়ি যাওয়ার জন্য অটোরিক্সা ভাড়া করে কিশোরীকে সিএনজিতে রেখে পান দোকানে যান তার খালু। এরই ফাঁকে সিএনজি চালক মিজান ওই কিশোরীকে অপহরণের উদ্দেশ্যে গাড়িযোগে দ্রুত সটকে পড়ে। খালুকে ছাড়া গাড়ি চলতে থাকায় হতভম্ব হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। দ্রুতগামি গাড়িটি রামুর মেরংলোয়া এলাকায় একটি গতিরোধক পার হওয়ার সময় নিজেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে চলন্ত গাড়ি থেকে লাফ দেন হ্লা নু প্রু চাক। লোকজন এগিয়ে আসছে দেখে গাড়ি নিয়ে চালক পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে রামু হাসপাতালে ছুটে আসেন উগ্য মং চাক ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দসহ স্বজনরা। তারা ঘটনায় জড়িত সিএনজি চালককে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। জানা গেছে, মেয়েটিকে অপহরণের চেষ্টাকারি সিএনজি চালকের নাম মিজান। রামু কচ্ছপিয়া আবদুচ সালাম মেম্বারের মসজিদের পাশে তার বাড়ি। তবে রামু থানা পুলিশ এ পর্যন্তও অপহরণকারীকে আটক ও সিএনজি টেক্সিটি জব্দ করতে পারেনি। অভিযোগ উঠেছে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে সিএনজি সমিতির কতিপয় নেতা মোটা অঙ্কের টাকায় পুলিশকে ম্যানেজ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় সর্বত্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম বলেন, বিষয়টি অথ্যন্ত দু:খজনক। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে এবং আহতের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছেন। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ওই গাড়িতে এসএসসি, এইচএসসিসহ বিভিন্ন পরীক্ষার মূল সনদ, মোবাইল ফোন সেট, নগদ টাকাসহ বেশ কিছু মালামাল রয়ে গেছে।
×