নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ প্রায় ঘন্টাব্যাপী বেধড়ক মারধর করা হয়। গরম খুন্তির ছ্যাকা দেয়া হয় পিঠের বিভিন্ন জায়গায়। পাষন্ড স্বামী রিপন গাজী যখন মারধর করত তখন শাশুড়ি রেহেনা বেগম মারধরের উপকরণ এগিয়ে দিতেন। বিয়ের দুইটি বছরে কতবার মারধর নির্যাতন করা হয়েছে তা এখন আর এই তরুনী গৃহবধু ডলি বেগম মনে করতে পারছে না। শুধু নির্যাতনের দগদগে ক্ষতচিহ্ন নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ডলিকে তার বাবা খলিল খাঁ কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করান। ডলি আরও জানায়, মদ্যপায়ী এবং স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় সর্বশেষ ২৩ অক্টোবর, রবিবার রাতে তাকে নির্দয় মারধর করা হয়। স্বামী রিপন যখন অফিসে যায় তখন উত্তর বাড্ডার বাসা থেকে কাউকে না বলে সোমবার সকালে রামপুরায় এক মামার বাসায় চলে আসে। সেখান থেকে বুধবারে চাকামইয়ার চুঙ্গাপাশা গ্রামের বাড়িতে চলে আসে ডলি।
মারধরের কিংবা শরীরের ক্ষতের ব্যাপারে রিপন সম্পুর্ণ অস্বীকার করেন। চিকিৎসক জানান, যে নির্যাতন করা হয়েছে তা অমানবিক। ডলির সুস্থ হতে দীর্ঘদিন সময় লাগবে। কলাপাড়া থানার ওসি জিএম শাহনেওয়াজ জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
