অনলাইন ডেস্ক॥ দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ১৫ লাখ মানুষ খরার কারণে ক্ষুধার্ত অবস্থায় দিনযাপন করছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বিবিসি বলছে, দেশটির প্রধান খাদ্য উৎপাদন পরিষ্কারভাবে কমে গেছে। ফলশ্রুতিতে বেড়ে গেছে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে।
ওই অঞ্চলের মানুষেরা জীবনধারণের জন্য শস্যের বীজ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করছে, গবাদিপশু-প্রাণী বিক্রি করে দিচ্ছে।
খাদ্যের অনিরাপত্তার কারণেই অর্ধেকের বেশি গবাদিপশু ও প্রাণীদের বিক্রি করে দিতে হয়েছে।
এরঅর্থ ওই অঞ্চলের মানুষের জরুরি মানবিক সহায়তা প্রয়োজন বলে বিবেচনা করতে জাতিসংঘ।
এল নিনোর প্রভাবে অঞ্চলটিতে মারাত্মক খরা দেখা দিয়েছে। এ কারণেই পরিস্থিতির এত অবনতি হয়েছে।
জাতিসংঘের খাদ্য এবং কৃষি সংস্থা (এফএও) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে দক্ষিণের আন্দ্রোই অঞ্চলে চলতি বছর খাদ্য উৎপাদন ২০১৫ সালের তুলনায় ৮০ ভাগ কমে গেছে।
অ্যানোসি অঞ্চলেও পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়েছে।
দেশজুড়ে ধান উৎপাদনেও মন্দা অবস্থা। এফএও বলছে, কোনো কোনো অঞ্চলে বিগত বছরের তুলনায় ধান উৎপাদন ৬০ ভাগ কমে গেছে।
জাতিসংঘের সংস্থাটির অভিমত, তারা গুরুতর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যেসব জেলাগুলোতে সেখানে খাদ্য, বীজ এবং কৃষি উপকরণ দিয়ে সহায়তা করবে। এরফলে নভেম্বরে বীজ রোপণের মৌসুমে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে।